ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ছয় মাস পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে মিছিল করেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
ভিডিওতে একটি ব্যানারে শতাধিক মানুষকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। ভয়েস ওভারে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘দর্শক এই মুহূর্তে আমরা দেখতে পারতেছি যে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ মাঠে অবস্থান করেছে। একজন পুলিশ সদস্য দেখতেছি আসলে কী বলতেছে। হঠাৎ নতুন রূপে আওয়ামী লীগ মাঠে আসলো...।’
‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টা ৩৬ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘দীর্ঘ ৬ মাস পর এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্যে বড়সড় প্রতিবাদ মিছিল, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ শনিবার বেলা ২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১ লাখ ৭০ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং রিঅ্যাকশন পড়েছে ৫ হাজার ২০০। পোস্টটিতে ৮২৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২ হাজার ২০০। এসব কমেন্টে ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার বলে অনেকে কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে ‘আওয়ামী লীগের মিছিলের ভিডিও’ লিখেও কমেন্ট করেছেন।
Md Hosen নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘ধন্যবাদ সবাইকে সবাই এগিয়ে যাও, যেখানে বাধা আসবে সেখানে প্রতিরোধ করে তুলতে হবে ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের হবে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
Rubel Ahmed লিখেছে, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শুভকামনা রইলো সবার জন্য। এগিয়া যান জয় আসবেই ইনশাআল্লাহ।’ (বানান অপরিবর্তিত)
‘এস এম আল আমিন’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ‘Sajeeb Wazed Fans’ ও ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ নামে ফেসবুক পেজ থেকেও একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটির একপর্যায়ে ব্যানারে ‘ঠিকাদার প্রথা বাতিল’ লেখা দেখা যায়। ‘ঠিকাদার প্রথা বাতিল’ লিখে ফেসবুকে সার্চ করলে ‘ইসলামিক সাইবার মিডিয়া’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের একটি লাইভ ভিডিওতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর দৃশ্য পাওয়া যায়। লাইভ ভিডিওটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়।
ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ ও ঐক্য পরিষদের সদস্যরা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিচ্যুত আউটসোর্স কর্মীদের পুনর্বহালের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মিছিল করেন।
nnbd24.com নামের ফেসবুক পেজে একই তথ্যে গত ২৭ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি লাইভে একই দৃশ্য দেখা যায়।
এসব তথ্যসূত্রে গুগলে সার্চ করলে ঢাকা পোস্ট ও জাগো নিউজের প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
সম্প্রতি রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কোনো মিছিল হয়েছে কি না এ বিষয়ে গুগলে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে নির্ভরযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, দীর্ঘ ৬ মাস পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে মিছিল করেছে দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার। প্রকৃতপক্ষে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ ও ঐক্য পরিষদের সদস্যদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের ভিডিও এটি।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ছয় মাস পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে মিছিল করেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
ভিডিওতে একটি ব্যানারে শতাধিক মানুষকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। ভয়েস ওভারে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘দর্শক এই মুহূর্তে আমরা দেখতে পারতেছি যে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ মাঠে অবস্থান করেছে। একজন পুলিশ সদস্য দেখতেছি আসলে কী বলতেছে। হঠাৎ নতুন রূপে আওয়ামী লীগ মাঠে আসলো...।’
‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টা ৩৬ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘দীর্ঘ ৬ মাস পর এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্যে বড়সড় প্রতিবাদ মিছিল, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ শনিবার বেলা ২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১ লাখ ৭০ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং রিঅ্যাকশন পড়েছে ৫ হাজার ২০০। পোস্টটিতে ৮২৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২ হাজার ২০০। এসব কমেন্টে ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার বলে অনেকে কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে ‘আওয়ামী লীগের মিছিলের ভিডিও’ লিখেও কমেন্ট করেছেন।
Md Hosen নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘ধন্যবাদ সবাইকে সবাই এগিয়ে যাও, যেখানে বাধা আসবে সেখানে প্রতিরোধ করে তুলতে হবে ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের হবে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
Rubel Ahmed লিখেছে, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শুভকামনা রইলো সবার জন্য। এগিয়া যান জয় আসবেই ইনশাআল্লাহ।’ (বানান অপরিবর্তিত)
‘এস এম আল আমিন’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ‘Sajeeb Wazed Fans’ ও ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ নামে ফেসবুক পেজ থেকেও একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটির একপর্যায়ে ব্যানারে ‘ঠিকাদার প্রথা বাতিল’ লেখা দেখা যায়। ‘ঠিকাদার প্রথা বাতিল’ লিখে ফেসবুকে সার্চ করলে ‘ইসলামিক সাইবার মিডিয়া’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের একটি লাইভ ভিডিওতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর দৃশ্য পাওয়া যায়। লাইভ ভিডিওটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়।
ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ ও ঐক্য পরিষদের সদস্যরা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিচ্যুত আউটসোর্স কর্মীদের পুনর্বহালের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মিছিল করেন।
nnbd24.com নামের ফেসবুক পেজে একই তথ্যে গত ২৭ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি লাইভে একই দৃশ্য দেখা যায়।
এসব তথ্যসূত্রে গুগলে সার্চ করলে ঢাকা পোস্ট ও জাগো নিউজের প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
সম্প্রতি রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কোনো মিছিল হয়েছে কি না এ বিষয়ে গুগলে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে নির্ভরযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, দীর্ঘ ৬ মাস পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে মিছিল করেছে দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার। প্রকৃতপক্ষে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ ও ঐক্য পরিষদের সদস্যদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের ভিডিও এটি।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৪ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৪ দিন আগে