ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ফেসবুকে আজকাল বিচিত্র সব ছবি, ভিডিও ও তথ্য দেখতে পাওয়া যায়। এত পোস্টের ভিড়ে সেগুলোর সত্য-মিথ্যা যাচাই করাও বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিওর পাশাপাশি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে ডাউনলোড করা ভিন্ন প্রসঙ্গের ছবি পোস্ট করে মনগড়া তথ্য শেয়ার করতে দেখা যায় নেটাগরিকদের। অনেক সময় এতে ঘটে বিভ্রান্তি। যদিও ইন্টারনেটের কল্যাণে অনেক অজানা তথ্যও সহজেই সামনে আসছে।
ফেসবুকে সম্প্রতি একটি পরিত্যক্ত রেলের বগির ছবি ভাইরাল হয়েছে। রেলের বগিটি একটি খালের ওপর সেতুর মতো করে বসানো হয়েছে। কয়েক হাজার আইডি, গ্রুপ ও পেজে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিন্ন ভিন্ন আইডিতে ছবিটি পোস্ট করা হলেও ক্যাপশন হুবহু এক। লেখা হচ্ছে, ‘খালে সেতুর বদলে পরিত্যক্ত রেলওয়ে কোচ। বাংলাদেশে এ ধরনের কয়েক হাজার পরিত্যক্ত রেলকোচ বা বগি পড়ে আছে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ বা রেল জংশনে। এগুলো টেন্ডারে বা ভাঙারি হিসেবে বিক্রির কোনো তাগিদ দেখা যায় না, অথচ মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
ক্যাপশনে আরও লেখা হচ্ছে, ‘সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এগুলো দেশের খাল পারাপারের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। খাল একটু বড় হলে দুই বা ততোধিক বগি সংযুক্ত করা যেতে পারে। তদারকি বা রং করে বহুদিন ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা যায়।’
পোস্টগুলোতে ছবির সঙ্গে যে বুদ্ধি বাতলে দেওয়া হয়েছে, সেটি নিঃসন্দেহে ভেবে দেখা যেতে পারে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তাঁরা নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে ভাববেন।
তবে ফেসবুকে ছবিটি দেশীয় প্রেক্ষাপটে বহুল ব্যবহৃত হওয়ায় আমরা ছবিটির উৎস সন্ধান করেছি। সত্যিই কি এ রকম পরিত্যক্ত রেলের বগি ব্যবহার করে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে?
ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট মেসিনেসিচিক-এ ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি ব্লগে এই সেতুকে বিশ্বাসঘাতক ট্রেন ব্রিজ নামে অভিহিত করা হয়েছে। ওই ব্লগে পরিত্যক্ত বগির ভেতরের অংশসহ বেশ কিছু ছবি পাওয়া যায়। ক্যাপশনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেতুটি জর্জিয়ার সামটস্খে-জাভাখেথি (Samtskhe-Javakheti) অঞ্চলের রাজধানী আখালকালাকিতে (Akhalkalaki) অবস্থিত।
ভেতরের অংশের ছবি দেখে অনুমান করা যায়, এটি মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয় না। কারণ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভেতরে এটি মানুষের চলাচলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যে খালের ওপর বগিটি রাখা হয়েছে, তা বেশ প্রমত্ত।
ছবি-ভিডিও বিক্রির ওয়েবসাইট অ্যালামি ডটকমে একজন নারীর ছবি পাওয়া যায়, যিনি রেল বগির ভেতরে দাঁড়িয়ে দেখছেন। পাটাতনে বেশ বড় একটি ফাঁকা থাকায় সেটি দিয়ে পারাপার কষ্টসাধ্য।
রোমেন বিগার্ড নামের এক ব্যক্তির ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম আইডিতে ওই সেতুর একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
২০১৮ সালের ২১ আগস্ট দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সেতুটির ছবি পাওয়া যায়। পরিত্যক্ত বস্তু দিয়ে নির্মিত বিশ্বের ১৯টি আশ্চর্যজনক স্থানের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
পুরো দুনিয়ায় এখন পরিত্যক্ত বস্তুকে কাজে লাগানোর বিষয়টি আলোচিত। জর্জিয়ায় পরিত্যক্ত রেলবগি দিয়ে নির্মিত এই সেতু সাধারণের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা না হলেও স্থাপনাটি পর্যটকের দৃষ্টি কেড়েছে।
সামাজিক মাধ্যমের এই ‘ভাইরাল’ ছবি দেখে কর্তৃপক্ষ আমাদের দেশেও এই ধারণাকে কাজে লাগিয়ে সেতু নির্মাণ করবেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ফেসবুকে আজকাল বিচিত্র সব ছবি, ভিডিও ও তথ্য দেখতে পাওয়া যায়। এত পোস্টের ভিড়ে সেগুলোর সত্য-মিথ্যা যাচাই করাও বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিওর পাশাপাশি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে ডাউনলোড করা ভিন্ন প্রসঙ্গের ছবি পোস্ট করে মনগড়া তথ্য শেয়ার করতে দেখা যায় নেটাগরিকদের। অনেক সময় এতে ঘটে বিভ্রান্তি। যদিও ইন্টারনেটের কল্যাণে অনেক অজানা তথ্যও সহজেই সামনে আসছে।
ফেসবুকে সম্প্রতি একটি পরিত্যক্ত রেলের বগির ছবি ভাইরাল হয়েছে। রেলের বগিটি একটি খালের ওপর সেতুর মতো করে বসানো হয়েছে। কয়েক হাজার আইডি, গ্রুপ ও পেজে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিন্ন ভিন্ন আইডিতে ছবিটি পোস্ট করা হলেও ক্যাপশন হুবহু এক। লেখা হচ্ছে, ‘খালে সেতুর বদলে পরিত্যক্ত রেলওয়ে কোচ। বাংলাদেশে এ ধরনের কয়েক হাজার পরিত্যক্ত রেলকোচ বা বগি পড়ে আছে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ বা রেল জংশনে। এগুলো টেন্ডারে বা ভাঙারি হিসেবে বিক্রির কোনো তাগিদ দেখা যায় না, অথচ মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
ক্যাপশনে আরও লেখা হচ্ছে, ‘সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এগুলো দেশের খাল পারাপারের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। খাল একটু বড় হলে দুই বা ততোধিক বগি সংযুক্ত করা যেতে পারে। তদারকি বা রং করে বহুদিন ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা যায়।’
পোস্টগুলোতে ছবির সঙ্গে যে বুদ্ধি বাতলে দেওয়া হয়েছে, সেটি নিঃসন্দেহে ভেবে দেখা যেতে পারে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তাঁরা নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে ভাববেন।
তবে ফেসবুকে ছবিটি দেশীয় প্রেক্ষাপটে বহুল ব্যবহৃত হওয়ায় আমরা ছবিটির উৎস সন্ধান করেছি। সত্যিই কি এ রকম পরিত্যক্ত রেলের বগি ব্যবহার করে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে?
ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট মেসিনেসিচিক-এ ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি ব্লগে এই সেতুকে বিশ্বাসঘাতক ট্রেন ব্রিজ নামে অভিহিত করা হয়েছে। ওই ব্লগে পরিত্যক্ত বগির ভেতরের অংশসহ বেশ কিছু ছবি পাওয়া যায়। ক্যাপশনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেতুটি জর্জিয়ার সামটস্খে-জাভাখেথি (Samtskhe-Javakheti) অঞ্চলের রাজধানী আখালকালাকিতে (Akhalkalaki) অবস্থিত।
ভেতরের অংশের ছবি দেখে অনুমান করা যায়, এটি মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয় না। কারণ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভেতরে এটি মানুষের চলাচলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যে খালের ওপর বগিটি রাখা হয়েছে, তা বেশ প্রমত্ত।
ছবি-ভিডিও বিক্রির ওয়েবসাইট অ্যালামি ডটকমে একজন নারীর ছবি পাওয়া যায়, যিনি রেল বগির ভেতরে দাঁড়িয়ে দেখছেন। পাটাতনে বেশ বড় একটি ফাঁকা থাকায় সেটি দিয়ে পারাপার কষ্টসাধ্য।
রোমেন বিগার্ড নামের এক ব্যক্তির ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম আইডিতে ওই সেতুর একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
২০১৮ সালের ২১ আগস্ট দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সেতুটির ছবি পাওয়া যায়। পরিত্যক্ত বস্তু দিয়ে নির্মিত বিশ্বের ১৯টি আশ্চর্যজনক স্থানের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
পুরো দুনিয়ায় এখন পরিত্যক্ত বস্তুকে কাজে লাগানোর বিষয়টি আলোচিত। জর্জিয়ায় পরিত্যক্ত রেলবগি দিয়ে নির্মিত এই সেতু সাধারণের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা না হলেও স্থাপনাটি পর্যটকের দৃষ্টি কেড়েছে।
সামাজিক মাধ্যমের এই ‘ভাইরাল’ ছবি দেখে কর্তৃপক্ষ আমাদের দেশেও এই ধারণাকে কাজে লাগিয়ে সেতু নির্মাণ করবেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ছয়মাস পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে মিছিল করেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে ডাকাতির সময় ফিল্মি স্টাইলে ভবন টপকাতে গিয়ে গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয়েছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওতে রাতের বেলা একজন যুবককে আন্ডারওয়্যার পরা অবস্থায় একটি বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে পাশের
২ দিন আগেসম্প্রতি দেশে একাধিক ধর্ষণের তথ্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে। ঢাকায় প্রকাশ্যে একজন ভিখারিকে ধর্ষণ করা হচ্ছে— দাবি করে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
৩ দিন আগেশেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ১২তম শুনানিতে সুইজারল্যান্ডে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে ২৭ জন লবিস্ট অংশগ্রহণ করছে— এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
৩ দিন আগে