Ajker Patrika

সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে চালু হলো রোবোটিক পুনর্বাসন কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দেশে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও দীর্ঘমেয়াদি স্নায়বিক সমস্যার রোগীদের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো। আজ রোববার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে দেশের প্রথম সর্বাধুনিক রোবোটিক পুনর্বাসন কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।

‘রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’ উদ্বোধন উপলক্ষে বিএমইউ হাসপাতালের লেকচার হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জানানো হয়, চীনের সহযোগিতায় স্থাপিত এ সেন্টারে রয়েছে ৫৭টি রোবট, যার মধ্যে ২২টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই)।

এগুলোর মাধ্যমে রোগীদের উন্নত ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন সেবা দেওয়া যাবে। চীনের সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ২৯ জন দেশীয় চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সেন্টারের সেবাগুলো প্রাথমিকভাবে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য বিনা মূল্যে উন্মুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সাধারণ রোগীদের জন্যও এই সেবা চালু হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরজাহান বেগম বলেন, ‘রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার দেশের চিকিৎসা খাতে এক বড় অগ্রগতি। এই সেন্টারকে টেকসই করতে হবে এবং ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন জেলায় এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে।’

উপদেষ্টা চীনের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চীন আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সহায়তা দিয়েছে। ৫৭টি রোবট ও প্রশিক্ষণ আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে প্রযুক্তিভিত্তিক চিকিৎসা সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি।’

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে চীন সব সময় সহযোগিতা করবে। আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি এবং থাকব।’

বিএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক শাহিনুল আলম বলেন, ‘এটি দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারকে ট্রেনিং অব দ্য ট্রেনার্স মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যাতে এই সেবা সারা দেশে ছড়িয়ে যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুস শাকুর বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার খুব কম দেশেই এমন সেন্টার আছে। উন্নত প্রযুক্তির এই সেবা বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করবে এবং হাজারো রোগীর জীবনমান উন্নত করবে।’

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, সেন্টারটি পক্ষাঘাত ও স্নায়ুরোগে আক্রান্ত মানুষের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালবে। এটি দেশের চিকিৎসা খাতে প্রযুক্তিনির্ভর এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, গুলি, এক শ্রমিক নিহত

শিবিরের বট আইডির অ্যাটাক আমিও কম খাই নাই: শিবির প্যানেলের প্রার্থী জুমা

পাকিস্তানকে সমর্থন করায় ভারত এসসিওর সদস্যপদ আটকে দেয়: আজারবাইজান

দেশে চালু হলো ৫-জি নেটওয়ার্ক, কী কী সুবিধা মিলবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত