ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
২০২৩ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার ২৬তম আসরে প্রথম হয়েছিলেন বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম। এর আগে ২০২২ সালে সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার ৪২তম আসরে নিজ বিভাগে তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি। সেই তাকরিমের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ছবিসহ বেশ কিছু পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
‘ইলিয়াস হোসাইন’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে আজকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কোরআনের হাফেজ সালেহ আহমেদ। তাকরিম বিদ্যুৎ তাড়িত সংস্পর্শ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ৷ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই পোস্টে ১ হাজার ৭০০ রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং এটিয়ার হয়েছে ২২৩ বার। পোস্টটিতে কমেন্ট পড়েছে ৩৪৭টি। অনেকে এটিকে ‘ভুল তথ্য’ লিখে কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করে কমেন্ট করেছেন।
রোকনুজ্জামান রোকন (Roknuzzaman Rokon) লিখেছে, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, হাফেজ তাকরিম কে আল্লাহ তুমি জান্নাতুল ফিরদাউস দান করো।’
‘Md Eliyas Khan’ এবং ‘Abbur Konna’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ‘Newaj bhai’ নামে ফেসবুক পেজক থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে তথ্যটি পোস্ট করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সত্যতা জানতে গুগলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করলে সালেহ আহমেদ তাকরিমের মৃত্যুর তথ্য কোনো সংবাদ মাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
তবে একই সার্চে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের একটি প্রতিবেদনে ‘মো. তাকরিম শেখ’ নামে একজন কুরআন হাফেজের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। তাঁর চেহারার সঙ্গে সালেহ আহমেদ তাকরিমের চেহারার ভিন্নতা দেখা যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নে মো. তাকরিম শেখ নামে একজন কুরআনে হাফেজ মারা যান।
কালবেলায় আজকে মঙ্গলবারের (১৮ ফেব্রুয়ারি) একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিমের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামে। তাকরিম বর্তমানে ‘মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী, ঢাকা’ মাদ্রাসার কিতাব বিভাগে পড়াশুনা করছেন।
সালেহ আহমদ তাকরিমের বিষয়ে জানতে মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষক শামসউদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। সালেহ আহমদ তাকরিমের বিষয়টি তাঁকে জানালে তিনি বলেন, ‘সালেহ আহমদ তাকরিমের মৃত্যুর তথ্যটি মিথ্যা। তাকরিম সুস্থ আছে।’
সুতরাং, দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ২৬তম আসরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্ব বিভাগে প্রথম হওয়া সালেহ আহমেদ তাকরিম মারা যাওয়ার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া তথ্যটি মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, সালেহ আহমেদ তাকরিম সুস্থ আছেন। বিষয়টি তাঁর শিক্ষক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার ২৬তম আসরে প্রথম হয়েছিলেন বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম। এর আগে ২০২২ সালে সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার ৪২তম আসরে নিজ বিভাগে তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি। সেই তাকরিমের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ছবিসহ বেশ কিছু পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
‘ইলিয়াস হোসাইন’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে আজকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কোরআনের হাফেজ সালেহ আহমেদ। তাকরিম বিদ্যুৎ তাড়িত সংস্পর্শ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ৷ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই পোস্টে ১ হাজার ৭০০ রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং এটিয়ার হয়েছে ২২৩ বার। পোস্টটিতে কমেন্ট পড়েছে ৩৪৭টি। অনেকে এটিকে ‘ভুল তথ্য’ লিখে কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করে কমেন্ট করেছেন।
রোকনুজ্জামান রোকন (Roknuzzaman Rokon) লিখেছে, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, হাফেজ তাকরিম কে আল্লাহ তুমি জান্নাতুল ফিরদাউস দান করো।’
‘Md Eliyas Khan’ এবং ‘Abbur Konna’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ‘Newaj bhai’ নামে ফেসবুক পেজক থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে তথ্যটি পোস্ট করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সত্যতা জানতে গুগলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করলে সালেহ আহমেদ তাকরিমের মৃত্যুর তথ্য কোনো সংবাদ মাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
তবে একই সার্চে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের একটি প্রতিবেদনে ‘মো. তাকরিম শেখ’ নামে একজন কুরআন হাফেজের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। তাঁর চেহারার সঙ্গে সালেহ আহমেদ তাকরিমের চেহারার ভিন্নতা দেখা যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নে মো. তাকরিম শেখ নামে একজন কুরআনে হাফেজ মারা যান।
কালবেলায় আজকে মঙ্গলবারের (১৮ ফেব্রুয়ারি) একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিমের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামে। তাকরিম বর্তমানে ‘মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী, ঢাকা’ মাদ্রাসার কিতাব বিভাগে পড়াশুনা করছেন।
সালেহ আহমদ তাকরিমের বিষয়ে জানতে মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষক শামসউদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। সালেহ আহমদ তাকরিমের বিষয়টি তাঁকে জানালে তিনি বলেন, ‘সালেহ আহমদ তাকরিমের মৃত্যুর তথ্যটি মিথ্যা। তাকরিম সুস্থ আছে।’
সুতরাং, দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ২৬তম আসরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্ব বিভাগে প্রথম হওয়া সালেহ আহমেদ তাকরিম মারা যাওয়ার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া তথ্যটি মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, সালেহ আহমেদ তাকরিম সুস্থ আছেন। বিষয়টি তাঁর শিক্ষক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে নিশ্চিত করেছেন।
দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
২ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৩ দিন আগেকাছ থেকে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় বলে ধারণা প্রচলিত আছে। এই কারণে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে টেলিভিশনের খুব কাছাকাছি বসে দেখতে দেন না। কিন্তু এই ধারণার কি বাস্তব ভিত্তি আছে? এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ
৪ দিন আগে