ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, +99, +92 নম্বরযুক্ত ফোনকল রিসিভ করলেই মোবাইল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যাক হয়ে যাবে। এমন দাবিতে বেসরকারি সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল ৭১ টিভির ফেসবুক পেজে গতকাল শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ৬ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে এ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, দুটি নম্বর থেকে যদি কারও ফোনে কল আসে এবং সেই কল রিসিভ করা হয় তাহলে ফোনের যাবতীয় তথ্য হ্যাকাররা জেনে যাবে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, তাঁর থানায় সম্প্রতি এমন অভিযোগ নিয়ে এক তরুণ এসেছিলেন। তবে এই পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিওতে তাঁর দাবির পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র দেখাননি।
একাত্তর টিভির ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ২৫ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে রিয়েকশন পড়েছে ৯০ হাজারের বেশি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম জাহাঙ্গীর আলম। টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তাঁর ২৬ লাখ ফলোয়ারের একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। পেজে তিনি জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করে থাকেন।
উল্লেখিত নম্বরযুক্ত ফোনকল নিয়ে তাঁর ভাইরাল ভিডিওটির সত্যতা আছে কি?
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দেখা যায়, +92 নম্বরটি পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত আন্তর্জাতিক কান্ট্রি কোড। পাকিস্তানের ফোন নম্বরগুলো এই কান্ট্রি কোড দিয়ে শুরু হয়। যেমন, বাংলাদেশের কান্ট্রি কোড হচ্ছে +880। একইভাবে +99 সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এটি একাধিক দেশের কান্ট্রি কোডের প্রথম অংশ। যেমন, মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের কান্ট্রি কোড শুরু হয় +998 দিয়ে। তাজিকিস্তানের কান্ট্রি কোড শুরু +992 দিয়ে।
এসআই জাহাঙ্গীরের ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল আলম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘এগুলো বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা এই দাবির পক্ষে কোনো সত্যতা পাইনি।’
অর্থাৎ, +99, +92 নম্বরযুক্ত ফোন নম্বর মানেই সেটি হ্যাকারদের কল না-ও হতে পারে। কারও আত্মীয়স্বজন এই দেশগুলোতে থাকলে বা এসব দেশের নম্বর ব্যবহারকারী কারও সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে এসব নম্বরযুক্ত কল আসতেই পারে। তাই +99, +92 নম্বর কোনো ফোন নম্বরের শুরুতে থাকলেই সেটি হ্যাকারদের কল—এমন দাবি বিভ্রান্তিকর।
কল রিসিভের মাধ্যমে কি ফোন হ্যাক হতে পারে?
বহুজাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাভাস্টের ওয়েবসাইটে ফোন হ্যাকিং সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তরে জানানো হয়েছে, কোনো ফোনকল রিসিভ করার মাধ্যমে ফোন হ্যাক হওয়া অসম্ভব। তবে এর মানে এই নয় যে, আপনি পুরোপুরি নিরাপদ। কারণ, ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ অ্যাটাক করে প্রতারণামূলক ফোনকলের মাধ্যমে কারও পক্ষে ফোনের ডেটা চুরি করা সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস করপোরেশন (আইবিএম) ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাটাক’ সম্পর্কে জানায়, এটি এমন ধরনের আক্রমণ, যেখানে মানুষকে এমন তথ্য শেয়ার করতে প্ররোচিত করা হয়, যা তিনি সাধারণত শেয়ার করতে চান না। আবার এমন সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বা এমন সব ওয়েবসাইট ভিজিট করতে প্রলুব্ধ করা হয়, যা সাধারণত তাঁরা করতে চান না, জানেনই না। কখনো কখনো অপরাধী চক্র টাকা পাঠাতে অথবা এমন কোনো কাজ করতে প্ররোচিত করে, যার ফলে ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়।
কাস্টমার কেয়ারের নামে ফোনকল করে কারিগরি সমস্যার কথা বলে বিকাশের পিন চাওয়া বা জিনের বাদশা—এ ধরনের অপরাধকেও সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাটাক বলা যেতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হ্যাকের শিকার হওয়া যায় কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে অ্যাভাস্ট জানায়, কেউ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন, যদি ওই ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে কারও দেওয়া কোনো সন্দেহজনক লিংক ওপেন করেন। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমেও তাত্ত্বিকভাবে ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানোর মাধ্যমে ফোন হ্যাক করা সম্ভব। তাই অপরিচিত কোনো নম্বর থেকে কল এলে সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত।
অনুসন্ধানে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে +92 নম্বরযুক্ত ফোন নম্বর দিয়ে প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে ২০২৩ সালের ২৫ জুলাইয়ে +92 নম্বরযুক্ত ফোন নম্বর নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই সময় ভারতীয় নাগরিকদের ফোনে এমন নম্বর থেকে কল দিয়ে আইফোনসহ অ্যাপলের অন্যান্য পণ্যের প্রলোভন দেখানো হচ্ছিল এবং টাকা, ব্যাংকের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছিল। একই বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াও প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে প্রতিবেদনগুলোতে ফোন রিসিভ করামাত্রই ডেটা চুরি হয়ে যাচ্ছে, এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, +92 নম্বরটি পাকিস্তানের কান্ট্রি কোড হলেও এসব কল সরাসরি পাকিস্তান থেকে আসেনি। কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্য যেকোনো দেশ থেকেও এমন নম্বর প্রস্তুত করে প্রতারণা করা সম্ভব। তাই এসব নম্বরের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
ভারতীয় আরেকটি সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলে ২০২৩ সালের ১০ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ফোনকল দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে প্রতারকেরা। এসব নম্বরের মধ্যে আছে +251 (ইথিওপিয়া), +60 (মালয়েশিয়া), +62 (ইন্দোনেশিয়া), +254 (কেনিয়া), +84 (ভিয়েতনাম)। এই নম্বরগুলো বিভিন্ন দেশের কান্ট্রি কোড হলেও সংশ্লিষ্ট দেশ ছাড়াও অন্য যেকোনো দেশে বসে এসব কোড নম্বর যোগ করে ফোন কলের মাধ্যমে প্রতারণা করা সম্ভব।
সাধারণত, উল্লেখিত ধরনের নম্বরগুলো থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল বা বার্তা পাঠিয়ে আকর্ষণীয় চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই এমন কোনো অপরিচিত নম্বর থেকে কল এলে সচেতনতা অবলম্বন জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও এই ধরনের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল আসার প্রবণতা বেড়েছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে একটি তথ্য প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, +99, +92 নম্বরযুক্ত ফোনকল রিসিভ করলেই মোবাইল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যাক হয়ে যাবে। এমন দাবিতে বেসরকারি সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল ৭১ টিভির ফেসবুক পেজে গতকাল শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ৬ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে এ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, দুটি নম্বর থেকে যদি কারও ফোনে কল আসে এবং সেই কল রিসিভ করা হয় তাহলে ফোনের যাবতীয় তথ্য হ্যাকাররা জেনে যাবে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, তাঁর থানায় সম্প্রতি এমন অভিযোগ নিয়ে এক তরুণ এসেছিলেন। তবে এই পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিওতে তাঁর দাবির পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র দেখাননি।
একাত্তর টিভির ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ২৫ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে রিয়েকশন পড়েছে ৯০ হাজারের বেশি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম জাহাঙ্গীর আলম। টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তাঁর ২৬ লাখ ফলোয়ারের একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। পেজে তিনি জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করে থাকেন।
উল্লেখিত নম্বরযুক্ত ফোনকল নিয়ে তাঁর ভাইরাল ভিডিওটির সত্যতা আছে কি?
কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দেখা যায়, +92 নম্বরটি পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত আন্তর্জাতিক কান্ট্রি কোড। পাকিস্তানের ফোন নম্বরগুলো এই কান্ট্রি কোড দিয়ে শুরু হয়। যেমন, বাংলাদেশের কান্ট্রি কোড হচ্ছে +880। একইভাবে +99 সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এটি একাধিক দেশের কান্ট্রি কোডের প্রথম অংশ। যেমন, মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের কান্ট্রি কোড শুরু হয় +998 দিয়ে। তাজিকিস্তানের কান্ট্রি কোড শুরু +992 দিয়ে।
এসআই জাহাঙ্গীরের ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল আলম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘এগুলো বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা এই দাবির পক্ষে কোনো সত্যতা পাইনি।’
অর্থাৎ, +99, +92 নম্বরযুক্ত ফোন নম্বর মানেই সেটি হ্যাকারদের কল না-ও হতে পারে। কারও আত্মীয়স্বজন এই দেশগুলোতে থাকলে বা এসব দেশের নম্বর ব্যবহারকারী কারও সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে এসব নম্বরযুক্ত কল আসতেই পারে। তাই +99, +92 নম্বর কোনো ফোন নম্বরের শুরুতে থাকলেই সেটি হ্যাকারদের কল—এমন দাবি বিভ্রান্তিকর।
কল রিসিভের মাধ্যমে কি ফোন হ্যাক হতে পারে?
বহুজাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাভাস্টের ওয়েবসাইটে ফোন হ্যাকিং সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তরে জানানো হয়েছে, কোনো ফোনকল রিসিভ করার মাধ্যমে ফোন হ্যাক হওয়া অসম্ভব। তবে এর মানে এই নয় যে, আপনি পুরোপুরি নিরাপদ। কারণ, ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ অ্যাটাক করে প্রতারণামূলক ফোনকলের মাধ্যমে কারও পক্ষে ফোনের ডেটা চুরি করা সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস করপোরেশন (আইবিএম) ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাটাক’ সম্পর্কে জানায়, এটি এমন ধরনের আক্রমণ, যেখানে মানুষকে এমন তথ্য শেয়ার করতে প্ররোচিত করা হয়, যা তিনি সাধারণত শেয়ার করতে চান না। আবার এমন সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বা এমন সব ওয়েবসাইট ভিজিট করতে প্রলুব্ধ করা হয়, যা সাধারণত তাঁরা করতে চান না, জানেনই না। কখনো কখনো অপরাধী চক্র টাকা পাঠাতে অথবা এমন কোনো কাজ করতে প্ররোচিত করে, যার ফলে ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়।
কাস্টমার কেয়ারের নামে ফোনকল করে কারিগরি সমস্যার কথা বলে বিকাশের পিন চাওয়া বা জিনের বাদশা—এ ধরনের অপরাধকেও সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাটাক বলা যেতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হ্যাকের শিকার হওয়া যায় কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে অ্যাভাস্ট জানায়, কেউ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন, যদি ওই ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে কারও দেওয়া কোনো সন্দেহজনক লিংক ওপেন করেন। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমেও তাত্ত্বিকভাবে ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানোর মাধ্যমে ফোন হ্যাক করা সম্ভব। তাই অপরিচিত কোনো নম্বর থেকে কল এলে সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত।
অনুসন্ধানে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে +92 নম্বরযুক্ত ফোন নম্বর দিয়ে প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে ২০২৩ সালের ২৫ জুলাইয়ে +92 নম্বরযুক্ত ফোন নম্বর নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই সময় ভারতীয় নাগরিকদের ফোনে এমন নম্বর থেকে কল দিয়ে আইফোনসহ অ্যাপলের অন্যান্য পণ্যের প্রলোভন দেখানো হচ্ছিল এবং টাকা, ব্যাংকের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছিল। একই বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াও প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে প্রতিবেদনগুলোতে ফোন রিসিভ করামাত্রই ডেটা চুরি হয়ে যাচ্ছে, এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, +92 নম্বরটি পাকিস্তানের কান্ট্রি কোড হলেও এসব কল সরাসরি পাকিস্তান থেকে আসেনি। কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্য যেকোনো দেশ থেকেও এমন নম্বর প্রস্তুত করে প্রতারণা করা সম্ভব। তাই এসব নম্বরের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
ভারতীয় আরেকটি সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলে ২০২৩ সালের ১০ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ফোনকল দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে প্রতারকেরা। এসব নম্বরের মধ্যে আছে +251 (ইথিওপিয়া), +60 (মালয়েশিয়া), +62 (ইন্দোনেশিয়া), +254 (কেনিয়া), +84 (ভিয়েতনাম)। এই নম্বরগুলো বিভিন্ন দেশের কান্ট্রি কোড হলেও সংশ্লিষ্ট দেশ ছাড়াও অন্য যেকোনো দেশে বসে এসব কোড নম্বর যোগ করে ফোন কলের মাধ্যমে প্রতারণা করা সম্ভব।
সাধারণত, উল্লেখিত ধরনের নম্বরগুলো থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল বা বার্তা পাঠিয়ে আকর্ষণীয় চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই এমন কোনো অপরিচিত নম্বর থেকে কল এলে সচেতনতা অবলম্বন জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও এই ধরনের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল আসার প্রবণতা বেড়েছে।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৪ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৫ দিন আগে