ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল কামরাঙা। পাকা কামরাঙার মিষ্টি স্বাদ, রঙের কারণে এটি বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-প্রশান্ত এবং পূর্ব-এশিয়া অংশে বহুকাল ধরেই জনপ্রিয়। তবে চাঁদের কলঙ্কের মতো এই ফলেরও নামেও আছে বদনাম। কামরাঙা ফল নিয়ে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ‘একটুখানি বিজ্ঞান পরিবার’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল হালিমের সৌজন্যে একটি কবিতা খুঁজে পাওয়া যায়। কবিতার সঙ্গে ‘কামরাঙা খেয়ে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো?’ শিরোনামে একটি ফটোকার্ডও জুড়ে দেওয়া হয়।
২০ চরণের কবিতাটিতে কামরাঙার ভয়াবহতা উল্লেখ করে লেখা,...‘একটি কথা আজ থেকে/রাখতে হবে স্মরণ/এ ফল খেয়ে করতে পারে কেউ/হঠাৎ মৃত্যুবরণ।...সকল প্রকার কামরাঙা থেকে রব সাবধান/এটি খেতে করছে বারণ/চিকিৎসা বিজ্ঞান।’
২০২১ সালে ফেসবুকে প্রচারিত আরেকটি ফটোকার্ডে কামরাঙাকে ‘বিষ ফল’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সায়েন্স বি নামের একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক পেজের ফটোকার্ডেও কামরাঙাকে ‘বিষাক্ত ফল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ফটোকার্ডটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বৃক্ক বা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিডনি ফেইলিয়র, বৃক্কে পাথরসহ যে কোনো দুর্বল কিডনির রোগীদের বিষক্রিয়া হয়। এতে হেঁচকি হওয়া, বমি হওয়া, বমি বমি ভাব এবং মাঝে মাঝে মৃত্যু ঘটানোর মতো ঘটনা ঘটে। তবে সুস্থ বৃক্কের জন্য কামরাঙা ক্ষতিকর নয়।’
কামরাঙার এই বদনাম যদিও কেবল আমাদের দেশেই নয়, ছড়িয়ে আছে বিশ্বব্যাপী। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপস ২০০৯ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘কামরাঙা মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে’—এমন তথ্য ইন্টারনেটে অন্তত ২০০৮ সালের মে মাস থেকেই প্রচার হয়ে আসছে। এই তথ্য কীভাবে ছড়াল তা জানা যায় না।
কামরাঙা কি আসলেই এত ভয়াবহ বা বিষাক্ত? কামরাঙা খেলে সব মানুষেরই কি শরীরের ক্ষতি হয়?
এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ওয়েবসাইটে ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পাওয়া যায়। মালয়েশিয়ার এআইএমএসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো টেকনোলজি বিভাগ ও ইউনিভার্সিটি সেন্স মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন মলিকুলার মেডিসিনের একদল গবেষকের করা কামরাঙার পুষ্টিকর, ঔষধি এবং বিষাক্ত বৈশিষ্ট্য নিয়ে করা এই গবেষণা থেকে জানা যায়, কামরাঙা পুষ্টি ও ঔষধি গুণে ভরপুর। তবে কামরাঙায় থাকা অক্সালেট ও ক্যারামবক্সিনের কারণে এটি কিডনি সমস্যাযুক্ত রোগীদের জন্য বিষাক্ত।
দেশটির ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন কামরাঙা ফল সম্পর্কে জানায়, গবেষণায় দেখা গেছে কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কামরাঙা ক্ষতিকর। কামরাঙায় নিউরোটক্সিন নামের পদার্থ থাকে। এটি মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করতে পারে এবং স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে। সুস্বাস্থ্য ও সুস্থ-স্বাভাবিক কিডনি যাদের, তারা এই নিউরোটক্সিন শরীর থেকে বের করে দিতে পারে। কিন্তু যাদের কিডনি সমস্যা আছে, তাদের পক্ষে এটি সম্ভব না। ফলে এটি শরীরে থেকে মারাত্মক অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কারও কিডনি সমস্যা থাকলে তাঁর কামরাঙা না খাওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য প্রকাশকারী আমেরিকান করপোরেশন প্রতিষ্ঠান ওয়েব এমডিও তাঁদের ওয়েবসাইটে একই তথ্য দিয়েছে। কিডনি জটিলতায় ভোগা ব্যক্তিরা কামরাঙা খেলে তাঁদের মধ্যে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে, তার মধ্যে আছে হেঁচকি, মানসিক বিভ্রান্তি, খিঁচুনি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ওয়েব এমডি আরও জানায়, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ তথা, বোসুটিনিব, প্যানোবিনোস্ট্যাট, ভেনেটোক্ল্যাক্স জাতীয় ওষুধ গ্রহণের সময় কামরাঙা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
কামরাঙা প্রসঙ্গে সিঙ্গাপুরের সরকারি খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, কামরাঙা ফলের অনেক স্বাস্থ্যকর উপকার আছে। সুস্থ স্বাভাবিক যেকোনো ব্যক্তি পরিমিত পরিমাণে নিরাপদে কামরাঙা খেতে পারেন। তবে কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে কামরাঙা খাওয়ার ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
যেমন, কামরাঙায় অক্সালিক অ্যাসিড থাকায় এটি যাদের কিডনি সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অক্সালিক অ্যাসিড শরীরের ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই কারও যদি কিডনির সমস্যা থাকে বা নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সেবন করেন, তাহলে কোনো খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে কামরাঙা বা এর জুস থেকে সাবধান থাকা ভালো।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডের ওয়েবসাইটে কামরাঙার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা সম্পর্কে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কামরাঙা ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। একটি মাঝারি আকৃতির (৯১ গ্রাম) কামরাঙায় থাকে ২৮ ক্যালরি, শর্করা থাকে ৬ দশমিক ১ গ্রাম, প্রোটিন থাকে ১ গ্রাম এবং ফাইবার থাকে ২ দশমিক ৫ গ্রাম। এতে সেলুলোজ থাকে ৬০ শতাংশ, হেমিসেলুলোজ থাকে ২৭ শতাংশ এবং ১৩ শতাংশ পেকটিন থাকে।
এ ছাড়া কামরাঙার মধ্যে ভিটামিন এবং খনিজের বিপুল সম্ভার রয়েছে। যেমন, এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এবং গ্যালিক অ্যাসিড, যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের বরাত দিয়ে ম্যাগাজিনটি জানায়, একই মাপের একটি কামরাঙায় ১২১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৩১. ৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি,১০. ৯ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৯. ১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম, ২. ৭৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ১.৮ গ্রাম সোডিয়াম থাকে।
অর্থাৎ একজন মানুষ একটি মাঝারি আকারের কামরাঙা থেকে একবারেই ৩১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করতে পারেন। যেখানে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দিনে ৯০ মিলিগ্রাম এবং একজন নারীর ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ প্রয়োজন। তবে গর্ভকালীন সময়ে একজন নারীর ৮৫ মিলিগ্রাম এবং সন্তানকে দুগ্ধপানের সময়ে ১২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়।
তবে ফলটির অতিরিক্ত খাওয়াতে কিছু ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছে ম্যাগাজিনটি। ম্যাগাজিনটি জানায়, কাঁচা বা অতিরিক্ত এই ফল খাওয়াতে কিছু ঝুঁকি আছে। যেমন:
কিডনিতে পাথর: কামরাঙায় অক্সালেট বা অক্সালিক অ্যাসিড থাকে। যা প্রাকৃতিকভাবে বিটরুট, পালংশাকেও বিদ্যমান। মানুষের শরীরও অক্সালেট তৈরি করে এবং প্রাকৃতিকভাবে মূত্রের মাধ্যমে নিঃসরণ করে। যদি কেউ অতিরিক্ত মাত্রায় এই অক্সালেট গ্রহণ করে তাহলে এর ফলে কিডনিতে পাথর ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
হজমে সমস্যা: কাঁচা কামরাঙায় অক্সালেটের মাত্রা বেশি থাকে এবং এটি খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা বা বমি হতে পারে। তাই পাকা কামরাঙা খাওয়া উচিত।
কিডনি সমস্যায় জটিলতা: কারও যদি কিডনিতে সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁদের কামরাঙা না খাওয়া বা খেলেও কমিয়ে খাওয়া উচিত। এই ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কামরাঙা স্নায়বিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। কারও কিডনি জটিলতা না থাকলেও অতিরিক্ত কামরাঙা খাওয়া কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণের সময় কামরাঙা খাওয়া মানবদেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
সর্বোপরি ম্যাগাজিনটি জানায়, কারও যদি কিডনিতে সমস্যা থাকে এবং কোনো ওষুধ সেবনের মধ্য দিয়ে যায়, তাহলে তাঁর কামরাঙা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।
উল্লিখিত আলোচনা থেকে স্পষ্ট, কামরাঙা পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি ফল। সুস্থ–স্বাভাবিক কারও জন্য ফলটি খাওয়া বারণ এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই এবং এটিকে ঢালাওভাবে কোথাও বিষাক্ত উল্লেখ করা হয়নি। তারা পরিমিত পর্যায়ে ফলটি খেতে পারেন। মূলত, ফলটিতে থাকা অক্সালিক অ্যাসিড উপাদানের জন্য এটি কিডনিতে সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল কামরাঙা। পাকা কামরাঙার মিষ্টি স্বাদ, রঙের কারণে এটি বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-প্রশান্ত এবং পূর্ব-এশিয়া অংশে বহুকাল ধরেই জনপ্রিয়। তবে চাঁদের কলঙ্কের মতো এই ফলেরও নামেও আছে বদনাম। কামরাঙা ফল নিয়ে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ‘একটুখানি বিজ্ঞান পরিবার’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল হালিমের সৌজন্যে একটি কবিতা খুঁজে পাওয়া যায়। কবিতার সঙ্গে ‘কামরাঙা খেয়ে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো?’ শিরোনামে একটি ফটোকার্ডও জুড়ে দেওয়া হয়।
২০ চরণের কবিতাটিতে কামরাঙার ভয়াবহতা উল্লেখ করে লেখা,...‘একটি কথা আজ থেকে/রাখতে হবে স্মরণ/এ ফল খেয়ে করতে পারে কেউ/হঠাৎ মৃত্যুবরণ।...সকল প্রকার কামরাঙা থেকে রব সাবধান/এটি খেতে করছে বারণ/চিকিৎসা বিজ্ঞান।’
২০২১ সালে ফেসবুকে প্রচারিত আরেকটি ফটোকার্ডে কামরাঙাকে ‘বিষ ফল’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সায়েন্স বি নামের একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক পেজের ফটোকার্ডেও কামরাঙাকে ‘বিষাক্ত ফল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ফটোকার্ডটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বৃক্ক বা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিডনি ফেইলিয়র, বৃক্কে পাথরসহ যে কোনো দুর্বল কিডনির রোগীদের বিষক্রিয়া হয়। এতে হেঁচকি হওয়া, বমি হওয়া, বমি বমি ভাব এবং মাঝে মাঝে মৃত্যু ঘটানোর মতো ঘটনা ঘটে। তবে সুস্থ বৃক্কের জন্য কামরাঙা ক্ষতিকর নয়।’
কামরাঙার এই বদনাম যদিও কেবল আমাদের দেশেই নয়, ছড়িয়ে আছে বিশ্বব্যাপী। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপস ২০০৯ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘কামরাঙা মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে’—এমন তথ্য ইন্টারনেটে অন্তত ২০০৮ সালের মে মাস থেকেই প্রচার হয়ে আসছে। এই তথ্য কীভাবে ছড়াল তা জানা যায় না।
কামরাঙা কি আসলেই এত ভয়াবহ বা বিষাক্ত? কামরাঙা খেলে সব মানুষেরই কি শরীরের ক্ষতি হয়?
এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ওয়েবসাইটে ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পাওয়া যায়। মালয়েশিয়ার এআইএমএসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো টেকনোলজি বিভাগ ও ইউনিভার্সিটি সেন্স মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন মলিকুলার মেডিসিনের একদল গবেষকের করা কামরাঙার পুষ্টিকর, ঔষধি এবং বিষাক্ত বৈশিষ্ট্য নিয়ে করা এই গবেষণা থেকে জানা যায়, কামরাঙা পুষ্টি ও ঔষধি গুণে ভরপুর। তবে কামরাঙায় থাকা অক্সালেট ও ক্যারামবক্সিনের কারণে এটি কিডনি সমস্যাযুক্ত রোগীদের জন্য বিষাক্ত।
দেশটির ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন কামরাঙা ফল সম্পর্কে জানায়, গবেষণায় দেখা গেছে কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কামরাঙা ক্ষতিকর। কামরাঙায় নিউরোটক্সিন নামের পদার্থ থাকে। এটি মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করতে পারে এবং স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে। সুস্বাস্থ্য ও সুস্থ-স্বাভাবিক কিডনি যাদের, তারা এই নিউরোটক্সিন শরীর থেকে বের করে দিতে পারে। কিন্তু যাদের কিডনি সমস্যা আছে, তাদের পক্ষে এটি সম্ভব না। ফলে এটি শরীরে থেকে মারাত্মক অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কারও কিডনি সমস্যা থাকলে তাঁর কামরাঙা না খাওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য প্রকাশকারী আমেরিকান করপোরেশন প্রতিষ্ঠান ওয়েব এমডিও তাঁদের ওয়েবসাইটে একই তথ্য দিয়েছে। কিডনি জটিলতায় ভোগা ব্যক্তিরা কামরাঙা খেলে তাঁদের মধ্যে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে, তার মধ্যে আছে হেঁচকি, মানসিক বিভ্রান্তি, খিঁচুনি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ওয়েব এমডি আরও জানায়, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ তথা, বোসুটিনিব, প্যানোবিনোস্ট্যাট, ভেনেটোক্ল্যাক্স জাতীয় ওষুধ গ্রহণের সময় কামরাঙা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
কামরাঙা প্রসঙ্গে সিঙ্গাপুরের সরকারি খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, কামরাঙা ফলের অনেক স্বাস্থ্যকর উপকার আছে। সুস্থ স্বাভাবিক যেকোনো ব্যক্তি পরিমিত পরিমাণে নিরাপদে কামরাঙা খেতে পারেন। তবে কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে কামরাঙা খাওয়ার ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
যেমন, কামরাঙায় অক্সালিক অ্যাসিড থাকায় এটি যাদের কিডনি সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অক্সালিক অ্যাসিড শরীরের ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই কারও যদি কিডনির সমস্যা থাকে বা নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সেবন করেন, তাহলে কোনো খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে কামরাঙা বা এর জুস থেকে সাবধান থাকা ভালো।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডের ওয়েবসাইটে কামরাঙার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা সম্পর্কে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কামরাঙা ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। একটি মাঝারি আকৃতির (৯১ গ্রাম) কামরাঙায় থাকে ২৮ ক্যালরি, শর্করা থাকে ৬ দশমিক ১ গ্রাম, প্রোটিন থাকে ১ গ্রাম এবং ফাইবার থাকে ২ দশমিক ৫ গ্রাম। এতে সেলুলোজ থাকে ৬০ শতাংশ, হেমিসেলুলোজ থাকে ২৭ শতাংশ এবং ১৩ শতাংশ পেকটিন থাকে।
এ ছাড়া কামরাঙার মধ্যে ভিটামিন এবং খনিজের বিপুল সম্ভার রয়েছে। যেমন, এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এবং গ্যালিক অ্যাসিড, যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের বরাত দিয়ে ম্যাগাজিনটি জানায়, একই মাপের একটি কামরাঙায় ১২১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৩১. ৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি,১০. ৯ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৯. ১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম, ২. ৭৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ১.৮ গ্রাম সোডিয়াম থাকে।
অর্থাৎ একজন মানুষ একটি মাঝারি আকারের কামরাঙা থেকে একবারেই ৩১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করতে পারেন। যেখানে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দিনে ৯০ মিলিগ্রাম এবং একজন নারীর ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ প্রয়োজন। তবে গর্ভকালীন সময়ে একজন নারীর ৮৫ মিলিগ্রাম এবং সন্তানকে দুগ্ধপানের সময়ে ১২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়।
তবে ফলটির অতিরিক্ত খাওয়াতে কিছু ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছে ম্যাগাজিনটি। ম্যাগাজিনটি জানায়, কাঁচা বা অতিরিক্ত এই ফল খাওয়াতে কিছু ঝুঁকি আছে। যেমন:
কিডনিতে পাথর: কামরাঙায় অক্সালেট বা অক্সালিক অ্যাসিড থাকে। যা প্রাকৃতিকভাবে বিটরুট, পালংশাকেও বিদ্যমান। মানুষের শরীরও অক্সালেট তৈরি করে এবং প্রাকৃতিকভাবে মূত্রের মাধ্যমে নিঃসরণ করে। যদি কেউ অতিরিক্ত মাত্রায় এই অক্সালেট গ্রহণ করে তাহলে এর ফলে কিডনিতে পাথর ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
হজমে সমস্যা: কাঁচা কামরাঙায় অক্সালেটের মাত্রা বেশি থাকে এবং এটি খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা বা বমি হতে পারে। তাই পাকা কামরাঙা খাওয়া উচিত।
কিডনি সমস্যায় জটিলতা: কারও যদি কিডনিতে সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁদের কামরাঙা না খাওয়া বা খেলেও কমিয়ে খাওয়া উচিত। এই ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কামরাঙা স্নায়বিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। কারও কিডনি জটিলতা না থাকলেও অতিরিক্ত কামরাঙা খাওয়া কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণের সময় কামরাঙা খাওয়া মানবদেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
সর্বোপরি ম্যাগাজিনটি জানায়, কারও যদি কিডনিতে সমস্যা থাকে এবং কোনো ওষুধ সেবনের মধ্য দিয়ে যায়, তাহলে তাঁর কামরাঙা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।
উল্লিখিত আলোচনা থেকে স্পষ্ট, কামরাঙা পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি ফল। সুস্থ–স্বাভাবিক কারও জন্য ফলটি খাওয়া বারণ এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই এবং এটিকে ঢালাওভাবে কোথাও বিষাক্ত উল্লেখ করা হয়নি। তারা পরিমিত পর্যায়ে ফলটি খেতে পারেন। মূলত, ফলটিতে থাকা অক্সালিক অ্যাসিড উপাদানের জন্য এটি কিডনিতে সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল কামরাঙা। পাকা কামরাঙার মিষ্টি স্বাদ, রঙের কারণে এটি বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-প্রশান্ত এবং পূর্ব-এশিয়া অংশে বহুকাল ধরেই জনপ্রিয়। তবে চাঁদের কলঙ্কের মতো এই ফলেরও নামেও আছে বদনাম। ‘কামরাঙা খেয়ে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো?’ শিরোনামে একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল কামরাঙা। পাকা কামরাঙার মিষ্টি স্বাদ, রঙের কারণে এটি বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-প্রশান্ত এবং পূর্ব-এশিয়া অংশে বহুকাল ধরেই জনপ্রিয়। তবে চাঁদের কলঙ্কের মতো এই ফলেরও নামেও আছে বদনাম। ‘কামরাঙা খেয়ে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো?’ শিরোনামে একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল কামরাঙা। পাকা কামরাঙার মিষ্টি স্বাদ, রঙের কারণে এটি বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-প্রশান্ত এবং পূর্ব-এশিয়া অংশে বহুকাল ধরেই জনপ্রিয়। তবে চাঁদের কলঙ্কের মতো এই ফলেরও নামেও আছে বদনাম। ‘কামরাঙা খেয়ে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো?’ শিরোনামে একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল কামরাঙা। পাকা কামরাঙার মিষ্টি স্বাদ, রঙের কারণে এটি বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-প্রশান্ত এবং পূর্ব-এশিয়া অংশে বহুকাল ধরেই জনপ্রিয়। তবে চাঁদের কলঙ্কের মতো এই ফলেরও নামেও আছে বদনাম। ‘কামরাঙা খেয়ে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো?’ শিরোনামে একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫