ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ইসরায়েলজুড়ে গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি দাবি করেছেন, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিয়েছে। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। অপরদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তার ৯০ শতাংশই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
এ হামলার পর ইসরায়েলের ন্যাশনাল রেসকিউ সার্ভিসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দুই ইসরায়েলি নাগরিক আহত হয়েছেন। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কোত্থেকে হয়েছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসরায়েলি পতাকা মোড়ানো ২৭টি কফিনের একটি ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
‘সাইবার ৭১–We work to Protect Bangladesh’ নামের একটি ফেসবুক পেজে আজ বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে এমন একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘আলহামদুলিল্লাহ এমন সকাল প্রতিদিন আসুক!।’ ছবিটি ঘণ্টা ছয়ের ব্যবধানে ৮ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ১১ হাজারের বেশি। কমেন্ট হয়েছে পাঁচ শতাধিক। অনেকেই ছবিটিকে ইসরায়েলে ইরানের হামলায় নিহতদের কফিনের ছবি হিসেবে ধরে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
রিভার্স ইমেজ সার্চে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে একই ধরনের একটি ছবি পাওয়া যায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর ছবিটি টুইট করে সংবাদমাধ্যমটি। ছবিটির সঙ্গে ফেসবুকে ভাইরাল ছবিটিতে থাকা দালানসহ অন্যান্য অবকাঠামোর মিল রয়েছে। টুইটে ছবির প্রসঙ্গে বলা হয়, ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা কফিন নিয়ে সমবেত হয়েছেন।
এই তথ্যের সূত্রের অনুসন্ধান করতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজে ৫ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তা থেকে জানা যায়, গাজায় জিম্মি অবস্থায় নিহত ইসরায়েলি নাগরিকদের স্মরণে কফিন হাতে তেল আবিবে ওই বিক্ষোভ হয়। প্রতীকী কফিনগুলো ইসরায়েলি পতাকা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। গাজার রাফাহ এলাকায় হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে এর আড়ে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
নিহত ছয় জিম্মির মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও বাকিরা ইসরায়েলের নাগরিক বলে জানিয়েছে বিবিসি। এসব মরদেহ উদ্ধারের পর ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্কাই নিউজের ভিডিওটিতেও ভাইরাল ছবিটির কফিনগুলোর দেখা পাওয়া যায়।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলে গত ৬ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক ব্লগেও ইসরায়েলে ইরানের হামলায় নিহতদের কফিনের দাবিতে ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যায়।
ছবিটি সম্পর্কে সেখানে বলা হয়, গত ৫ সেপ্টেম্বর গাজায় জিম্মি অবস্থায় নিহত ২৭ ইসরায়েলির স্মরণে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়। কফিনগুলো ইসরায়েলি পতাকা দিয়ে মুড়ে দিয়ে হাবিম স্কয়ারে রাখা হয়। সেখানে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।
সুতরাং, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ইসরায়েলি পতাকা মোড়ানো ২৭টি কফিনের ছবির সঙ্গে গত রাতে ইসরায়েলে ইরানের হামলার কোনো সম্পর্ক নেই। ভাইরাল কফিনের ছবিটি আগের গতমাসের ও ভিন্ন ঘটনার।
আরও পড়ুন:
ইসরায়েলজুড়ে গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি দাবি করেছেন, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিয়েছে। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। অপরদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তার ৯০ শতাংশই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
এ হামলার পর ইসরায়েলের ন্যাশনাল রেসকিউ সার্ভিসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দুই ইসরায়েলি নাগরিক আহত হয়েছেন। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কোত্থেকে হয়েছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসরায়েলি পতাকা মোড়ানো ২৭টি কফিনের একটি ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
‘সাইবার ৭১–We work to Protect Bangladesh’ নামের একটি ফেসবুক পেজে আজ বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে এমন একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘আলহামদুলিল্লাহ এমন সকাল প্রতিদিন আসুক!।’ ছবিটি ঘণ্টা ছয়ের ব্যবধানে ৮ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ১১ হাজারের বেশি। কমেন্ট হয়েছে পাঁচ শতাধিক। অনেকেই ছবিটিকে ইসরায়েলে ইরানের হামলায় নিহতদের কফিনের ছবি হিসেবে ধরে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
রিভার্স ইমেজ সার্চে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে একই ধরনের একটি ছবি পাওয়া যায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর ছবিটি টুইট করে সংবাদমাধ্যমটি। ছবিটির সঙ্গে ফেসবুকে ভাইরাল ছবিটিতে থাকা দালানসহ অন্যান্য অবকাঠামোর মিল রয়েছে। টুইটে ছবির প্রসঙ্গে বলা হয়, ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা কফিন নিয়ে সমবেত হয়েছেন।
এই তথ্যের সূত্রের অনুসন্ধান করতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজে ৫ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তা থেকে জানা যায়, গাজায় জিম্মি অবস্থায় নিহত ইসরায়েলি নাগরিকদের স্মরণে কফিন হাতে তেল আবিবে ওই বিক্ষোভ হয়। প্রতীকী কফিনগুলো ইসরায়েলি পতাকা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। গাজার রাফাহ এলাকায় হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে এর আড়ে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
নিহত ছয় জিম্মির মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও বাকিরা ইসরায়েলের নাগরিক বলে জানিয়েছে বিবিসি। এসব মরদেহ উদ্ধারের পর ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্কাই নিউজের ভিডিওটিতেও ভাইরাল ছবিটির কফিনগুলোর দেখা পাওয়া যায়।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলে গত ৬ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক ব্লগেও ইসরায়েলে ইরানের হামলায় নিহতদের কফিনের দাবিতে ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যায়।
ছবিটি সম্পর্কে সেখানে বলা হয়, গত ৫ সেপ্টেম্বর গাজায় জিম্মি অবস্থায় নিহত ২৭ ইসরায়েলির স্মরণে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়। কফিনগুলো ইসরায়েলি পতাকা দিয়ে মুড়ে দিয়ে হাবিম স্কয়ারে রাখা হয়। সেখানে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।
সুতরাং, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ইসরায়েলি পতাকা মোড়ানো ২৭টি কফিনের ছবির সঙ্গে গত রাতে ইসরায়েলে ইরানের হামলার কোনো সম্পর্ক নেই। ভাইরাল কফিনের ছবিটি আগের গতমাসের ও ভিন্ন ঘটনার।
আরও পড়ুন:
যুবলীগ নেতাকে গুলি চালানোর সময় এক নারী এসে সন্ত্রাসীদের তাড়া করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
২ দিন আগেবাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
২ দিন আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৪ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৬ দিন আগে