ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে এরপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের অবস্থা অনেকটাই কোণঠাসা। এর মধ্যে বিভিন্ন মামলায় দলটির অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; পাশাপাশি দলটির অনেক নেতা-কর্মী পলাতক আছেন। তারপরেও দলের অবস্থান জানান দিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে মাঝে ঝটিকা মিছিল করার তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।
এরই মধ্যে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য—এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটিতে, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিব রক্ত’ এই শব্দে স্লোগান দিতে শোনা গেছে।
‘আতিকা বিনতে হোসাইন (Atika Binte Hossain)’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে শনিবার রাত ১০টার দিকে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘চট্টগ্রামে নির্ভয়ে ছাত্রলীগের স্মরণকালের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল.!’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজকে সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই ভিডিওটি ১ লাখ ৩৭ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং পোস্টটিতে এক হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে। পোস্টটিতে ১৫০টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২ হাজার। পোস্টে অনেকে এটিকে ছাত্রলীগের মিছিল উল্লেখ করে কমেন্ট করেছেন। মো. শরিফ মিয়া (Md Sharif Mia) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হবে শেখ হাসিনার’ (বানান অপরিবর্তিত) মো. ইয়াসিন (Md Yasin) লিখেছে, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ (বানান অপরিবর্তিত)
মো. জাহিদ হোসেন (Md Jahid Hosen), শেখ পারভেজ ফেনী (Sheikh Parvez Feni) এবং নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির একপর্যায়ে ‘মুঘল কাবাব হাউজ (MUGHAL KABAB HOUSE)’ নামের একটি রেস্টুরেন্টের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়।
গুগলে সার্চ করে দেখা যায়, এটি ঢাকার নয়াপল্টনে অবস্থিত।
অর্থাৎ, ভিডিওটি চট্টগ্রাম নয়, বরং ঢাকার নয়াপল্টন থেকে দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে প্রকাশ করা হয়।
ভিডিওর ডেসক্রিপশন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এই ভিডিওতে, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিব রক্ত’ এই শব্দে স্লোগান শোনা যায়নি। তবে ‘খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া’, ‘অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে’ শব্দে স্লোগান শোনা যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন।
সুতরাং, চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ছাত্রলীগের মিছিলের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিওতে ভিন্ন অডিও এডিটের পর যুক্ত করে প্রচারিত হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে এরপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের অবস্থা অনেকটাই কোণঠাসা। এর মধ্যে বিভিন্ন মামলায় দলটির অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; পাশাপাশি দলটির অনেক নেতা-কর্মী পলাতক আছেন। তারপরেও দলের অবস্থান জানান দিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে মাঝে ঝটিকা মিছিল করার তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।
এরই মধ্যে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য—এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটিতে, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিব রক্ত’ এই শব্দে স্লোগান দিতে শোনা গেছে।
‘আতিকা বিনতে হোসাইন (Atika Binte Hossain)’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে শনিবার রাত ১০টার দিকে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘চট্টগ্রামে নির্ভয়ে ছাত্রলীগের স্মরণকালের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল.!’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজকে সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই ভিডিওটি ১ লাখ ৩৭ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং পোস্টটিতে এক হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে। পোস্টটিতে ১৫০টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২ হাজার। পোস্টে অনেকে এটিকে ছাত্রলীগের মিছিল উল্লেখ করে কমেন্ট করেছেন। মো. শরিফ মিয়া (Md Sharif Mia) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হবে শেখ হাসিনার’ (বানান অপরিবর্তিত) মো. ইয়াসিন (Md Yasin) লিখেছে, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ (বানান অপরিবর্তিত)
মো. জাহিদ হোসেন (Md Jahid Hosen), শেখ পারভেজ ফেনী (Sheikh Parvez Feni) এবং নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির একপর্যায়ে ‘মুঘল কাবাব হাউজ (MUGHAL KABAB HOUSE)’ নামের একটি রেস্টুরেন্টের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়।
গুগলে সার্চ করে দেখা যায়, এটি ঢাকার নয়াপল্টনে অবস্থিত।
অর্থাৎ, ভিডিওটি চট্টগ্রাম নয়, বরং ঢাকার নয়াপল্টন থেকে দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে প্রকাশ করা হয়।
ভিডিওর ডেসক্রিপশন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এই ভিডিওতে, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিব রক্ত’ এই শব্দে স্লোগান শোনা যায়নি। তবে ‘খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া’, ‘অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে’ শব্দে স্লোগান শোনা যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন।
সুতরাং, চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্য দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ছাত্রলীগের মিছিলের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিওতে ভিন্ন অডিও এডিটের পর যুক্ত করে প্রচারিত হয়েছে।
যুবলীগ নেতাকে গুলি চালানোর সময় এক নারী এসে সন্ত্রাসীদের তাড়া করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১ দিন আগেবাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
২ দিন আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৪ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৫ দিন আগে