ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ফেসবুকে রটেছে, মিসরের এক যুবক নিজের সব দাঁত তুলে সেটি দিয়ে নেকলেস বানিয়ে প্রেয়সীকে উপহার দিয়েছেন। দেশ ও দেশের বাইরের অসংখ্য ফেসবুক আইডি থেকে গত দুসপ্তাহ ধরে দুটি ছবি পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, এর একটি ওই যুবকের ছবি, অন্যটি তাঁর দাঁত দিয়ে তৈরি নেকলেসের ছবি।
ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, হাস্যোজ্জ্বল ওই যুবকের মুখে কোনো দাঁত নেই। আর মালাটির সঙ্গে ঝুলছে কয়েকটি দাঁত। ফেসবুক পোস্টগুলোতে লেখা ক্যাপশনের সঙ্গে ছবি দুটো সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই তথ্যটি বিশ্বাস করে শেয়ার করছেন। সঙ্গে গাইছেন ভালোবাসার জয়গান।
ছবির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একটি বাক্য। তাতে লেখা—‘এই লোক নিজের সব দাঁত তুলে ফেলে, নিজের গার্লফ্রেন্ড এর জন্য দাঁত দিয়ে নেকলেস বানিয়েছে। ভালোবাসা মানুষকে শুধু অন্ধ না ফোকলাও বানিয়ে দেয়।’
ফ্যাক্টচেক
রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ছবি দুটির উৎস পৃথক। গত ৩১ অক্টোবর দাঁতের নেকলেসের সঙ্গে ফোকলা মুখের ছবিটি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার আইডিতে পোস্ট করেন মিসরের তরুণ অভিনেতা মোস্তফা সলিমান এল সায়েদ।
আরবি ভাষায় লেখা ক্যপশন গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে অনুবাদ করলে দাঁড়ায়—‘সত্যি, আমার দেখা ভালোবাসার অন্যতম সুন্দর অর্থ হলো, তুমি তোমার সব দাঁত খুলে ভালোবাসার মানুষকে দিয়ে দাও।’ মিসরের ওই অভিনেতার পোস্ট দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ওই পোস্টে ছবি সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য লেখা না হলেও কমেন্টগুলো পড়ে ধারণা করা যায়, নিছক মজা করেই ছবি দুটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন মোস্তফা সলিমান।
ফেসবুকে ছবি দুটি ভাইরাল হলে সলিমান গত ২ ও ৫ নভেম্বর দুটি স্ক্রিনশট দিয়ে স্যাটায়ার পোস্ট করেন। পোস্টগুলোতে প্রায় শতভাগ ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট পড়েছে।
৩১ অক্টোবরের আগে ও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা তাঁর সব ছবিতেই তাঁকে স্বাভাবিক দাঁতসহ দেখা গেছে। ফলে ধারণা করা যায়, মোস্তফা সলিমানের দাঁতহীন মুখের ছবিটি অ্যাপের মাধ্যমে সম্পাদিত।
দাঁত আকৃতির উপাদান দিয়ে তৈরি নেকলেসের ছবিটি মূলত একটি জুয়েলারি পণ্যের ছবির অ্যালবাম থেকে নেওয়া হয়েছে। পিন্টারেস্ট নামের সামাজিক মাধ্যমে রাডার নামের একটি আইডি থেকে উইয়ার্ডকোর নামের অ্যালবামে দাঁতের তৈরি নেকলেসের ছবি পোস্ট করা হয়। ভাইরাল হওয়া নেকলেসটি ছাড়াও দাঁতের তৈরি বেশ কিছু জুয়েলারি পণ্যের ছবি রয়েছে ওই প্রোফাইলে।
সলিমান নিছক মজা করার উদ্দেশ্যে পোস্ট করলেও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই বিষয়টি তাঁদের ওয়ালে সত্যি ঘটনা দাবি করে পোস্ট করেছেন। ঘটনাটিকে হাস্যরসের বদলে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে উপস্থাপনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফেসবুকে।
বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা আরেক কাঠি সরেস। এখানে ছবির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একটি বাক্য—‘এই লোক নিজের সব দাঁত তুলে ফেলে, নিজের গার্লফ্রেন্ড এর জন্য দাঁত দিয়ে নেকলেস বানিয়েছে। ভালোবাসা মানুষকে শুধু অন্ধ না ফোকলাও বানিয়ে দেয়।’ সেই ছবিই বাংলাদেশে হাজার হাজার আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
সিদ্ধান্ত
প্রেয়সীকে নিজের দাঁত খুলে নেকলেস বানিয়ে দিয়েছেন, ফেসবুকে এমন দাবিতে ভাইরাল হওয়া ছবি দুটি নিছক মজা করে পোস্ট করেছিলেন মিসরের এক তরুণ অভিনেতা। এটি বাস্তব কোনো ঘটনা নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
সম্প্রতি ফেসবুকে রটেছে, মিসরের এক যুবক নিজের সব দাঁত তুলে সেটি দিয়ে নেকলেস বানিয়ে প্রেয়সীকে উপহার দিয়েছেন। দেশ ও দেশের বাইরের অসংখ্য ফেসবুক আইডি থেকে গত দুসপ্তাহ ধরে দুটি ছবি পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, এর একটি ওই যুবকের ছবি, অন্যটি তাঁর দাঁত দিয়ে তৈরি নেকলেসের ছবি।
ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, হাস্যোজ্জ্বল ওই যুবকের মুখে কোনো দাঁত নেই। আর মালাটির সঙ্গে ঝুলছে কয়েকটি দাঁত। ফেসবুক পোস্টগুলোতে লেখা ক্যাপশনের সঙ্গে ছবি দুটো সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই তথ্যটি বিশ্বাস করে শেয়ার করছেন। সঙ্গে গাইছেন ভালোবাসার জয়গান।
ছবির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একটি বাক্য। তাতে লেখা—‘এই লোক নিজের সব দাঁত তুলে ফেলে, নিজের গার্লফ্রেন্ড এর জন্য দাঁত দিয়ে নেকলেস বানিয়েছে। ভালোবাসা মানুষকে শুধু অন্ধ না ফোকলাও বানিয়ে দেয়।’
ফ্যাক্টচেক
রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ছবি দুটির উৎস পৃথক। গত ৩১ অক্টোবর দাঁতের নেকলেসের সঙ্গে ফোকলা মুখের ছবিটি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার আইডিতে পোস্ট করেন মিসরের তরুণ অভিনেতা মোস্তফা সলিমান এল সায়েদ।
আরবি ভাষায় লেখা ক্যপশন গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে অনুবাদ করলে দাঁড়ায়—‘সত্যি, আমার দেখা ভালোবাসার অন্যতম সুন্দর অর্থ হলো, তুমি তোমার সব দাঁত খুলে ভালোবাসার মানুষকে দিয়ে দাও।’ মিসরের ওই অভিনেতার পোস্ট দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ওই পোস্টে ছবি সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য লেখা না হলেও কমেন্টগুলো পড়ে ধারণা করা যায়, নিছক মজা করেই ছবি দুটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন মোস্তফা সলিমান।
ফেসবুকে ছবি দুটি ভাইরাল হলে সলিমান গত ২ ও ৫ নভেম্বর দুটি স্ক্রিনশট দিয়ে স্যাটায়ার পোস্ট করেন। পোস্টগুলোতে প্রায় শতভাগ ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট পড়েছে।
৩১ অক্টোবরের আগে ও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা তাঁর সব ছবিতেই তাঁকে স্বাভাবিক দাঁতসহ দেখা গেছে। ফলে ধারণা করা যায়, মোস্তফা সলিমানের দাঁতহীন মুখের ছবিটি অ্যাপের মাধ্যমে সম্পাদিত।
দাঁত আকৃতির উপাদান দিয়ে তৈরি নেকলেসের ছবিটি মূলত একটি জুয়েলারি পণ্যের ছবির অ্যালবাম থেকে নেওয়া হয়েছে। পিন্টারেস্ট নামের সামাজিক মাধ্যমে রাডার নামের একটি আইডি থেকে উইয়ার্ডকোর নামের অ্যালবামে দাঁতের তৈরি নেকলেসের ছবি পোস্ট করা হয়। ভাইরাল হওয়া নেকলেসটি ছাড়াও দাঁতের তৈরি বেশ কিছু জুয়েলারি পণ্যের ছবি রয়েছে ওই প্রোফাইলে।
সলিমান নিছক মজা করার উদ্দেশ্যে পোস্ট করলেও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই বিষয়টি তাঁদের ওয়ালে সত্যি ঘটনা দাবি করে পোস্ট করেছেন। ঘটনাটিকে হাস্যরসের বদলে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে উপস্থাপনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফেসবুকে।
বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা আরেক কাঠি সরেস। এখানে ছবির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একটি বাক্য—‘এই লোক নিজের সব দাঁত তুলে ফেলে, নিজের গার্লফ্রেন্ড এর জন্য দাঁত দিয়ে নেকলেস বানিয়েছে। ভালোবাসা মানুষকে শুধু অন্ধ না ফোকলাও বানিয়ে দেয়।’ সেই ছবিই বাংলাদেশে হাজার হাজার আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
সিদ্ধান্ত
প্রেয়সীকে নিজের দাঁত খুলে নেকলেস বানিয়ে দিয়েছেন, ফেসবুকে এমন দাবিতে ভাইরাল হওয়া ছবি দুটি নিছক মজা করে পোস্ট করেছিলেন মিসরের এক তরুণ অভিনেতা। এটি বাস্তব কোনো ঘটনা নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
ভারতে তিনি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার দাবিতে এর আগে একাধিক ভিডিও ছড়ালে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এরই মধ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন—এমন দাবিতে আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
১ দিন আগেসামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
২ দিন আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকে মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে নানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি একটি তথ্য...
২ দিন আগেকক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওতে থাকা তরুণী পর্যটক ছিলেন। তাঁর গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই...
৩ দিন আগে