ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত কদিন ধরেই উত্তাল দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি। অবরোধ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ। এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার কোটবাড়ী বিশ্বরোড অবরোধে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলে দুই সাংবাদিকসহ বেশ কজন শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত। অমিত দত্তের উপস্থিতি ঘিরে সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, কুবি শিক্ষার্থীদের পুলিশ যখন পেটাচ্ছিল, তখন সহকারী প্রক্টর সেটির ভিডিও করছিলেন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজ ‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ’-এ গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১০টা ৪২ মিনিটে এমন দাবিতে প্রতিবেদনসহ একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। ফটোকার্ডটিতে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন শালবনে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করছে পুলিশ। এ সময় কয়েকজন মোবাইল ফোনে ঘটনাটির ছবি বা ভিডিও ধারণ করছেন। তাঁদের মধ্যে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তও আছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, অমিত দত্তও ছবি বা ভিডিও ধারণ করছেন।
আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পোস্টটি প্রায় ২০০ শেয়ার হয়েছে। রিঅ্যাকশন পড়েছে দেড় হাজারের বেশি।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থলে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ভিডিওটি ধারণ করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার কেয়া। তাঁর কাছ থেকে সংগ্রহ করা ভিডিওটিতে ভাইরাল ছবির দৃশ্যটি রয়েছে।
ভিডিওটি সম্পর্কে কেয়া বলেন, এটি ধারণ করা হয় পুলিশ যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে তখন।
২০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিও ফুটেজটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন শালবনে ঢুকে পড়েন। শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে পুলিশও শালবনে ঢুকে যায়। এ সময় ভিডিও ধারণ করছিলেন বেশ কয়েকজন। ভিডিওটির ছয় সেকেন্ড সময়ে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তকে দেখা যায়। ওই সময় তাঁর পাশ দিয়ে নীল রঙের টিশার্ট পরা এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোন হাতে দেখা যায়। পরের সেকেন্ডেই ওই ব্যক্তিকে অমিত দত্তকে অতিক্রম করতে দেখা যায়। এই সময়ের মধ্যে অমিত দত্তের হাতে কোনো মোবাইল ফোন দেখা যায়নি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোবাইল ফোন হাতে ছবি বা ভিডিও ধারণ করা নীল রঙের টিশার্ট পরিহিত ব্যক্তিটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়টির আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি আতিকুর রহমান তনয়।
আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ভিডিওটিতে মোবাইল হাতে তাঁকেই দেখা যাচ্ছে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলের কারণে মনে হচ্ছে, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত ভিডিও ধারণ করছেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভিডিও ধারণকারী হাতটি আমার না। ঘটনাস্থলে স্টুডেন্টদের সঙ্গে পুলিশের যখন ধাক্কাধাক্কি হয়, আমরা তখন মাঝখানে ছিলাম। একপর্যায়ে আমি নিজেও পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পাই। তারপর উঠে দাঁড়াতেই দেখি কয়েকজন পুলিশ শালবনের ভেতরে ঢুকে যায়। স্টুডেন্টরাও ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছিল, টিয়ার শেলের কারণে আমি নিজেও চোখে কম দেখছিলাম। আমার পাশ দিয়ে কে গেছে, সেটা আমার খেয়াল নেই।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত কদিন ধরেই উত্তাল দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি। অবরোধ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ। এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার কোটবাড়ী বিশ্বরোড অবরোধে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলে দুই সাংবাদিকসহ বেশ কজন শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত। অমিত দত্তের উপস্থিতি ঘিরে সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, কুবি শিক্ষার্থীদের পুলিশ যখন পেটাচ্ছিল, তখন সহকারী প্রক্টর সেটির ভিডিও করছিলেন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজ ‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ’-এ গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১০টা ৪২ মিনিটে এমন দাবিতে প্রতিবেদনসহ একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। ফটোকার্ডটিতে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন শালবনে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করছে পুলিশ। এ সময় কয়েকজন মোবাইল ফোনে ঘটনাটির ছবি বা ভিডিও ধারণ করছেন। তাঁদের মধ্যে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তও আছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, অমিত দত্তও ছবি বা ভিডিও ধারণ করছেন।
আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পোস্টটি প্রায় ২০০ শেয়ার হয়েছে। রিঅ্যাকশন পড়েছে দেড় হাজারের বেশি।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থলে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ভিডিওটি ধারণ করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার কেয়া। তাঁর কাছ থেকে সংগ্রহ করা ভিডিওটিতে ভাইরাল ছবির দৃশ্যটি রয়েছে।
ভিডিওটি সম্পর্কে কেয়া বলেন, এটি ধারণ করা হয় পুলিশ যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে তখন।
২০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিও ফুটেজটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন শালবনে ঢুকে পড়েন। শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে পুলিশও শালবনে ঢুকে যায়। এ সময় ভিডিও ধারণ করছিলেন বেশ কয়েকজন। ভিডিওটির ছয় সেকেন্ড সময়ে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তকে দেখা যায়। ওই সময় তাঁর পাশ দিয়ে নীল রঙের টিশার্ট পরা এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোন হাতে দেখা যায়। পরের সেকেন্ডেই ওই ব্যক্তিকে অমিত দত্তকে অতিক্রম করতে দেখা যায়। এই সময়ের মধ্যে অমিত দত্তের হাতে কোনো মোবাইল ফোন দেখা যায়নি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোবাইল ফোন হাতে ছবি বা ভিডিও ধারণ করা নীল রঙের টিশার্ট পরিহিত ব্যক্তিটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়টির আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি আতিকুর রহমান তনয়।
আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ভিডিওটিতে মোবাইল হাতে তাঁকেই দেখা যাচ্ছে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলের কারণে মনে হচ্ছে, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত ভিডিও ধারণ করছেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভিডিও ধারণকারী হাতটি আমার না। ঘটনাস্থলে স্টুডেন্টদের সঙ্গে পুলিশের যখন ধাক্কাধাক্কি হয়, আমরা তখন মাঝখানে ছিলাম। একপর্যায়ে আমি নিজেও পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পাই। তারপর উঠে দাঁড়াতেই দেখি কয়েকজন পুলিশ শালবনের ভেতরে ঢুকে যায়। স্টুডেন্টরাও ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছিল, টিয়ার শেলের কারণে আমি নিজেও চোখে কম দেখছিলাম। আমার পাশ দিয়ে কে গেছে, সেটা আমার খেয়াল নেই।’
পুলিশের সামনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে—এই দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে। একই ক্যাপশনে ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটিতে একজন অর্ধনগ্ন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করছেন—এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে পোস্ট করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও একই ভিডিও
১ দিন আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলের ভেতরে মারা গেছেন—এই দাবিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন এক্স ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছে। কথিত ওই বিজ্ঞপ্তির ছবিতে পাকিস্তান সরকারের লোগো রয়েছে এবং প্রকাশের তারিখ ১০
২ দিন আগে‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তোলা প্রত্যেকটা দল একাত্তরবিরোধী শক্তি’, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্ধৃত করে এমন একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মির্জা ফখরুলের ছবি ও ওই বক্তব্যসংবলিত একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফটোকার্ডে একটি বেসরকারি টেলিভিশন ও একটি জাতীয়
২ দিন আগে