ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

দেশ তানজানিয়ার ন্যাট্রন হ্রদ, যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে নির্মল হ্রদগুলোর মধ্যে একটি। এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে আসলে যে কোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছর অনেক অতিথি পাখি এখানে আসে। দুর্ঘটনাবশত এদের অনেকেই মারা যায়।
ফেসবুকে এমন তথ্য সংবলিত পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টে একটি হ্রদ ও পানির ওপর একটি মৃত পাখির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
‘বিজ্ঞান পোস্ট: (মহাকাশ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি)’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটি আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা পর্যন্ত ১ হাজার শেয়ার হয়েছে। এতে রিয়েকশন পড়েছে প্রায় ১৪ হাজার।
পোস্টটিতে ন্যাট্রন হ্রদটি নিয়ে বলা হয়েছে, ন্যাট্রন হ্রদের ক্ষারীয় জলের পিএইচ মান ১০ দশমিক ৫ এর মতো। এর তীব্র ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য প্রাণীদের ত্বক এবং চোখ পুড়িয়ে ফেলতে পারে। পানির ক্ষারত্ব আসে সোডিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য খনিজ থেকে। পার্শ্ববর্তী আগ্নেয়গিরির লাভার কারণেই হ্রদের পানি এতো ক্ষারীয়। পানিতে অতিরিক্ত সোডিয়াম কার্বনেট থাকার কারণে মৃতদেহগুলো পচে না।
ন্যাট্রন হ্রদের পানি কি বিপজ্জনক?
হ্রদটি নিয়ে অনুসন্ধানে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সে ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যগুলোর মিল পাওয়া যায়। তানজানিয়ায় অবস্থিত ন্যাট্রন হ্রদ আফ্রিকার সবচেয়ে শান্ত হ্রদগুলোর একটি। হ্রদটি আফ্রিকার সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ওল ডোইনিও লেংগাইয়ের পাদদেশে অবস্থিত। এই হ্রদ থেকে এমন কিছু ছবি তোলা হয়েছে, যা দেখলে মনে হয়, জীবন্ত প্রাণীগুলো যেন সহসায় পাথরে পরিণত হয়েছে!
হ্রদটির পানিতে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি। এটি মিশরে মমি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। হ্রদটির পানিতে পড়ে মারা যাওয়া প্রাণী দেহের পচন রোধে এই সোডিয়াম কার্বনেট চমৎকার প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে।
উল্লেখ্য, ১০ অণু পানিযুক্ত সোডিয়াম কার্বোনেট লবণকে রসায়ন বিজ্ঞানে ন্যাট্রন বলে। এর রাসায়নিক সংকেত— Na2(CO3)10(H2O)।
হ্রদটি সম্পর্কে লাইভ সায়েন্সে বলা হয়েছে, কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়, কোনো প্রাণী এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে এলেই সেটি মারা যায় এবং পাথরে পরিণত হয়। দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ন্যাট্রন হ্রদের ক্ষারীয় পানিতে তেলাপিয়া এবং শৈবালের একটি সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছে। এই বাস্তুতন্ত্রকে কেন্দ্র করে সেখানকার ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিরা জীবন নির্বাহ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক ম্যাগি কোয়ের্থ–বেকারকে উদ্ধৃত করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ন্যাট্রন হ্রদটিকে ভয়ংকর হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এটি অত ভয়ংকর নয়। হ্রদটির ক্ষারীয় পানিতে তেলাপিয়া জাতীয় মাছ ও শৈবাল পাওয়া যায়। এই মাছ ও শৈবাল হ্রদটির ক্ষারীয় পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, হ্রদটি লেজার ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিদের গুরুত্বপূর্ণ প্রজননক্ষেত্র। হ্রদটিতে কোনো প্রাণী পড়লেই তৎক্ষণাৎ মারা যায় না এবং মৃত প্রাণী পাথরেও পরিণত হয় না। যে প্রাণীগুলো এখানে মারা যায়, অতিরিক্ত লবণাক্ত পানির কারণে সেগুলোর দেহাবশেষ পচে না, দীর্ঘদিন অক্ষত থাকে। এগুলোই হ্রদটিকে অনন্য করে তুলেছে।
এই হ্রদে ঘুরে এসে ‘অ্যাক্রোস দ্য রাভাগেইড ল্যান্ড’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোকচিত্রী নিক ব্র্যান্ডট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এখানে প্রাণীরা কী কারণে মারা যায়, তা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুমান করা যায়, হ্রদটির পানির পৃষ্ঠ আলোর নিখুঁত প্রতিফলক হিসেবে কাজ করে, ফলে প্রাণীরা বিভ্রান্ত হয়ে হ্রদে নেমে পড়ে। তবে এই হ্রদ প্রাণীদের জন্য মৃত্যুপুরী হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।
ভাইরাল ছবিটির নেপথ্যের গল্প কী
ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টটিতে ব্যবহৃত মৃত ফ্ল্যামিঙ্গোর ছবিটি নিক ব্র্যান্ডটের তোলা। হ্রদে ঘুরতে গিয়ে ছবিটি তোলেন তিনি। আরও বেশ কিছু ছবি তুলেছিলেন তিনি। ছবিগুলো তোলা হয় ২০১০ এবং ২০১২ সালে। ছবিগুলো সম্পর্কে ব্র্যান্ডট বলেন, তিনি হ্রদটির তীরে ফ্ল্যামিঙ্গোসহ আরও বেশকিছু প্রাণীর দেহাবশেষ খুঁজে পান। প্রাণীগুলোর গায়ে খড়িমাটির মতো সোডিয়াম কার্বনেটের আস্তরণ ছিল। কুড়িয়ে পাওয়ার পর তিনি ছবি তোলার উদ্দেশ্যে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গগুলো এমনভাবে সংযোজন করতেন যেন দেখে জীবন্ত মনে হয়। ছবিগুলোতে বিজ্ঞানের চেয়ে শিল্পকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ব্র্যান্ডট।
ব্র্যান্ডট বলেন, হ্রদের পানিতে সোডা এবং লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। এই সোডা এবং লবণ প্রাণীগুলোর গায়ে অদ্রবণীয় যৌগের আস্তরণ তৈরি করে চমৎকারভাবে সংরক্ষণ করে রাখে। তিনি যখন প্রাণীগুলোকে পেয়েছিলেন, এই যৌগের আস্তরণ তৈরির কারণে এগুলোকে পাথরের মতো শক্ত মনে হচ্ছিল।
ব্র্যান্ডটের এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ ডেভিড হার্পারের বক্তব্যে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাধারণত মরদেহ উন্মুক্ত স্থানে পড়ে থাকলে দ্রুত পচে যায়। কিন্তু ন্যাট্রন হ্রদে মৃত প্রাণীর দেহে লবণের আস্তরণ পড়ে, ফলে সেটিকে পচানোর জন্য কোনো অনুজীব আক্রমণ করতে পারে না।
অর্থাৎ, ন্যাট্রন হ্রদটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে ভয়ংকর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং বলা হচ্ছে, এখানে কোনো প্রাণী পড়লেই সেটি পাথরে পরিণত হয়—তা সঠিক নয়। মূলত এই হ্রদের পানিতে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে সেখানে কোনো প্রাণী মারা গেলে গায়ে অদ্রবণীয় ক্ষারীয় যৌগের আস্তরণ পড়ে যাওয়ায় সেটি আর পচে না, একপর্যায়ে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়।

দেশ তানজানিয়ার ন্যাট্রন হ্রদ, যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে নির্মল হ্রদগুলোর মধ্যে একটি। এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে আসলে যে কোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছর অনেক অতিথি পাখি এখানে আসে। দুর্ঘটনাবশত এদের অনেকেই মারা যায়।
ফেসবুকে এমন তথ্য সংবলিত পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টে একটি হ্রদ ও পানির ওপর একটি মৃত পাখির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
‘বিজ্ঞান পোস্ট: (মহাকাশ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি)’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটি আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা পর্যন্ত ১ হাজার শেয়ার হয়েছে। এতে রিয়েকশন পড়েছে প্রায় ১৪ হাজার।
পোস্টটিতে ন্যাট্রন হ্রদটি নিয়ে বলা হয়েছে, ন্যাট্রন হ্রদের ক্ষারীয় জলের পিএইচ মান ১০ দশমিক ৫ এর মতো। এর তীব্র ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য প্রাণীদের ত্বক এবং চোখ পুড়িয়ে ফেলতে পারে। পানির ক্ষারত্ব আসে সোডিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য খনিজ থেকে। পার্শ্ববর্তী আগ্নেয়গিরির লাভার কারণেই হ্রদের পানি এতো ক্ষারীয়। পানিতে অতিরিক্ত সোডিয়াম কার্বনেট থাকার কারণে মৃতদেহগুলো পচে না।
ন্যাট্রন হ্রদের পানি কি বিপজ্জনক?
হ্রদটি নিয়ে অনুসন্ধানে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সে ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যগুলোর মিল পাওয়া যায়। তানজানিয়ায় অবস্থিত ন্যাট্রন হ্রদ আফ্রিকার সবচেয়ে শান্ত হ্রদগুলোর একটি। হ্রদটি আফ্রিকার সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ওল ডোইনিও লেংগাইয়ের পাদদেশে অবস্থিত। এই হ্রদ থেকে এমন কিছু ছবি তোলা হয়েছে, যা দেখলে মনে হয়, জীবন্ত প্রাণীগুলো যেন সহসায় পাথরে পরিণত হয়েছে!
হ্রদটির পানিতে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি। এটি মিশরে মমি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। হ্রদটির পানিতে পড়ে মারা যাওয়া প্রাণী দেহের পচন রোধে এই সোডিয়াম কার্বনেট চমৎকার প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে।
উল্লেখ্য, ১০ অণু পানিযুক্ত সোডিয়াম কার্বোনেট লবণকে রসায়ন বিজ্ঞানে ন্যাট্রন বলে। এর রাসায়নিক সংকেত— Na2(CO3)10(H2O)।
হ্রদটি সম্পর্কে লাইভ সায়েন্সে বলা হয়েছে, কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়, কোনো প্রাণী এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে এলেই সেটি মারা যায় এবং পাথরে পরিণত হয়। দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ন্যাট্রন হ্রদের ক্ষারীয় পানিতে তেলাপিয়া এবং শৈবালের একটি সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছে। এই বাস্তুতন্ত্রকে কেন্দ্র করে সেখানকার ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিরা জীবন নির্বাহ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক ম্যাগি কোয়ের্থ–বেকারকে উদ্ধৃত করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ন্যাট্রন হ্রদটিকে ভয়ংকর হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এটি অত ভয়ংকর নয়। হ্রদটির ক্ষারীয় পানিতে তেলাপিয়া জাতীয় মাছ ও শৈবাল পাওয়া যায়। এই মাছ ও শৈবাল হ্রদটির ক্ষারীয় পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, হ্রদটি লেজার ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিদের গুরুত্বপূর্ণ প্রজননক্ষেত্র। হ্রদটিতে কোনো প্রাণী পড়লেই তৎক্ষণাৎ মারা যায় না এবং মৃত প্রাণী পাথরেও পরিণত হয় না। যে প্রাণীগুলো এখানে মারা যায়, অতিরিক্ত লবণাক্ত পানির কারণে সেগুলোর দেহাবশেষ পচে না, দীর্ঘদিন অক্ষত থাকে। এগুলোই হ্রদটিকে অনন্য করে তুলেছে।
এই হ্রদে ঘুরে এসে ‘অ্যাক্রোস দ্য রাভাগেইড ল্যান্ড’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোকচিত্রী নিক ব্র্যান্ডট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এখানে প্রাণীরা কী কারণে মারা যায়, তা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুমান করা যায়, হ্রদটির পানির পৃষ্ঠ আলোর নিখুঁত প্রতিফলক হিসেবে কাজ করে, ফলে প্রাণীরা বিভ্রান্ত হয়ে হ্রদে নেমে পড়ে। তবে এই হ্রদ প্রাণীদের জন্য মৃত্যুপুরী হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।
ভাইরাল ছবিটির নেপথ্যের গল্প কী
ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টটিতে ব্যবহৃত মৃত ফ্ল্যামিঙ্গোর ছবিটি নিক ব্র্যান্ডটের তোলা। হ্রদে ঘুরতে গিয়ে ছবিটি তোলেন তিনি। আরও বেশ কিছু ছবি তুলেছিলেন তিনি। ছবিগুলো তোলা হয় ২০১০ এবং ২০১২ সালে। ছবিগুলো সম্পর্কে ব্র্যান্ডট বলেন, তিনি হ্রদটির তীরে ফ্ল্যামিঙ্গোসহ আরও বেশকিছু প্রাণীর দেহাবশেষ খুঁজে পান। প্রাণীগুলোর গায়ে খড়িমাটির মতো সোডিয়াম কার্বনেটের আস্তরণ ছিল। কুড়িয়ে পাওয়ার পর তিনি ছবি তোলার উদ্দেশ্যে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গগুলো এমনভাবে সংযোজন করতেন যেন দেখে জীবন্ত মনে হয়। ছবিগুলোতে বিজ্ঞানের চেয়ে শিল্পকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ব্র্যান্ডট।
ব্র্যান্ডট বলেন, হ্রদের পানিতে সোডা এবং লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। এই সোডা এবং লবণ প্রাণীগুলোর গায়ে অদ্রবণীয় যৌগের আস্তরণ তৈরি করে চমৎকারভাবে সংরক্ষণ করে রাখে। তিনি যখন প্রাণীগুলোকে পেয়েছিলেন, এই যৌগের আস্তরণ তৈরির কারণে এগুলোকে পাথরের মতো শক্ত মনে হচ্ছিল।
ব্র্যান্ডটের এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ ডেভিড হার্পারের বক্তব্যে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাধারণত মরদেহ উন্মুক্ত স্থানে পড়ে থাকলে দ্রুত পচে যায়। কিন্তু ন্যাট্রন হ্রদে মৃত প্রাণীর দেহে লবণের আস্তরণ পড়ে, ফলে সেটিকে পচানোর জন্য কোনো অনুজীব আক্রমণ করতে পারে না।
অর্থাৎ, ন্যাট্রন হ্রদটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে ভয়ংকর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং বলা হচ্ছে, এখানে কোনো প্রাণী পড়লেই সেটি পাথরে পরিণত হয়—তা সঠিক নয়। মূলত এই হ্রদের পানিতে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে সেখানে কোনো প্রাণী মারা গেলে গায়ে অদ্রবণীয় ক্ষারীয় যৌগের আস্তরণ পড়ে যাওয়ায় সেটি আর পচে না, একপর্যায়ে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়।
ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

দেশ তানজানিয়ার ন্যাট্রন হ্রদ, যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে নির্মল হ্রদগুলোর মধ্যে একটি। এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে আসলে যে কোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছর অনেক অতিথি পাখি এখানে আসে। দুর্ঘটনাবশত এদের অনেকেই মারা যায়।
ফেসবুকে এমন তথ্য সংবলিত পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টে একটি হ্রদ ও পানির ওপর একটি মৃত পাখির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
‘বিজ্ঞান পোস্ট: (মহাকাশ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি)’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটি আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা পর্যন্ত ১ হাজার শেয়ার হয়েছে। এতে রিয়েকশন পড়েছে প্রায় ১৪ হাজার।
পোস্টটিতে ন্যাট্রন হ্রদটি নিয়ে বলা হয়েছে, ন্যাট্রন হ্রদের ক্ষারীয় জলের পিএইচ মান ১০ দশমিক ৫ এর মতো। এর তীব্র ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য প্রাণীদের ত্বক এবং চোখ পুড়িয়ে ফেলতে পারে। পানির ক্ষারত্ব আসে সোডিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য খনিজ থেকে। পার্শ্ববর্তী আগ্নেয়গিরির লাভার কারণেই হ্রদের পানি এতো ক্ষারীয়। পানিতে অতিরিক্ত সোডিয়াম কার্বনেট থাকার কারণে মৃতদেহগুলো পচে না।
ন্যাট্রন হ্রদের পানি কি বিপজ্জনক?
হ্রদটি নিয়ে অনুসন্ধানে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সে ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যগুলোর মিল পাওয়া যায়। তানজানিয়ায় অবস্থিত ন্যাট্রন হ্রদ আফ্রিকার সবচেয়ে শান্ত হ্রদগুলোর একটি। হ্রদটি আফ্রিকার সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ওল ডোইনিও লেংগাইয়ের পাদদেশে অবস্থিত। এই হ্রদ থেকে এমন কিছু ছবি তোলা হয়েছে, যা দেখলে মনে হয়, জীবন্ত প্রাণীগুলো যেন সহসায় পাথরে পরিণত হয়েছে!
হ্রদটির পানিতে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি। এটি মিশরে মমি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। হ্রদটির পানিতে পড়ে মারা যাওয়া প্রাণী দেহের পচন রোধে এই সোডিয়াম কার্বনেট চমৎকার প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে।
উল্লেখ্য, ১০ অণু পানিযুক্ত সোডিয়াম কার্বোনেট লবণকে রসায়ন বিজ্ঞানে ন্যাট্রন বলে। এর রাসায়নিক সংকেত— Na2(CO3)10(H2O)।
হ্রদটি সম্পর্কে লাইভ সায়েন্সে বলা হয়েছে, কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়, কোনো প্রাণী এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে এলেই সেটি মারা যায় এবং পাথরে পরিণত হয়। দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ন্যাট্রন হ্রদের ক্ষারীয় পানিতে তেলাপিয়া এবং শৈবালের একটি সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছে। এই বাস্তুতন্ত্রকে কেন্দ্র করে সেখানকার ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিরা জীবন নির্বাহ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক ম্যাগি কোয়ের্থ–বেকারকে উদ্ধৃত করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ন্যাট্রন হ্রদটিকে ভয়ংকর হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এটি অত ভয়ংকর নয়। হ্রদটির ক্ষারীয় পানিতে তেলাপিয়া জাতীয় মাছ ও শৈবাল পাওয়া যায়। এই মাছ ও শৈবাল হ্রদটির ক্ষারীয় পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, হ্রদটি লেজার ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিদের গুরুত্বপূর্ণ প্রজননক্ষেত্র। হ্রদটিতে কোনো প্রাণী পড়লেই তৎক্ষণাৎ মারা যায় না এবং মৃত প্রাণী পাথরেও পরিণত হয় না। যে প্রাণীগুলো এখানে মারা যায়, অতিরিক্ত লবণাক্ত পানির কারণে সেগুলোর দেহাবশেষ পচে না, দীর্ঘদিন অক্ষত থাকে। এগুলোই হ্রদটিকে অনন্য করে তুলেছে।
এই হ্রদে ঘুরে এসে ‘অ্যাক্রোস দ্য রাভাগেইড ল্যান্ড’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোকচিত্রী নিক ব্র্যান্ডট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এখানে প্রাণীরা কী কারণে মারা যায়, তা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুমান করা যায়, হ্রদটির পানির পৃষ্ঠ আলোর নিখুঁত প্রতিফলক হিসেবে কাজ করে, ফলে প্রাণীরা বিভ্রান্ত হয়ে হ্রদে নেমে পড়ে। তবে এই হ্রদ প্রাণীদের জন্য মৃত্যুপুরী হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।
ভাইরাল ছবিটির নেপথ্যের গল্প কী
ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টটিতে ব্যবহৃত মৃত ফ্ল্যামিঙ্গোর ছবিটি নিক ব্র্যান্ডটের তোলা। হ্রদে ঘুরতে গিয়ে ছবিটি তোলেন তিনি। আরও বেশ কিছু ছবি তুলেছিলেন তিনি। ছবিগুলো তোলা হয় ২০১০ এবং ২০১২ সালে। ছবিগুলো সম্পর্কে ব্র্যান্ডট বলেন, তিনি হ্রদটির তীরে ফ্ল্যামিঙ্গোসহ আরও বেশকিছু প্রাণীর দেহাবশেষ খুঁজে পান। প্রাণীগুলোর গায়ে খড়িমাটির মতো সোডিয়াম কার্বনেটের আস্তরণ ছিল। কুড়িয়ে পাওয়ার পর তিনি ছবি তোলার উদ্দেশ্যে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গগুলো এমনভাবে সংযোজন করতেন যেন দেখে জীবন্ত মনে হয়। ছবিগুলোতে বিজ্ঞানের চেয়ে শিল্পকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ব্র্যান্ডট।
ব্র্যান্ডট বলেন, হ্রদের পানিতে সোডা এবং লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। এই সোডা এবং লবণ প্রাণীগুলোর গায়ে অদ্রবণীয় যৌগের আস্তরণ তৈরি করে চমৎকারভাবে সংরক্ষণ করে রাখে। তিনি যখন প্রাণীগুলোকে পেয়েছিলেন, এই যৌগের আস্তরণ তৈরির কারণে এগুলোকে পাথরের মতো শক্ত মনে হচ্ছিল।
ব্র্যান্ডটের এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ ডেভিড হার্পারের বক্তব্যে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাধারণত মরদেহ উন্মুক্ত স্থানে পড়ে থাকলে দ্রুত পচে যায়। কিন্তু ন্যাট্রন হ্রদে মৃত প্রাণীর দেহে লবণের আস্তরণ পড়ে, ফলে সেটিকে পচানোর জন্য কোনো অনুজীব আক্রমণ করতে পারে না।
অর্থাৎ, ন্যাট্রন হ্রদটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে ভয়ংকর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং বলা হচ্ছে, এখানে কোনো প্রাণী পড়লেই সেটি পাথরে পরিণত হয়—তা সঠিক নয়। মূলত এই হ্রদের পানিতে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে সেখানে কোনো প্রাণী মারা গেলে গায়ে অদ্রবণীয় ক্ষারীয় যৌগের আস্তরণ পড়ে যাওয়ায় সেটি আর পচে না, একপর্যায়ে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়।

দেশ তানজানিয়ার ন্যাট্রন হ্রদ, যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে নির্মল হ্রদগুলোর মধ্যে একটি। এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে আসলে যে কোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছর অনেক অতিথি পাখি এখানে আসে। দুর্ঘটনাবশত এদের অনেকেই মারা যায়।
ফেসবুকে এমন তথ্য সংবলিত পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টে একটি হ্রদ ও পানির ওপর একটি মৃত পাখির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
‘বিজ্ঞান পোস্ট: (মহাকাশ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি)’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটি আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা পর্যন্ত ১ হাজার শেয়ার হয়েছে। এতে রিয়েকশন পড়েছে প্রায় ১৪ হাজার।
পোস্টটিতে ন্যাট্রন হ্রদটি নিয়ে বলা হয়েছে, ন্যাট্রন হ্রদের ক্ষারীয় জলের পিএইচ মান ১০ দশমিক ৫ এর মতো। এর তীব্র ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য প্রাণীদের ত্বক এবং চোখ পুড়িয়ে ফেলতে পারে। পানির ক্ষারত্ব আসে সোডিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য খনিজ থেকে। পার্শ্ববর্তী আগ্নেয়গিরির লাভার কারণেই হ্রদের পানি এতো ক্ষারীয়। পানিতে অতিরিক্ত সোডিয়াম কার্বনেট থাকার কারণে মৃতদেহগুলো পচে না।
ন্যাট্রন হ্রদের পানি কি বিপজ্জনক?
হ্রদটি নিয়ে অনুসন্ধানে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সে ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যগুলোর মিল পাওয়া যায়। তানজানিয়ায় অবস্থিত ন্যাট্রন হ্রদ আফ্রিকার সবচেয়ে শান্ত হ্রদগুলোর একটি। হ্রদটি আফ্রিকার সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ওল ডোইনিও লেংগাইয়ের পাদদেশে অবস্থিত। এই হ্রদ থেকে এমন কিছু ছবি তোলা হয়েছে, যা দেখলে মনে হয়, জীবন্ত প্রাণীগুলো যেন সহসায় পাথরে পরিণত হয়েছে!
হ্রদটির পানিতে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি। এটি মিশরে মমি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। হ্রদটির পানিতে পড়ে মারা যাওয়া প্রাণী দেহের পচন রোধে এই সোডিয়াম কার্বনেট চমৎকার প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে।
উল্লেখ্য, ১০ অণু পানিযুক্ত সোডিয়াম কার্বোনেট লবণকে রসায়ন বিজ্ঞানে ন্যাট্রন বলে। এর রাসায়নিক সংকেত— Na2(CO3)10(H2O)।
হ্রদটি সম্পর্কে লাইভ সায়েন্সে বলা হয়েছে, কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়, কোনো প্রাণী এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে এলেই সেটি মারা যায় এবং পাথরে পরিণত হয়। দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ন্যাট্রন হ্রদের ক্ষারীয় পানিতে তেলাপিয়া এবং শৈবালের একটি সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছে। এই বাস্তুতন্ত্রকে কেন্দ্র করে সেখানকার ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিরা জীবন নির্বাহ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক ম্যাগি কোয়ের্থ–বেকারকে উদ্ধৃত করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ন্যাট্রন হ্রদটিকে ভয়ংকর হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এটি অত ভয়ংকর নয়। হ্রদটির ক্ষারীয় পানিতে তেলাপিয়া জাতীয় মাছ ও শৈবাল পাওয়া যায়। এই মাছ ও শৈবাল হ্রদটির ক্ষারীয় পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, হ্রদটি লেজার ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিদের গুরুত্বপূর্ণ প্রজননক্ষেত্র। হ্রদটিতে কোনো প্রাণী পড়লেই তৎক্ষণাৎ মারা যায় না এবং মৃত প্রাণী পাথরেও পরিণত হয় না। যে প্রাণীগুলো এখানে মারা যায়, অতিরিক্ত লবণাক্ত পানির কারণে সেগুলোর দেহাবশেষ পচে না, দীর্ঘদিন অক্ষত থাকে। এগুলোই হ্রদটিকে অনন্য করে তুলেছে।
এই হ্রদে ঘুরে এসে ‘অ্যাক্রোস দ্য রাভাগেইড ল্যান্ড’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোকচিত্রী নিক ব্র্যান্ডট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এখানে প্রাণীরা কী কারণে মারা যায়, তা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুমান করা যায়, হ্রদটির পানির পৃষ্ঠ আলোর নিখুঁত প্রতিফলক হিসেবে কাজ করে, ফলে প্রাণীরা বিভ্রান্ত হয়ে হ্রদে নেমে পড়ে। তবে এই হ্রদ প্রাণীদের জন্য মৃত্যুপুরী হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।
ভাইরাল ছবিটির নেপথ্যের গল্প কী
ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টটিতে ব্যবহৃত মৃত ফ্ল্যামিঙ্গোর ছবিটি নিক ব্র্যান্ডটের তোলা। হ্রদে ঘুরতে গিয়ে ছবিটি তোলেন তিনি। আরও বেশ কিছু ছবি তুলেছিলেন তিনি। ছবিগুলো তোলা হয় ২০১০ এবং ২০১২ সালে। ছবিগুলো সম্পর্কে ব্র্যান্ডট বলেন, তিনি হ্রদটির তীরে ফ্ল্যামিঙ্গোসহ আরও বেশকিছু প্রাণীর দেহাবশেষ খুঁজে পান। প্রাণীগুলোর গায়ে খড়িমাটির মতো সোডিয়াম কার্বনেটের আস্তরণ ছিল। কুড়িয়ে পাওয়ার পর তিনি ছবি তোলার উদ্দেশ্যে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গগুলো এমনভাবে সংযোজন করতেন যেন দেখে জীবন্ত মনে হয়। ছবিগুলোতে বিজ্ঞানের চেয়ে শিল্পকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ব্র্যান্ডট।
ব্র্যান্ডট বলেন, হ্রদের পানিতে সোডা এবং লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। এই সোডা এবং লবণ প্রাণীগুলোর গায়ে অদ্রবণীয় যৌগের আস্তরণ তৈরি করে চমৎকারভাবে সংরক্ষণ করে রাখে। তিনি যখন প্রাণীগুলোকে পেয়েছিলেন, এই যৌগের আস্তরণ তৈরির কারণে এগুলোকে পাথরের মতো শক্ত মনে হচ্ছিল।
ব্র্যান্ডটের এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ ডেভিড হার্পারের বক্তব্যে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাধারণত মরদেহ উন্মুক্ত স্থানে পড়ে থাকলে দ্রুত পচে যায়। কিন্তু ন্যাট্রন হ্রদে মৃত প্রাণীর দেহে লবণের আস্তরণ পড়ে, ফলে সেটিকে পচানোর জন্য কোনো অনুজীব আক্রমণ করতে পারে না।
অর্থাৎ, ন্যাট্রন হ্রদটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে ভয়ংকর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং বলা হচ্ছে, এখানে কোনো প্রাণী পড়লেই সেটি পাথরে পরিণত হয়—তা সঠিক নয়। মূলত এই হ্রদের পানিতে সোডিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে সেখানে কোনো প্রাণী মারা গেলে গায়ে অদ্রবণীয় ক্ষারীয় যৌগের আস্তরণ পড়ে যাওয়ায় সেটি আর পচে না, একপর্যায়ে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৬ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১১ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

দেশ তানজানিয়ার ন্যাট্রন হ্রদ, যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে নির্মল হ্রদগুলোর মধ্যে একটি। এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে আসলে যে কোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৬ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১১ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

দেশ তানজানিয়ার ন্যাট্রন হ্রদ, যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে নির্মল হ্রদগুলোর মধ্যে একটি। এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে আসলে যে কোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১১ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

দেশ তানজানিয়ার ন্যাট্রন হ্রদ, যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে নির্মল হ্রদগুলোর মধ্যে একটি। এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে আসলে যে কোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৬ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

দেশ তানজানিয়ার ন্যাট্রন হ্রদ, যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়। আফ্রিকার সবচেয়ে নির্মল হ্রদগুলোর মধ্যে একটি। এই হ্রদের পানির সংস্পর্শে আসলে যে কোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৬ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১১ দিন আগে