রাশেদ রাব্বি, ঢাকা

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও একই পরিস্থিতিতে পড়েন রোগী।
হাসপাতালের দুটি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের একটি অচল থাকায় সিরিয়াল পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে এসব পরীক্ষা করানোর জন্য বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটতে হয় তাঁকে।
শুধু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালই নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের অতিপরিচিত দৃশ্য এটি। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মতো হাসপাতালেও রোগীকে এমআরআই মেশিন নষ্ট বলে শুনতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে এমআরআই বা সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে গেলেই দেখা যায় মেশিন নষ্ট, নয়তো সিরিয়াল পেতে অস্বাভাবিক অপেক্ষা। ফলে ভোগান্তি এড়াতে বেসরকারি ডায়াগনস্টি সেন্টারে যেতে হয় রোগীদের। এতে বেড়ে যায় চিকিৎসা খরচ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে যেসব সিটি স্ক্যান ও এমআরআই যন্ত্র রয়েছে,
তার প্রায় অর্ধেকই অচল। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৩টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে ৩১টি, এর মধ্যে ১১টিই অচল। বাকি যে ২০টি সচল আছে ভাগ্য ভালো হলে সেখান থেকে পরীক্ষা করাতে পারেন ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় এমআরআই করাতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এমআরআই যন্ত্র আছে ২৪টি, এর মধ্যে ১০টিই অচল। মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দড়ি টানাটানিতে সেগুলো সচল করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই অবস্থা ১৮টি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রেরও। এসব প্রতিষ্ঠানে ১৭টি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের মধ্যে ৭টি অচল, আর ৯টি এমআরআই যন্ত্রের মধ্যে ৪টি অচল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬১টি জেলা সদর হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে মাত্র ১০টি। এর মধ্যে ১টি নষ্ট। আর এমআরআই যন্ত্র আছে মাত্র ৫টি, যার ২টি অচল। তবে প্রকৃত তথ্য হলো, সচল দেখানো যন্ত্রগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা একমাত্র সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় করোনাকালে। এখন সেটির কোনো ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে কিডনি হাসপাতালও সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করাতে পারছে না।
চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে রোগীদের
জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান ও এমআরআই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব পরীক্ষার সুবিধা থাকলে রোগীদের সাশ্রয় হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যন্ত্র বিকল থাকায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসব পরীক্ষা করাতে দুই থেকে আড়াই গুণ অর্থ বেশি খরচ করতে হয় তাঁদের।
সরকারি হাসপাতালগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে সিটি স্ক্যান করাতে ২ হাজার টাকার মতো ফি দিতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে খরচ হয় ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার টাকায় চেস্ট সিটি করানো যায়। বেসরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষার জন্য ছয় থেকে ৮ হাজার টাকা লাগে। একইভাবে ব্রেনের সিটি স্ক্যান করাতে সরকারিতে লাগে ২ হাজার, বেসরকারিতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্ত্রের পূর্ণ সিটি করাতে সরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৪ হাজার, বেসরকারিতে গুনতে হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে কোনো রোগীর যদি কন্ট্রাস্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে এর সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। একইভাবে সরকারি হাসপাতালে স্পাইন, ব্রেন, নি-জয়েন্ট ইত্যাদি পরীক্ষা ৩ হাজার টাকায় হলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে মাত্র ৪ হাজার টাকায় হোল অ্যাবডোমিন এমআরআই করানো গেলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ১৪ হাজার টাকা।
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি সিটি স্ক্যান বা এমআরআই যন্ত্রে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পরীক্ষা হয়। কিন্তু অর্ধেক যন্ত্র নষ্ট থাকায় বিপুলসংখ্যক রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নষ্ট যন্ত্র সচলে জটিলতা কোথায়
মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, অচল যন্ত্রগুলোর মধ্যে কিছু আছে, যা আর কখনোই সচল হবে না। অন্যদিকে কিছু আছে, সেগুলো মেরামত করে পুনরায় সচল করা সম্ভব। অচল যন্ত্রের অর্ধেকই মেরামত-অযোগ্য। যদিও মেরামতযোগ্য যন্ত্রগুলোর সচল না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এসব যন্ত্রের বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ (ওয়ারেন্টি পিরিয়ড) আগেই শেষ হয়ে গেছে।
এসব যন্ত্র কেনার সময় নিয়মানুযায়ী সরকার এবং বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ চুক্তি হয়ে থাকে, যা কমপ্রিহেন্সিভ মেইনটেন্যান্স কন্ট্রাক্ট (সিএমসি) নামে পরিচিত। সেই চুক্তির আলোকে বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে কোনো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি করতে রাজি হচ্ছে না। কারণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে যন্ত্রের ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে সিএমসি। কিন্তু যন্ত্রগুলো পুরোনো হওয়ায় এবং যন্ত্র কেনার সময়ের তুলনায় বর্তমানে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত হারে সিএমসি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতাদের অনড় অবস্থানের কারণে যন্ত্রগুলোর স্বাভাবিক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এতে বাড়ছে শুধু রোগী দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল ও লাইন ডাইরেক্টর হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, মেরামত উপযোগী যন্ত্রগুলো মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। সিএমসির জন্য আলোচনা চলছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি দাবি করছে। মেরামতের ব্যয়ে যদি নতুন যন্ত্র কেনা যায়, তাহলে সে রকম সিদ্ধান্তই নিতে হবে।

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও একই পরিস্থিতিতে পড়েন রোগী।
হাসপাতালের দুটি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের একটি অচল থাকায় সিরিয়াল পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে এসব পরীক্ষা করানোর জন্য বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটতে হয় তাঁকে।
শুধু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালই নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের অতিপরিচিত দৃশ্য এটি। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মতো হাসপাতালেও রোগীকে এমআরআই মেশিন নষ্ট বলে শুনতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে এমআরআই বা সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে গেলেই দেখা যায় মেশিন নষ্ট, নয়তো সিরিয়াল পেতে অস্বাভাবিক অপেক্ষা। ফলে ভোগান্তি এড়াতে বেসরকারি ডায়াগনস্টি সেন্টারে যেতে হয় রোগীদের। এতে বেড়ে যায় চিকিৎসা খরচ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে যেসব সিটি স্ক্যান ও এমআরআই যন্ত্র রয়েছে,
তার প্রায় অর্ধেকই অচল। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৩টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে ৩১টি, এর মধ্যে ১১টিই অচল। বাকি যে ২০টি সচল আছে ভাগ্য ভালো হলে সেখান থেকে পরীক্ষা করাতে পারেন ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় এমআরআই করাতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এমআরআই যন্ত্র আছে ২৪টি, এর মধ্যে ১০টিই অচল। মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দড়ি টানাটানিতে সেগুলো সচল করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই অবস্থা ১৮টি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রেরও। এসব প্রতিষ্ঠানে ১৭টি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের মধ্যে ৭টি অচল, আর ৯টি এমআরআই যন্ত্রের মধ্যে ৪টি অচল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬১টি জেলা সদর হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে মাত্র ১০টি। এর মধ্যে ১টি নষ্ট। আর এমআরআই যন্ত্র আছে মাত্র ৫টি, যার ২টি অচল। তবে প্রকৃত তথ্য হলো, সচল দেখানো যন্ত্রগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা একমাত্র সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় করোনাকালে। এখন সেটির কোনো ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে কিডনি হাসপাতালও সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করাতে পারছে না।
চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে রোগীদের
জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান ও এমআরআই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব পরীক্ষার সুবিধা থাকলে রোগীদের সাশ্রয় হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যন্ত্র বিকল থাকায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসব পরীক্ষা করাতে দুই থেকে আড়াই গুণ অর্থ বেশি খরচ করতে হয় তাঁদের।
সরকারি হাসপাতালগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে সিটি স্ক্যান করাতে ২ হাজার টাকার মতো ফি দিতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে খরচ হয় ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার টাকায় চেস্ট সিটি করানো যায়। বেসরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষার জন্য ছয় থেকে ৮ হাজার টাকা লাগে। একইভাবে ব্রেনের সিটি স্ক্যান করাতে সরকারিতে লাগে ২ হাজার, বেসরকারিতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্ত্রের পূর্ণ সিটি করাতে সরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৪ হাজার, বেসরকারিতে গুনতে হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে কোনো রোগীর যদি কন্ট্রাস্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে এর সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। একইভাবে সরকারি হাসপাতালে স্পাইন, ব্রেন, নি-জয়েন্ট ইত্যাদি পরীক্ষা ৩ হাজার টাকায় হলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে মাত্র ৪ হাজার টাকায় হোল অ্যাবডোমিন এমআরআই করানো গেলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ১৪ হাজার টাকা।
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি সিটি স্ক্যান বা এমআরআই যন্ত্রে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পরীক্ষা হয়। কিন্তু অর্ধেক যন্ত্র নষ্ট থাকায় বিপুলসংখ্যক রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নষ্ট যন্ত্র সচলে জটিলতা কোথায়
মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, অচল যন্ত্রগুলোর মধ্যে কিছু আছে, যা আর কখনোই সচল হবে না। অন্যদিকে কিছু আছে, সেগুলো মেরামত করে পুনরায় সচল করা সম্ভব। অচল যন্ত্রের অর্ধেকই মেরামত-অযোগ্য। যদিও মেরামতযোগ্য যন্ত্রগুলোর সচল না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এসব যন্ত্রের বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ (ওয়ারেন্টি পিরিয়ড) আগেই শেষ হয়ে গেছে।
এসব যন্ত্র কেনার সময় নিয়মানুযায়ী সরকার এবং বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ চুক্তি হয়ে থাকে, যা কমপ্রিহেন্সিভ মেইনটেন্যান্স কন্ট্রাক্ট (সিএমসি) নামে পরিচিত। সেই চুক্তির আলোকে বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে কোনো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি করতে রাজি হচ্ছে না। কারণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে যন্ত্রের ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে সিএমসি। কিন্তু যন্ত্রগুলো পুরোনো হওয়ায় এবং যন্ত্র কেনার সময়ের তুলনায় বর্তমানে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত হারে সিএমসি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতাদের অনড় অবস্থানের কারণে যন্ত্রগুলোর স্বাভাবিক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এতে বাড়ছে শুধু রোগী দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল ও লাইন ডাইরেক্টর হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, মেরামত উপযোগী যন্ত্রগুলো মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। সিএমসির জন্য আলোচনা চলছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি দাবি করছে। মেরামতের ব্যয়ে যদি নতুন যন্ত্র কেনা যায়, তাহলে সে রকম সিদ্ধান্তই নিতে হবে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও
০২ এপ্রিল ২০২৪
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও
০২ এপ্রিল ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও
০২ এপ্রিল ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
৩ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও
০২ এপ্রিল ২০২৪
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
১ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
২ দিন আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৩ দিন আগে