ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সোমালি জলদস্যুদের হাতে ছয় দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারে দস্যু পক্ষ ও জাহাজ মালিকপক্ষের তরফে মুক্তিপণ নিয়ে আলোচনার নতুন কোনো তথ্য নেই। জাহাজের সর্বশেষ অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে বেসরকারি সংবাদ ভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম সময় টিভির একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে রাশিয়া। এইচএম তাজুল (h.m.tazol) নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি পোস্ট করা ভিডিওটি আজ রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সাড়ে ৭০০ শেয়ার হয়েছে। পোস্টটিতে রিয়েকশন পড়েছে ৫৮ হাজারের বেশি। ভাইরাল দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভিডিওটি থেকে কিছু ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই পোস্ট করা একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই দিন চ্যানেলটিতে প্রতিবেদনটি বিশ্বকে ‘এবার নিজেদের নৌ শক্তি দেখালো রাশিয়া’ শিরোনামে পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর দাবিতে প্রচারিত ভাইরাল ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
সময় টিভির চ্যানেলে ভিডিওটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি রাশিয়ার নৌবাহিনী দিবসে সেন্ট পিটার্সবার্গের নেভা নদীতে আয়োজন করা হয় নৌ মহড়ার। যেখানে প্রদর্শন করা হয় অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন। মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অর্থাৎ প্রায় দেড় বছর আগের রুশ নৌবাহিনীর মহড়ার পুরোনো একটি ভিডিওকে ‘এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে জাহাজ পাঠাচ্ছে রাশিয়া’ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে রাশিয়ার তৎপরতার ব্যাপারেও কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকে অনুসরণ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি জাহাজ। ইইউর সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, অপারেশন আটলান্টার অংশ হিসেবে মোতায়েন করা একটি ইইউ জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করে। জাহাজটিকে ঘিরে ভারতীয় নৌবাহিনীর কিছু তৎপরতার খবরও সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। এর মধ্যেই গতকাল শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধার করেছে দাবিতে একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে তথ্যটি সঠিক নয় উল্লেখ করে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
আরও পড়ুন:
সোমালি জলদস্যুদের হাতে ছয় দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারে দস্যু পক্ষ ও জাহাজ মালিকপক্ষের তরফে মুক্তিপণ নিয়ে আলোচনার নতুন কোনো তথ্য নেই। জাহাজের সর্বশেষ অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে বেসরকারি সংবাদ ভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম সময় টিভির একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে রাশিয়া। এইচএম তাজুল (h.m.tazol) নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি পোস্ট করা ভিডিওটি আজ রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সাড়ে ৭০০ শেয়ার হয়েছে। পোস্টটিতে রিয়েকশন পড়েছে ৫৮ হাজারের বেশি। ভাইরাল দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভিডিওটি থেকে কিছু ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই পোস্ট করা একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই দিন চ্যানেলটিতে প্রতিবেদনটি বিশ্বকে ‘এবার নিজেদের নৌ শক্তি দেখালো রাশিয়া’ শিরোনামে পোস্ট করা হয়। ভিডিওটির সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর দাবিতে প্রচারিত ভাইরাল ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
সময় টিভির চ্যানেলে ভিডিওটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি রাশিয়ার নৌবাহিনী দিবসে সেন্ট পিটার্সবার্গের নেভা নদীতে আয়োজন করা হয় নৌ মহড়ার। যেখানে প্রদর্শন করা হয় অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন। মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অর্থাৎ প্রায় দেড় বছর আগের রুশ নৌবাহিনীর মহড়ার পুরোনো একটি ভিডিওকে ‘এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে জাহাজ পাঠাচ্ছে রাশিয়া’ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে রাশিয়ার তৎপরতার ব্যাপারেও কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকে অনুসরণ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি জাহাজ। ইইউর সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, অপারেশন আটলান্টার অংশ হিসেবে মোতায়েন করা একটি ইইউ জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করে। জাহাজটিকে ঘিরে ভারতীয় নৌবাহিনীর কিছু তৎপরতার খবরও সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। এর মধ্যেই গতকাল শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধার করেছে দাবিতে একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে তথ্যটি সঠিক নয় উল্লেখ করে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
আরও পড়ুন:
যুবলীগ নেতাকে গুলি চালানোর সময় এক নারী এসে সন্ত্রাসীদের তাড়া করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১ দিন আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৫ দিন আগে