Ajker Patrika

ভিটামিন ও জিংকের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়

ভিটামিন ও জিংকের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়

প্রশ্ন: আমার বয়স ৬৫ অতিক্রম করেছে। সম্ভবত ফুড পয়জনিং থেকে প্রায় এক মাস আগে আমার ডায়রিয়া হয়। চিকিৎসায় তিন-চার দিন পরে সেরে গেলেও শরীর দুর্বল হয়ে যায়, বুক থেমে থেমে ধক ধক করতে থাকে। খুব খারাপ অনুভব করি। তারপর একজন কার্ডিওলজিস্টের শরণাপন্ন হই। ইসিজি, এক্স-রেসহ রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তিনি জানান, আমার হার্ট ভালো আছে; ব্লাড প্রেশারটা সমস্যা করছে। আমার হাই ব্লাড প্রেশার অনেক আগে থেকে। আমার পুরোনো ওষুধ তিনি বদলে দেন। কিন্তু ১৫-২০ দিন থেকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরও কোনো উপকার না পেয়ে ওষুধ বন্ধ করে দিই। প্রেশার মেপে দেখি ১৪০/৮০। তারপর আগের ওষুধ খাই। দুই-এক দিনের মধ্যে অনেকটা ভালো বোধ করি। আজ থেকে ৪০-৪২ বছর আগে নিহত এক ব্যক্তি সম্পর্কিত কিছু আতঙ্কজনক পরিস্থিতির কারণে বুক ভীষণ ধড়ফড় করতে থাকে। চিকিৎসায় সুস্থ হই। এরপর একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বুক ধড়ফড় করে ওঠে এবং হাত কাঁপতে থাকায় লিখতে পারিনি। এখন পর্যন্ত এ অবস্থা চলছে। তখন থেকে কার্ডিওলজিস্ট, মেডিসিন, মানসিক বিভাগের চিকিৎসকদের চিকিৎসা চলছে। মূলত হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ ও রিলাক্সেবল কিছু ওষুধে এখনো চিকিৎসা চলছে। এখন জানতে চাই, ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে হাতের কম্পন বেশি হয়, এমনকি কণ্ঠস্বরও কাঁপে। এর কি কোনো সঠিক চিকিৎসা নেই?
আশরাফুল আলম, ই-মেইলে পাঠানো প্রশ্ন

আপনি প্রথমে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখান। এমনও হতে পারে এটি অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা প্যানিক ডিসঅর্ডার। আর 
গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ বদলানো বা বন্ধ করবেন না। এতে আরও ক্ষতি হতে পারে।

ডা. অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ 

প্রশ্ন: ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। নাকের ওপর, নাকের দুই পাশে, চিবুকে ও ঠোঁটের ধার ঘেঁষে সাদা মরা চামড়া সব সময় দেখা যায়। সিন্থল সাবান, হিমালয়া ফেসওয়াশ, প্যারাস্যুটের লোশন ও পমেড ব্যবহার করি। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে কী করব?
টুম্পা হক, ঢাকা

যেহেতু আবহাওয়া ধীরে ধীরে ঠান্ডার দিকে যাচ্ছে, তাই যাঁদের ত্বক আগে থেকে শুষ্ক, তাঁদের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার ও সঠিকভাবে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার না থাকলেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। মুখ পরিষ্কারের জন্য ওটমিল বা গ্লিসারিনযুক্ত মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করবেন না। কুসুম গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়েই মুখ ধুতে হবে। খুব নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুখ মুছে নিতে হবে এবং এই ভেজাভাব থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্লিসারিন বা অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। সানবার্ন থেকে ত্বক বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, নিয়াসিন ও জিংকের অভাবে ত্বকে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে সম্পূরক খেতে হতে পারে। 

ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল, বাংলাদেশ

প্রশ্ন: আমার মেয়ে খুবই ছোট। বয়স আড়াই বছর। প্রস্রাব প্রায়ই গাঢ় হলুদ হচ্ছে। খুবই অল্প পরিমাণে প্রস্রাব হয় এবং প্রস্রাব করতে চায় না। বুঝিয়ে-শুনিয়ে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলেও প্রস্রাবের সময় কান্না করে। সম্ভবত জ্বালা করে। পানি খেতে চায় না। লেবু বা মালটা দিয়ে জুস করে দিলে অল্প খায়। কী করতে পারি?
রাবেয়া আক্তার, চাঁদপুর

পানি বা পানিজাতীয় খাবার কম খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, গাঢ় রঙের প্রস্রাব হয়। এ ক্ষেত্রে প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালাপোড়া করে, ভয়ে শিশুরা প্রস্রাব আটকে রাখে, যা জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তোলে।

আবার যেসব শিশুর পায়খানা শক্ত বা কষা থাকে, তাদেরও প্রস্রাব পুরোপুরি হয় না। অল্প অল্প করে বারবার করতে থাকে। এ বিষয়গুলো প্রস্রাবের রাস্তায় সংক্রমণ বা প্রদাহ তৈরির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

সুতরাং এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গে খুঁজে বের করতে হবে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, যার কারণে প্রস্রাব করতে চাইছে না। অনেক শিশু পানি খাওয়া নিয়ে ঝামেলা করে। সে ক্ষেত্রে লেবুর শরবত, ফলের রস, ডাল, ঝোল খাওয়াতে হবে। এক কথায় তরল খাবার বেশি দিতে হবে। সঙ্গে পায়খানা কষা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসা করাতে হবে। এ ছাড়া প্রতিবার প্রস্রাবের পর পানি দিয়ে প্রস্রাবের রাস্তা ধুয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এরপরও যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে প্রস্রাবের আরএমই ও সিএস পরীক্ষা করাতে হবে এবং চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

ডা. নূরজাহান বেগম
স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেমোথেরাপি ছাড়া ক্যানসার চিকিৎসায় সফলতার দাবি আমিরাতে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। ছবি: দ্য ন্যাশনাল
আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। ছবি: দ্য ন্যাশনাল

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন। এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির বিকল্প হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আমিরাতের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়ামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকেরা প্রথমবারের মতো দেশটিতে স্তন ও ফুসফুসের ক্যানসার থেকে ‘টিউমার-ইনফিলট্রেটিং লিম্ফোসাইটস’ (টিআইএল) আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন।

এই পদ্ধতিতে রোগীর শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধী কোষকে ব্যবহার করে ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়। সাধারণ কেমোথেরাপি যেমন সুস্থ কোষ ও ক্যানসার কোষ উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে, সেখানে টিআইএল থেরাপি ক্যানসার কোষকে নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করে ধ্বংস করে। প্রক্রিয়াটি হলো—রোগীর টিউমার থেকে রোগপ্রতিরোধী কোষ সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে তাদের সংখ্যা ও শক্তি বাড়ানো, তারপর তা রোগীর শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া।

আবুধাবি স্টেম সেলস সেন্টার এখন এই প্রযুক্তির উন্নয়নে দেশের প্রথম বিশেষায়িত কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান বিজ্ঞানী ড. জায়মা মাজোরা হেরেরা বলেন, ‘এটি এক ধরনের জীবন্ত থেরাপি, যা প্রতিটি রোগীর শরীরের জন্য আলাদাভাবে তৈরি হয়। অনেক সময় শেষ পর্যায়ের ক্যানসার রোগীরা শোনেন—তাদের জন্য সব চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু টিআইএল থেরাপি তাদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই টি-সেলগুলোকে শক্তিশালী করছি, যেগুলো ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট ক্যানসার কোষ চিনে ফেলেছে। বিশ্বের অনেক দেশে ব্যর্থ চিকিৎসার পরও এই থেরাপি টিউমার সংকুচিত করতে সফল হয়েছে। আমরা চাই, এই সম্ভাবনাটি এখানকার রোগীরাও পান।’

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই থেরাপি বর্তমানে মেলানোমা, ফুসফুস, জরায়ুমুখ ও মাথা-ঘাড়ের ক্যানসারের মতো জটিল টিউমারে আশার আলো জ্বালাচ্ছে। কেন্দ্রটির প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ইয়েন্দ্রি ভেনচুরা জানিয়েছেন, এখন থেকে রোগীদের আর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে না—দেশেই তারা পাবেন সর্বাধুনিক ইমিউনোথেরাপির সুবিধা।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সম্প্রতি তারা টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিরাময়ের লক্ষ্যে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজ নেফ্রো গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। প্রফেসর ভেনচুরা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা এমন এক চিকিৎসা তৈরি করতে পারব, যা শুধু স্টেম সেল নয়—মানব অগ্ন্যাশয় পুনর্গঠন করতেও সক্ষম হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে এক দিনে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯২৮

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯২৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৩৪৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯৪, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২০, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৭৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৯ হাজার ৩৫৬ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও অপরজন নারী। তাঁদের মধ্যে দুজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও আরও একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ২৩, ৩২ ও ৫০ বছর।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার ২৩৪ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বয়স বাড়লে দম্পতিদের আলাদা বিছানায় ঘুমের পরিণতি ভালো নয়: গবেষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।

গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।

বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র‍্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।

ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’

ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।

ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।

সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থেমে নয়, একটানা হাঁটাই হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্য ও আয়ু বাড়ায়—নতুন গবেষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ০০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্‌রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।

গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’

এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্‌রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’

দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্‌পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্‌যন্ত্রও তেমনি।’

গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।

ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্‌যন্ত্র মজবুত হবে।’

হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।

গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।

সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্‌স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত