ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে আছেন মাহফুজ আলম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক মাহফুজ আলম এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ছিলেন। তিনি এ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় চালানো হয়েছে নানা প্রচারণা। এসব প্রচারণার অন্যতম হচ্ছে, মাহফুজ আলম ইসলামি উগ্রপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে। যদিও এমন প্রচারণার কোনো সত্যতাই নেই। সম্প্রতি তিনি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় এসেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাঁকে নিয়ে এবার প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, ‘উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক। তার এ দেশে কোনো পূর্বপুরুষের বংশ পরম্পরায় নেই।’

গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘কামরুল হাসান রানা (Kamrul Hasan Rana)’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এমন দাবিতে পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটির কমেন্টবক্সে একই অ্যাকাউন্ট থেকে আরও দাবি করা হয়, ‘লক্ষ্মীপুরের রায়পুরায় তার গ্রামের বাড়ি বললেও মূলত সেখানে সে রিফিউজি, মিয়ানমার তার মাতৃভূমি’, ‘হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলায় জড়িত ছিল এই মাহফুজ, সেখানে জীবন নিয়ে ফেরা একমাত্র জঙ্গি ছিল সে, তারপর আত্মগোপনে যায়, এবং আত্মগোপনে থেকে আগের নাম মাহফুজ বিন আবদুল্লাহ পাল্টে, ছদ্মনাম মাহফুজ আলম নাম দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।’
এটি ছাড়াও আরও বিভিন্ন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে দাবিটি ছড়িয়েছে।
দাবিটির উৎস অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে ইউটিউবে‘Chetona।। চেতনা’ নামের একটি চ্যানেলে ‘ভয়ংকর তথ্য, মাহফুজ আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক।’ শিরোনামে পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন পোস্টেও সূত্র হিসেবে এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রায় ৯ মিনিটের ভিডিওটি চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়।

ভিডিওটিতে ‘উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক’ দাবি প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে নিয়ে তথাকথিত ‘ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট’ সূত্রে চ্যানেলটির হাতে ‘ভয়ংকর’ তথ্য এসেছে। ভিডিওটির ৩১ সেকেন্ডের মাথায় কথিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি পড়ে শোনানো হয়।
দাবি করা হয়, ‘মাহফুজ আব্দুল্লাহ তাঁর আসল নাম নয়। সে পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাঁর আসল বাড়িও কিন্তু লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নয়। সে মূলত ভিনদেশি, মিয়ানমারের। ইন্টারন্যাশনাল জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে তার বেশি যোগাযোগ আছে।’
ভিডিওটিতে মাহফুজ আলমকে হিজবুত তাহরীরের ‘দ্বিতীয় জঙ্গি ব্যাচ’–এর সর্দার দাবি করা হয়। ঢাকায় ২০১৬ সালে ঘটে যাওয়া হোলি আর্টিজানে হামলার সঙ্গে মাহফুজ আলমের সম্পৃক্ততা ছিল এবং হোলি আর্টিজান থেকে জীবন নিয়ে পালিয়ে যাওয়া একমাত্র জঙ্গি তিনি।
ভিডিওটিতে ভয়েস ওভার দেওয়া কণ্ঠটি দাবি করে, মাহফুজ মিয়ানমারের নাগরিক। ছোটকালে তাঁকে প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পাঠানো হয় এবং সেখানে ইসলামিক স্টেট (আইএস) তাঁকে প্রশিক্ষণ দেয়। একই সময়ে মাহফুজ আলমের নামে মাদ্রাসায় প্রোফাইল তৈরি করা হয়, যাতে তিনি সহজে মাদ্রাসার সনদ পেয়ে যান।
দাবিগুলোর সত্যতা কী?
মাহফুজ আলম আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক— দাবিটির সূত্র হিসেবে ভারতীয় ‘ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট’ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে মাহফুজ আলমকে নিয়ে ভারতীয় কোনো সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো প্রতিবেদনের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি।

আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে হোলি আর্টিজান হামলার সঙ্গেও মাহফুজ আলমের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। বিবিসি বাংলায় হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা নিয়ে ২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনার পরদিন সকালে কমান্ডো বাহিনীর বিশেষ অভিযানে হামলাকারী পাঁচজন জঙ্গি নিহত হয়।
আদালতের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মূল পরিকল্পনা করেন তামিম চৌধুরী, যিনি কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জে এক অভিযানে নিহত হন। হোলি আর্টিজানে চালানো কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন—রোহান ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল, সামিউল মোবাশ্বির, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং নিবরাস ইসলাম। এ ছাড়া পরে জঙ্গিবিরোধী অন্য অভিযানগুলোতে নিহত হন—তামিম চৌধুরী, মারজান, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান, তানভীর কাদেরী, তারেক রায়হান এবং ছোটো রায়হান।
এ ঘটনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন—জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মামুনুর রশিদ রিপন এবং শরিফুল ইসলাম খালিদ।
চেতনা নামের ইউটিউব চ্যানেলটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যম নয়। চ্যানেলটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, এটি ২০২০ সালের এপ্রিলে খোলা হয়েছে এবং যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত হয়।
চ্যানেলটিতে প্রচারিত কনটেন্টগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চ্যানেলটিতে চটকদার থাম্বনেইলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেন্টমার্টিনে পর্যটন প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন আলোচিত বিষয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টমার্টিন হস্তান্তর করতে গোপনে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, পাকিস্তান থেকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসা জাহাজে অস্ত্রের চালান ছিল।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এর ফলে অর্ধ শতক পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চালু হয়। গত ১১ নভেম্বর করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে প্রথম কোনো জাহাজ। শিপিং লাইন ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কন্টেইনারে ছিল শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ৬ হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করে।
আজকের পত্রিকা গত ১৬ নভেম্বর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি দেখুন—পাকিস্তানের জাহাজ থেকে চট্টগ্রামে নামল ৩৭০ কন্টেইনার, কী কী পণ্য এল
চলতি মাসের শুরুতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশে ফিরছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সে সময় তাঁকে বিমানবন্দরে হেনস্তা করে আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থক। এ ঘটনার একটি ভিডিও চ্যানেলটিতে শেয়ার করে দাবি করা হয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁকে ঘিরে ধরে।

মাহফুজ আলমকে মিয়ানমারের নাগরিক দাবিতে পোস্ট করা ভিডিওটির থাম্বনেইলেও মাহফুজ আলমের এডিটেড ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। থাম্বনেইলে ব্যবহৃত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের ইংরেজি সংস্করণে পাওয়া যায়। সংবাদমাধ্যমটিতে ২০১২ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে থাম্বনেইলে ব্যবহৃত মূল ছবিটি পাওয়া যায়। গ্রুপ ছবিটির সামনে থাকা ব্যক্তির মুখমণ্ডল এডিট করে সেখানে মাহফুজ আলমের মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাড়িতে সরেজমিন অনুসন্ধান
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দাবিটি অধিকতর যাচাইয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামে সরেজমিন অনুসন্ধানে যান আজকের পত্রিকার রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ফারুক হোসেন। মাহফুজ আলম সম্পর্কে অনলাইনে বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান রকমারির ওয়েবসাইটের লেখক প্রোফাইলে থাকা তথ্য অনুযায়ী, মাহফুজ আলমের জন্ম ১৯৯৫ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সাত ভাই-বোনের মধ্যে মাহফুজ আলম মেজ। তাঁর বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা পেশায় ব্যবসায়ী ও রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। মা তানজিলা বেগম গৃহিণী।
মাহফুজ আলম সম্পর্কে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মন্নান মোল্লা (৮০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রয়াত মুনছুর মোল্লার ছেলে প্রয়াত মকবুল আহম্মেদ মোল্লা। মকবুল আহম্মেদ মোল্লার ছেলে আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার মেজ ছেলে মাহফুজ আলম। ছোটবেলা থেকে মাহফুজ আলম স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন। তিনি কখনো কোনো খারাপ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। আমরা গর্বিত, তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন।’
স্থানীয় পূর্ব নারায়ণপুর দারুল কোরআন ইসলামী দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাহফুজ আলম আমার সরাসরি ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। ৮ম শ্রেণি থেকে তিনি ও তাঁর ভাই ২০১০ সালে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পুরো উপজেলায় যথাক্রমে তৃতীয় ও দ্বিতীয় হন। এরপর তিনি পার্শ্ববর্তী গল্লাক মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। মাহফুজ আলমের তিন বোনও এই মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করেছেন।’
মাহফুজ আলমের আরেকজন শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মাহফুজ আলম পূর্ব নারায়ণপুর দারুল কোরআন ইসলামী দাখিল মাদ্রাসা থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করে অন্য মাদ্রাসায় চলে যান। অত্যন্ত মেধাবী এ শিক্ষার্থীর রোল সব সময় এক ছিল।’
মাহফুজ আলমের এক সহপাঠী সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মূলত স্কুলের শিক্ষার্থী হলেও কোরআন শরিফ পড়া শিখতে এ মাদ্রাসায় ভর্তি হই। তখন আমি আর মাহফুজ আলম একত্রে এ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছি। মাহফুজ আলম ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মাহফুজ আলমের সহপাঠী হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’
স্থানীয় স্কলার’স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রফিক উল্যাহ বলেন, ‘মাহফুজ আলম আমার খুবই পরিচিত এবং এ অঞ্চলের কৃতি সন্তান হিসেবে আমরা তার জন্য গর্ববোধ করি। তার বিরুদ্ধে যারা বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে আমরা সেটির তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা ইছাপুরবাসী গর্ববোধ করি মাহফুজ আলমের মতো একজন রত্ন পেয়েছি।’
মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা বর্তমানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। আজ সোমবার রাতে বাড়ি ফিরবেন জানিয়ে সেলফোনে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেজ ছেলে মাহফুজ আলমের যে কোনো বিষয়ে জানতে আপনারা এলাকায় যেতে পারেন। এলাকার লোকজনের দোয়া–আদর ও ভালোবাসায় আমার ছেলে আজ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের উপদেষ্টা হয়েছেন।’
এসব কিছুই প্রমাণ করে, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে আছেন মাহফুজ আলম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক মাহফুজ আলম এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ছিলেন। তিনি এ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় চালানো হয়েছে নানা প্রচারণা। এসব প্রচারণার অন্যতম হচ্ছে, মাহফুজ আলম ইসলামি উগ্রপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে। যদিও এমন প্রচারণার কোনো সত্যতাই নেই। সম্প্রতি তিনি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় এসেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাঁকে নিয়ে এবার প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, ‘উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক। তার এ দেশে কোনো পূর্বপুরুষের বংশ পরম্পরায় নেই।’

গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘কামরুল হাসান রানা (Kamrul Hasan Rana)’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এমন দাবিতে পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটির কমেন্টবক্সে একই অ্যাকাউন্ট থেকে আরও দাবি করা হয়, ‘লক্ষ্মীপুরের রায়পুরায় তার গ্রামের বাড়ি বললেও মূলত সেখানে সে রিফিউজি, মিয়ানমার তার মাতৃভূমি’, ‘হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলায় জড়িত ছিল এই মাহফুজ, সেখানে জীবন নিয়ে ফেরা একমাত্র জঙ্গি ছিল সে, তারপর আত্মগোপনে যায়, এবং আত্মগোপনে থেকে আগের নাম মাহফুজ বিন আবদুল্লাহ পাল্টে, ছদ্মনাম মাহফুজ আলম নাম দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।’
এটি ছাড়াও আরও বিভিন্ন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে দাবিটি ছড়িয়েছে।
দাবিটির উৎস অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে ইউটিউবে‘Chetona।। চেতনা’ নামের একটি চ্যানেলে ‘ভয়ংকর তথ্য, মাহফুজ আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক।’ শিরোনামে পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন পোস্টেও সূত্র হিসেবে এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রায় ৯ মিনিটের ভিডিওটি চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়।

ভিডিওটিতে ‘উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক’ দাবি প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে নিয়ে তথাকথিত ‘ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট’ সূত্রে চ্যানেলটির হাতে ‘ভয়ংকর’ তথ্য এসেছে। ভিডিওটির ৩১ সেকেন্ডের মাথায় কথিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি পড়ে শোনানো হয়।
দাবি করা হয়, ‘মাহফুজ আব্দুল্লাহ তাঁর আসল নাম নয়। সে পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাঁর আসল বাড়িও কিন্তু লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নয়। সে মূলত ভিনদেশি, মিয়ানমারের। ইন্টারন্যাশনাল জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে তার বেশি যোগাযোগ আছে।’
ভিডিওটিতে মাহফুজ আলমকে হিজবুত তাহরীরের ‘দ্বিতীয় জঙ্গি ব্যাচ’–এর সর্দার দাবি করা হয়। ঢাকায় ২০১৬ সালে ঘটে যাওয়া হোলি আর্টিজানে হামলার সঙ্গে মাহফুজ আলমের সম্পৃক্ততা ছিল এবং হোলি আর্টিজান থেকে জীবন নিয়ে পালিয়ে যাওয়া একমাত্র জঙ্গি তিনি।
ভিডিওটিতে ভয়েস ওভার দেওয়া কণ্ঠটি দাবি করে, মাহফুজ মিয়ানমারের নাগরিক। ছোটকালে তাঁকে প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পাঠানো হয় এবং সেখানে ইসলামিক স্টেট (আইএস) তাঁকে প্রশিক্ষণ দেয়। একই সময়ে মাহফুজ আলমের নামে মাদ্রাসায় প্রোফাইল তৈরি করা হয়, যাতে তিনি সহজে মাদ্রাসার সনদ পেয়ে যান।
দাবিগুলোর সত্যতা কী?
মাহফুজ আলম আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক— দাবিটির সূত্র হিসেবে ভারতীয় ‘ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট’ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে মাহফুজ আলমকে নিয়ে ভারতীয় কোনো সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো প্রতিবেদনের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি।

আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে হোলি আর্টিজান হামলার সঙ্গেও মাহফুজ আলমের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। বিবিসি বাংলায় হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা নিয়ে ২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনার পরদিন সকালে কমান্ডো বাহিনীর বিশেষ অভিযানে হামলাকারী পাঁচজন জঙ্গি নিহত হয়।
আদালতের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মূল পরিকল্পনা করেন তামিম চৌধুরী, যিনি কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জে এক অভিযানে নিহত হন। হোলি আর্টিজানে চালানো কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন—রোহান ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল, সামিউল মোবাশ্বির, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং নিবরাস ইসলাম। এ ছাড়া পরে জঙ্গিবিরোধী অন্য অভিযানগুলোতে নিহত হন—তামিম চৌধুরী, মারজান, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান, তানভীর কাদেরী, তারেক রায়হান এবং ছোটো রায়হান।
এ ঘটনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন—জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মামুনুর রশিদ রিপন এবং শরিফুল ইসলাম খালিদ।
চেতনা নামের ইউটিউব চ্যানেলটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যম নয়। চ্যানেলটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, এটি ২০২০ সালের এপ্রিলে খোলা হয়েছে এবং যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত হয়।
চ্যানেলটিতে প্রচারিত কনটেন্টগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চ্যানেলটিতে চটকদার থাম্বনেইলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেন্টমার্টিনে পর্যটন প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন আলোচিত বিষয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টমার্টিন হস্তান্তর করতে গোপনে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, পাকিস্তান থেকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসা জাহাজে অস্ত্রের চালান ছিল।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এর ফলে অর্ধ শতক পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চালু হয়। গত ১১ নভেম্বর করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে প্রথম কোনো জাহাজ। শিপিং লাইন ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কন্টেইনারে ছিল শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ৬ হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করে।
আজকের পত্রিকা গত ১৬ নভেম্বর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি দেখুন—পাকিস্তানের জাহাজ থেকে চট্টগ্রামে নামল ৩৭০ কন্টেইনার, কী কী পণ্য এল
চলতি মাসের শুরুতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশে ফিরছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সে সময় তাঁকে বিমানবন্দরে হেনস্তা করে আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থক। এ ঘটনার একটি ভিডিও চ্যানেলটিতে শেয়ার করে দাবি করা হয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁকে ঘিরে ধরে।

মাহফুজ আলমকে মিয়ানমারের নাগরিক দাবিতে পোস্ট করা ভিডিওটির থাম্বনেইলেও মাহফুজ আলমের এডিটেড ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। থাম্বনেইলে ব্যবহৃত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের ইংরেজি সংস্করণে পাওয়া যায়। সংবাদমাধ্যমটিতে ২০১২ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে থাম্বনেইলে ব্যবহৃত মূল ছবিটি পাওয়া যায়। গ্রুপ ছবিটির সামনে থাকা ব্যক্তির মুখমণ্ডল এডিট করে সেখানে মাহফুজ আলমের মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাড়িতে সরেজমিন অনুসন্ধান
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দাবিটি অধিকতর যাচাইয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামে সরেজমিন অনুসন্ধানে যান আজকের পত্রিকার রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ফারুক হোসেন। মাহফুজ আলম সম্পর্কে অনলাইনে বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান রকমারির ওয়েবসাইটের লেখক প্রোফাইলে থাকা তথ্য অনুযায়ী, মাহফুজ আলমের জন্ম ১৯৯৫ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সাত ভাই-বোনের মধ্যে মাহফুজ আলম মেজ। তাঁর বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা পেশায় ব্যবসায়ী ও রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। মা তানজিলা বেগম গৃহিণী।
মাহফুজ আলম সম্পর্কে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মন্নান মোল্লা (৮০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রয়াত মুনছুর মোল্লার ছেলে প্রয়াত মকবুল আহম্মেদ মোল্লা। মকবুল আহম্মেদ মোল্লার ছেলে আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার মেজ ছেলে মাহফুজ আলম। ছোটবেলা থেকে মাহফুজ আলম স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন। তিনি কখনো কোনো খারাপ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। আমরা গর্বিত, তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন।’
স্থানীয় পূর্ব নারায়ণপুর দারুল কোরআন ইসলামী দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাহফুজ আলম আমার সরাসরি ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। ৮ম শ্রেণি থেকে তিনি ও তাঁর ভাই ২০১০ সালে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পুরো উপজেলায় যথাক্রমে তৃতীয় ও দ্বিতীয় হন। এরপর তিনি পার্শ্ববর্তী গল্লাক মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। মাহফুজ আলমের তিন বোনও এই মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করেছেন।’
মাহফুজ আলমের আরেকজন শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মাহফুজ আলম পূর্ব নারায়ণপুর দারুল কোরআন ইসলামী দাখিল মাদ্রাসা থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করে অন্য মাদ্রাসায় চলে যান। অত্যন্ত মেধাবী এ শিক্ষার্থীর রোল সব সময় এক ছিল।’
মাহফুজ আলমের এক সহপাঠী সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মূলত স্কুলের শিক্ষার্থী হলেও কোরআন শরিফ পড়া শিখতে এ মাদ্রাসায় ভর্তি হই। তখন আমি আর মাহফুজ আলম একত্রে এ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছি। মাহফুজ আলম ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মাহফুজ আলমের সহপাঠী হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’
স্থানীয় স্কলার’স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রফিক উল্যাহ বলেন, ‘মাহফুজ আলম আমার খুবই পরিচিত এবং এ অঞ্চলের কৃতি সন্তান হিসেবে আমরা তার জন্য গর্ববোধ করি। তার বিরুদ্ধে যারা বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে আমরা সেটির তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা ইছাপুরবাসী গর্ববোধ করি মাহফুজ আলমের মতো একজন রত্ন পেয়েছি।’
মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা বর্তমানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। আজ সোমবার রাতে বাড়ি ফিরবেন জানিয়ে সেলফোনে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেজ ছেলে মাহফুজ আলমের যে কোনো বিষয়ে জানতে আপনারা এলাকায় যেতে পারেন। এলাকার লোকজনের দোয়া–আদর ও ভালোবাসায় আমার ছেলে আজ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের উপদেষ্টা হয়েছেন।’
এসব কিছুই প্রমাণ করে, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

ইউটিউবে ‘Chetona।। চেতনা’ নামের একটি চ্যানেলে ‘ভয়ংকর তথ্য, মাহফুজ আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক।’ শিরোনামে পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন পোস্টেও সূত্র হিসেবে এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রায় ৯ মিনিটের ভিডিওটি চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়।
২৫ নভেম্বর ২০২৪
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫বাসস

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’

ইউটিউবে ‘Chetona।। চেতনা’ নামের একটি চ্যানেলে ‘ভয়ংকর তথ্য, মাহফুজ আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক।’ শিরোনামে পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন পোস্টেও সূত্র হিসেবে এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রায় ৯ মিনিটের ভিডিওটি চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়।
২৫ নভেম্বর ২০২৪
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।

রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।

ইউটিউবে ‘Chetona।। চেতনা’ নামের একটি চ্যানেলে ‘ভয়ংকর তথ্য, মাহফুজ আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক।’ শিরোনামে পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন পোস্টেও সূত্র হিসেবে এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রায় ৯ মিনিটের ভিডিওটি চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়।
২৫ নভেম্বর ২০২৪
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণী হাত বাঁধা অবস্থায় কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশেই একজন মধ্যবয়সী তরুণীটির বাবা পরিচয়ে আর্তনাদ করছেন। তাঁকে আরেকজন যুবক সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি তরুণীকে ঘিরে পর্যবেক্ষণ করছেন। ভিডিওর শেষাংশে পুলিশকে তরুণীর মরদেহ ব্যাগে ভরতে দেখা যায়।
‘Md Nishad Hossain’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘আহারে নির্মমতা এবং একজন বাবার আর্তনাদ। বাংলাদেশ ২০২৪’র আগস্ট মাস থেকে সারা দেশে নারী ধর্ষণ করেই চলছে বিএনপি জামাতের মব সন্ত্রাসীরা। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে রেখে গেছে। মেয়ের পিতার আহাজারী কে শুনবে দেশে এখন বিচার নাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হায়ানারা যা যা করছে ২০২৪ ’র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তার চেয়ে বেশি করছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ৫১৫টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৫৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৮৫ বার।
এসব কমেন্টে অনেকে ভিডিওটি নাটক উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছে। Shilvi Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আহারে জীবন! মানুষ কিভাবে এতো নির্মম হয়? একজন বাবার আর্তনাদ কি কারো মনকে মর্মাহত করে না?’ (বানান অপরিবর্তিত) Narayon Saha লিখেছে,’ এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বাবার কান্দে সন্তানের লাশ হায়রে দুনিয়া।’ (বানান অপরিবর্তিত)
S M Salam Patwari, গর্জে ওঠো আরেকবার বাংলাদেশ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগ শাখা নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ‘Short Film BD’ নামে একটি লোগো লক্ষ করা যায়। এই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Short Film BD’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২০ জুনে প্রকাশিত। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মেঝেতে পড়ে থাকা তরুণী, পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, আহাজারি করা ব্যক্তি ও আশপাশের দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘মৌসুমীর সাথে কি হলো।’ ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখে বোঝা যায়, এটি একটি নাটিকার দৃশ্য।
Short Film BD নামে ফেসবুক পেজটিতে একই তারিখে একই ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘মেয়ের কি হইছে জানতে চায় অসহায় বাবা।’ (বানান অপরিবর্তিত)

Short Film BD ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বিভিন্ন ধরনের নাটিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অভিনয় করা একাধিক ব্যক্তিকে অন্যান্য ভিডিওতেও (১, ২) দেখা গেছে।
এ ছাড়া এই পেজের ইন্ট্রোতে লেখা, ‘শর্টফিল্ম ও নাটক দেখুন এবং উপভোগ করুন। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তরিত)

সুতরাং, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে একটি নাটক।
বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণী হাত বাঁধা অবস্থায় কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশেই একজন মধ্যবয়সী তরুণীটির বাবা পরিচয়ে আর্তনাদ করছেন। তাঁকে আরেকজন যুবক সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি তরুণীকে ঘিরে পর্যবেক্ষণ করছেন। ভিডিওর শেষাংশে পুলিশকে তরুণীর মরদেহ ব্যাগে ভরতে দেখা যায়।
‘Md Nishad Hossain’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘আহারে নির্মমতা এবং একজন বাবার আর্তনাদ। বাংলাদেশ ২০২৪’র আগস্ট মাস থেকে সারা দেশে নারী ধর্ষণ করেই চলছে বিএনপি জামাতের মব সন্ত্রাসীরা। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে রেখে গেছে। মেয়ের পিতার আহাজারী কে শুনবে দেশে এখন বিচার নাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হায়ানারা যা যা করছে ২০২৪ ’র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তার চেয়ে বেশি করছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ৫১৫টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৫৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৮৫ বার।
এসব কমেন্টে অনেকে ভিডিওটি নাটক উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছে। Shilvi Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আহারে জীবন! মানুষ কিভাবে এতো নির্মম হয়? একজন বাবার আর্তনাদ কি কারো মনকে মর্মাহত করে না?’ (বানান অপরিবর্তিত) Narayon Saha লিখেছে,’ এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বাবার কান্দে সন্তানের লাশ হায়রে দুনিয়া।’ (বানান অপরিবর্তিত)
S M Salam Patwari, গর্জে ওঠো আরেকবার বাংলাদেশ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগ শাখা নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ‘Short Film BD’ নামে একটি লোগো লক্ষ করা যায়। এই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Short Film BD’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২০ জুনে প্রকাশিত। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মেঝেতে পড়ে থাকা তরুণী, পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, আহাজারি করা ব্যক্তি ও আশপাশের দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘মৌসুমীর সাথে কি হলো।’ ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখে বোঝা যায়, এটি একটি নাটিকার দৃশ্য।
Short Film BD নামে ফেসবুক পেজটিতে একই তারিখে একই ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘মেয়ের কি হইছে জানতে চায় অসহায় বাবা।’ (বানান অপরিবর্তিত)

Short Film BD ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বিভিন্ন ধরনের নাটিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অভিনয় করা একাধিক ব্যক্তিকে অন্যান্য ভিডিওতেও (১, ২) দেখা গেছে।
এ ছাড়া এই পেজের ইন্ট্রোতে লেখা, ‘শর্টফিল্ম ও নাটক দেখুন এবং উপভোগ করুন। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তরিত)

সুতরাং, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে একটি নাটক।

ইউটিউবে ‘Chetona।। চেতনা’ নামের একটি চ্যানেলে ‘ভয়ংকর তথ্য, মাহফুজ আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক।’ শিরোনামে পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন পোস্টেও সূত্র হিসেবে এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রায় ৯ মিনিটের ভিডিওটি চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়।
২৫ নভেম্বর ২০২৪
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫