ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইত্তেফাক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবকের বরাত দিয়ে বলা হয়, তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত। করোসলগাছের পাতা কেমোথেরাপি চেয়ে শক্তিশালী—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে তিনি এ তথ্য জেনে পাতা সংগ্রহের জন্য এসেছেন।
নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের ফিচার ডেস্ক থেকে গত বছরের ৬ জুলাই প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘করোসল ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী। অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।’ প্রতিবেদনটিতে বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘এই ফলের (করোসল) এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যানসার রোগীর থেরাপির প্রয়োজন হয় না।’
মানবজমিনের একটি প্রতিবেদনে করোসল ফলকে উল্লেখ করা হয়েছে ক্যানসারের ‘প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি’ হিসেবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোসল ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রাভিওলা, সাওয়ারসপ, গুয়াবানো, গুয়ানাবানা, ব্রাজিলিয়ান পাও পাও, কাস্টার্ড আপেল নামে পরিচিত। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের গাছের। এটি গাঢ় সবুজ বর্ণের, কাঁটাযুক্ত, হৃৎপিণ্ড আকৃতির। এর গাছ ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে জন্মায়। সাধারণত ফলটি পানীয়, আইসক্রিম ও সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আফ্রিকা, ক্যারিবিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের লোকজন প্রাকৃতিক চিকিৎসায় এই গাছের বেশিরভাগ অংশ—যেমন পাতা, ফল ও বীজ ব্যবহার করে। এই ফলে অনেক খনিজ রয়েছে, যার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন অন্তর্ভুক্ত।

করোসল ফল কি আসলেই ক্যানসারের প্রতিষেধক বা কেমোথেরাপির বিকল্প? কী বলে গবেষণা?
ভারতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। যদিও ফলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলোকে অ্যাসিটোজেনিনস বলা হয়, যা ল্যাবে গবেষণায় কিছু ক্যানসারপ্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে। তবে এই ফলাফলগুলো শুধু গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ। করোসল মানুষের ক্যানসার চিকিৎসা বা নিরাময়ের জন্য কার্যকর হতে পারে, এর কোনো ক্লিনিক্যাল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে কেমোথেরাপি নিয়ে যুগ যুগ ধরে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপির প্রভাব প্রমাণিত। তবে কেমোথেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শুধু করোসল ফল বা অন্য কোনো বিকল্প থেরাপির ওপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বোপরি, করোসল ফল কেমোথেরাপির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। আবার করোসলের এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা স্নায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে।

ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের কোনো ধরনের ব্যবহারকে অনুমোদন দেয় না যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্যানসারের চিকিৎসায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত ৮০টিরও বেশি পণ্যের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১৮টি সতর্কবার্তা ও পরামর্শ দিয়েছে। এই ৮০টি পণ্যের মধ্যে আছে করোসল ফল, পাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য। এফডিএ জানায়, এসব পণ্য নিরাপদ কি না এবং এগুলোর সক্ষমতা যাচাই করেনি তারা এবং এসব পণ্য মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
১৯৯৭ সালে জার্নাল অব মেডিসিনাল কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার সেন্টার জানায়, স্তন ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করায় কেমোথেরাপির চেয়ে বেশি কার্যকর ছিল করোসল ফলের কিছু উপাদান। ২০১৬ সালে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামে আরেকটি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় ইঁদুরের প্রোস্টেট ক্যানসার কোষে করোসল ফল প্রয়োগেও ভালো ফলাফল পাওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া করোসল ফল ক্যানসার রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে—এমন দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

ক্যানসার সেন্টার আরও জানায়, করোসল ফল মুখে খাওয়াও নিরাপদ নয়। এই ফল খাওয়া পার্কিনসনস ডিজিজের মতো মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার বা নড়াচড়ায় বৈকল্য ঘটাতে পারে। আরেকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, করোসল ফলের পাতার ও কাণ্ডের চা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিক করে দিতে পারে।
একই বক্তব্য পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের ক্যানসার-বিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যানসার রিসার্চ ইউকের ওয়েবসাইট থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের প্রচারণা থাকলেও এর পক্ষে পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ নেই।
ল্যাবরেটরি গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোসল কিছু ধরনের ক্যানসার কোষ—যেমন লিভার, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসার ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের ওপর এ ফলের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা করা হয়নি। তাই করোসল শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে, তা এখনো জানা যায়নি। ফলটির কিছু রাসায়নিক উপাদান নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। এসব উপাদান স্নায়ুতে পরিবর্তন এবং চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্নায়ু পরিবর্তনের ফলে পার্কিনসনস রোগের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ল্যাবরেটরি গবেষণায় দেখা গেছে, করোসলের কিছু উপাদান স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে এবং রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত হাসপাতাল মাউন্ট এলিজাবেথের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, অনেকে ধারণা করেন যে করোসল পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় ক্যানসার কোষের সংখ্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষত স্তন বা প্রোস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে। কারণ, এতে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাসিটোজেনিন যৌগ নামে একধরনের উপাদান রয়েছে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। তবে গবেষণায় এখনো এটি কার্যকর চিকিৎসা কি না, তা প্রমাণ করা যায়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা করোসল ফল নিয়ে কেবল ল্যাবরেটরিতে পৃথক কোষ ও ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন।
তাই বিশেষজ্ঞরা করোসল ফলকে ক্যানসারের প্রমাণিত চিকিৎসা হিসেবে সুপারিশ করেন না।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইত্তেফাক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবকের বরাত দিয়ে বলা হয়, তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত। করোসলগাছের পাতা কেমোথেরাপি চেয়ে শক্তিশালী—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে তিনি এ তথ্য জেনে পাতা সংগ্রহের জন্য এসেছেন।
নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের ফিচার ডেস্ক থেকে গত বছরের ৬ জুলাই প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘করোসল ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী। অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।’ প্রতিবেদনটিতে বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘এই ফলের (করোসল) এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যানসার রোগীর থেরাপির প্রয়োজন হয় না।’
মানবজমিনের একটি প্রতিবেদনে করোসল ফলকে উল্লেখ করা হয়েছে ক্যানসারের ‘প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি’ হিসেবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোসল ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রাভিওলা, সাওয়ারসপ, গুয়াবানো, গুয়ানাবানা, ব্রাজিলিয়ান পাও পাও, কাস্টার্ড আপেল নামে পরিচিত। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের গাছের। এটি গাঢ় সবুজ বর্ণের, কাঁটাযুক্ত, হৃৎপিণ্ড আকৃতির। এর গাছ ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে জন্মায়। সাধারণত ফলটি পানীয়, আইসক্রিম ও সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আফ্রিকা, ক্যারিবিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের লোকজন প্রাকৃতিক চিকিৎসায় এই গাছের বেশিরভাগ অংশ—যেমন পাতা, ফল ও বীজ ব্যবহার করে। এই ফলে অনেক খনিজ রয়েছে, যার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন অন্তর্ভুক্ত।

করোসল ফল কি আসলেই ক্যানসারের প্রতিষেধক বা কেমোথেরাপির বিকল্প? কী বলে গবেষণা?
ভারতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। যদিও ফলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলোকে অ্যাসিটোজেনিনস বলা হয়, যা ল্যাবে গবেষণায় কিছু ক্যানসারপ্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে। তবে এই ফলাফলগুলো শুধু গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ। করোসল মানুষের ক্যানসার চিকিৎসা বা নিরাময়ের জন্য কার্যকর হতে পারে, এর কোনো ক্লিনিক্যাল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে কেমোথেরাপি নিয়ে যুগ যুগ ধরে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপির প্রভাব প্রমাণিত। তবে কেমোথেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শুধু করোসল ফল বা অন্য কোনো বিকল্প থেরাপির ওপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বোপরি, করোসল ফল কেমোথেরাপির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। আবার করোসলের এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা স্নায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে।

ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের কোনো ধরনের ব্যবহারকে অনুমোদন দেয় না যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্যানসারের চিকিৎসায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত ৮০টিরও বেশি পণ্যের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১৮টি সতর্কবার্তা ও পরামর্শ দিয়েছে। এই ৮০টি পণ্যের মধ্যে আছে করোসল ফল, পাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য। এফডিএ জানায়, এসব পণ্য নিরাপদ কি না এবং এগুলোর সক্ষমতা যাচাই করেনি তারা এবং এসব পণ্য মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
১৯৯৭ সালে জার্নাল অব মেডিসিনাল কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার সেন্টার জানায়, স্তন ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করায় কেমোথেরাপির চেয়ে বেশি কার্যকর ছিল করোসল ফলের কিছু উপাদান। ২০১৬ সালে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামে আরেকটি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় ইঁদুরের প্রোস্টেট ক্যানসার কোষে করোসল ফল প্রয়োগেও ভালো ফলাফল পাওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া করোসল ফল ক্যানসার রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে—এমন দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

ক্যানসার সেন্টার আরও জানায়, করোসল ফল মুখে খাওয়াও নিরাপদ নয়। এই ফল খাওয়া পার্কিনসনস ডিজিজের মতো মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার বা নড়াচড়ায় বৈকল্য ঘটাতে পারে। আরেকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, করোসল ফলের পাতার ও কাণ্ডের চা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিক করে দিতে পারে।
একই বক্তব্য পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের ক্যানসার-বিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যানসার রিসার্চ ইউকের ওয়েবসাইট থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের প্রচারণা থাকলেও এর পক্ষে পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ নেই।
ল্যাবরেটরি গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোসল কিছু ধরনের ক্যানসার কোষ—যেমন লিভার, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসার ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের ওপর এ ফলের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা করা হয়নি। তাই করোসল শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে, তা এখনো জানা যায়নি। ফলটির কিছু রাসায়নিক উপাদান নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। এসব উপাদান স্নায়ুতে পরিবর্তন এবং চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্নায়ু পরিবর্তনের ফলে পার্কিনসনস রোগের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ল্যাবরেটরি গবেষণায় দেখা গেছে, করোসলের কিছু উপাদান স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে এবং রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত হাসপাতাল মাউন্ট এলিজাবেথের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, অনেকে ধারণা করেন যে করোসল পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় ক্যানসার কোষের সংখ্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষত স্তন বা প্রোস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে। কারণ, এতে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাসিটোজেনিন যৌগ নামে একধরনের উপাদান রয়েছে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। তবে গবেষণায় এখনো এটি কার্যকর চিকিৎসা কি না, তা প্রমাণ করা যায়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা করোসল ফল নিয়ে কেবল ল্যাবরেটরিতে পৃথক কোষ ও ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন।
তাই বিশেষজ্ঞরা করোসল ফলকে ক্যানসারের প্রমাণিত চিকিৎসা হিসেবে সুপারিশ করেন না।
ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইত্তেফাক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবকের বরাত দিয়ে বলা হয়, তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত। করোসলগাছের পাতা কেমোথেরাপি চেয়ে শক্তিশালী—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে তিনি এ তথ্য জেনে পাতা সংগ্রহের জন্য এসেছেন।
নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের ফিচার ডেস্ক থেকে গত বছরের ৬ জুলাই প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘করোসল ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী। অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।’ প্রতিবেদনটিতে বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘এই ফলের (করোসল) এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যানসার রোগীর থেরাপির প্রয়োজন হয় না।’
মানবজমিনের একটি প্রতিবেদনে করোসল ফলকে উল্লেখ করা হয়েছে ক্যানসারের ‘প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি’ হিসেবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোসল ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রাভিওলা, সাওয়ারসপ, গুয়াবানো, গুয়ানাবানা, ব্রাজিলিয়ান পাও পাও, কাস্টার্ড আপেল নামে পরিচিত। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের গাছের। এটি গাঢ় সবুজ বর্ণের, কাঁটাযুক্ত, হৃৎপিণ্ড আকৃতির। এর গাছ ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে জন্মায়। সাধারণত ফলটি পানীয়, আইসক্রিম ও সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আফ্রিকা, ক্যারিবিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের লোকজন প্রাকৃতিক চিকিৎসায় এই গাছের বেশিরভাগ অংশ—যেমন পাতা, ফল ও বীজ ব্যবহার করে। এই ফলে অনেক খনিজ রয়েছে, যার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন অন্তর্ভুক্ত।

করোসল ফল কি আসলেই ক্যানসারের প্রতিষেধক বা কেমোথেরাপির বিকল্প? কী বলে গবেষণা?
ভারতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। যদিও ফলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলোকে অ্যাসিটোজেনিনস বলা হয়, যা ল্যাবে গবেষণায় কিছু ক্যানসারপ্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে। তবে এই ফলাফলগুলো শুধু গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ। করোসল মানুষের ক্যানসার চিকিৎসা বা নিরাময়ের জন্য কার্যকর হতে পারে, এর কোনো ক্লিনিক্যাল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে কেমোথেরাপি নিয়ে যুগ যুগ ধরে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপির প্রভাব প্রমাণিত। তবে কেমোথেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শুধু করোসল ফল বা অন্য কোনো বিকল্প থেরাপির ওপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বোপরি, করোসল ফল কেমোথেরাপির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। আবার করোসলের এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা স্নায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে।

ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের কোনো ধরনের ব্যবহারকে অনুমোদন দেয় না যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্যানসারের চিকিৎসায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত ৮০টিরও বেশি পণ্যের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১৮টি সতর্কবার্তা ও পরামর্শ দিয়েছে। এই ৮০টি পণ্যের মধ্যে আছে করোসল ফল, পাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য। এফডিএ জানায়, এসব পণ্য নিরাপদ কি না এবং এগুলোর সক্ষমতা যাচাই করেনি তারা এবং এসব পণ্য মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
১৯৯৭ সালে জার্নাল অব মেডিসিনাল কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার সেন্টার জানায়, স্তন ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করায় কেমোথেরাপির চেয়ে বেশি কার্যকর ছিল করোসল ফলের কিছু উপাদান। ২০১৬ সালে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামে আরেকটি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় ইঁদুরের প্রোস্টেট ক্যানসার কোষে করোসল ফল প্রয়োগেও ভালো ফলাফল পাওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া করোসল ফল ক্যানসার রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে—এমন দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

ক্যানসার সেন্টার আরও জানায়, করোসল ফল মুখে খাওয়াও নিরাপদ নয়। এই ফল খাওয়া পার্কিনসনস ডিজিজের মতো মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার বা নড়াচড়ায় বৈকল্য ঘটাতে পারে। আরেকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, করোসল ফলের পাতার ও কাণ্ডের চা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিক করে দিতে পারে।
একই বক্তব্য পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের ক্যানসার-বিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যানসার রিসার্চ ইউকের ওয়েবসাইট থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের প্রচারণা থাকলেও এর পক্ষে পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ নেই।
ল্যাবরেটরি গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোসল কিছু ধরনের ক্যানসার কোষ—যেমন লিভার, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসার ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের ওপর এ ফলের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা করা হয়নি। তাই করোসল শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে, তা এখনো জানা যায়নি। ফলটির কিছু রাসায়নিক উপাদান নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। এসব উপাদান স্নায়ুতে পরিবর্তন এবং চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্নায়ু পরিবর্তনের ফলে পার্কিনসনস রোগের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ল্যাবরেটরি গবেষণায় দেখা গেছে, করোসলের কিছু উপাদান স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে এবং রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত হাসপাতাল মাউন্ট এলিজাবেথের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, অনেকে ধারণা করেন যে করোসল পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় ক্যানসার কোষের সংখ্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষত স্তন বা প্রোস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে। কারণ, এতে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাসিটোজেনিন যৌগ নামে একধরনের উপাদান রয়েছে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। তবে গবেষণায় এখনো এটি কার্যকর চিকিৎসা কি না, তা প্রমাণ করা যায়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা করোসল ফল নিয়ে কেবল ল্যাবরেটরিতে পৃথক কোষ ও ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন।
তাই বিশেষজ্ঞরা করোসল ফলকে ক্যানসারের প্রমাণিত চিকিৎসা হিসেবে সুপারিশ করেন না।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইত্তেফাক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবকের বরাত দিয়ে বলা হয়, তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত। করোসলগাছের পাতা কেমোথেরাপি চেয়ে শক্তিশালী—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে তিনি এ তথ্য জেনে পাতা সংগ্রহের জন্য এসেছেন।
নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের ফিচার ডেস্ক থেকে গত বছরের ৬ জুলাই প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘করোসল ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী। অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।’ প্রতিবেদনটিতে বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘এই ফলের (করোসল) এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যানসার রোগীর থেরাপির প্রয়োজন হয় না।’
মানবজমিনের একটি প্রতিবেদনে করোসল ফলকে উল্লেখ করা হয়েছে ক্যানসারের ‘প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি’ হিসেবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোসল ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রাভিওলা, সাওয়ারসপ, গুয়াবানো, গুয়ানাবানা, ব্রাজিলিয়ান পাও পাও, কাস্টার্ড আপেল নামে পরিচিত। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের গাছের। এটি গাঢ় সবুজ বর্ণের, কাঁটাযুক্ত, হৃৎপিণ্ড আকৃতির। এর গাছ ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে জন্মায়। সাধারণত ফলটি পানীয়, আইসক্রিম ও সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আফ্রিকা, ক্যারিবিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের লোকজন প্রাকৃতিক চিকিৎসায় এই গাছের বেশিরভাগ অংশ—যেমন পাতা, ফল ও বীজ ব্যবহার করে। এই ফলে অনেক খনিজ রয়েছে, যার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন অন্তর্ভুক্ত।

করোসল ফল কি আসলেই ক্যানসারের প্রতিষেধক বা কেমোথেরাপির বিকল্প? কী বলে গবেষণা?
ভারতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। যদিও ফলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলোকে অ্যাসিটোজেনিনস বলা হয়, যা ল্যাবে গবেষণায় কিছু ক্যানসারপ্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে। তবে এই ফলাফলগুলো শুধু গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ। করোসল মানুষের ক্যানসার চিকিৎসা বা নিরাময়ের জন্য কার্যকর হতে পারে, এর কোনো ক্লিনিক্যাল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে কেমোথেরাপি নিয়ে যুগ যুগ ধরে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপির প্রভাব প্রমাণিত। তবে কেমোথেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শুধু করোসল ফল বা অন্য কোনো বিকল্প থেরাপির ওপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বোপরি, করোসল ফল কেমোথেরাপির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। আবার করোসলের এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা স্নায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে।

ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের কোনো ধরনের ব্যবহারকে অনুমোদন দেয় না যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ক্যানসারের চিকিৎসায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত ৮০টিরও বেশি পণ্যের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১৮টি সতর্কবার্তা ও পরামর্শ দিয়েছে। এই ৮০টি পণ্যের মধ্যে আছে করোসল ফল, পাতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য। এফডিএ জানায়, এসব পণ্য নিরাপদ কি না এবং এগুলোর সক্ষমতা যাচাই করেনি তারা এবং এসব পণ্য মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
১৯৯৭ সালে জার্নাল অব মেডিসিনাল কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার সেন্টার জানায়, স্তন ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করায় কেমোথেরাপির চেয়ে বেশি কার্যকর ছিল করোসল ফলের কিছু উপাদান। ২০১৬ সালে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামে আরেকটি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় ইঁদুরের প্রোস্টেট ক্যানসার কোষে করোসল ফল প্রয়োগেও ভালো ফলাফল পাওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া করোসল ফল ক্যানসার রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে—এমন দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

ক্যানসার সেন্টার আরও জানায়, করোসল ফল মুখে খাওয়াও নিরাপদ নয়। এই ফল খাওয়া পার্কিনসনস ডিজিজের মতো মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার বা নড়াচড়ায় বৈকল্য ঘটাতে পারে। আরেকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, করোসল ফলের পাতার ও কাণ্ডের চা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিক করে দিতে পারে।
একই বক্তব্য পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের ক্যানসার-বিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যানসার রিসার্চ ইউকের ওয়েবসাইট থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ক্যানসারের চিকিৎসায় করোসল ফলের প্রচারণা থাকলেও এর পক্ষে পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ নেই।
ল্যাবরেটরি গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোসল কিছু ধরনের ক্যানসার কোষ—যেমন লিভার, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসার ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের ওপর এ ফলের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা করা হয়নি। তাই করোসল শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে, তা এখনো জানা যায়নি। ফলটির কিছু রাসায়নিক উপাদান নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। এসব উপাদান স্নায়ুতে পরিবর্তন এবং চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্নায়ু পরিবর্তনের ফলে পার্কিনসনস রোগের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ল্যাবরেটরি গবেষণায় দেখা গেছে, করোসলের কিছু উপাদান স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে এবং রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত হাসপাতাল মাউন্ট এলিজাবেথের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, অনেকে ধারণা করেন যে করোসল পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় ক্যানসার কোষের সংখ্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষত স্তন বা প্রোস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে। কারণ, এতে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাসিটোজেনিন যৌগ নামে একধরনের উপাদান রয়েছে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। তবে গবেষণায় এখনো এটি কার্যকর চিকিৎসা কি না, তা প্রমাণ করা যায়নি। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা করোসল ফল নিয়ে কেবল ল্যাবরেটরিতে পৃথক কোষ ও ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন।
তাই বিশেষজ্ঞরা করোসল ফলকে ক্যানসারের প্রমাণিত চিকিৎসা হিসেবে সুপারিশ করেন না।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫বাসস

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।

রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণী হাত বাঁধা অবস্থায় কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশেই একজন মধ্যবয়সী তরুণীটির বাবা পরিচয়ে আর্তনাদ করছেন। তাঁকে আরেকজন যুবক সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি তরুণীকে ঘিরে পর্যবেক্ষণ করছেন। ভিডিওর শেষাংশে পুলিশকে তরুণীর মরদেহ ব্যাগে ভরতে দেখা যায়।
‘Md Nishad Hossain’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘আহারে নির্মমতা এবং একজন বাবার আর্তনাদ। বাংলাদেশ ২০২৪’র আগস্ট মাস থেকে সারা দেশে নারী ধর্ষণ করেই চলছে বিএনপি জামাতের মব সন্ত্রাসীরা। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে রেখে গেছে। মেয়ের পিতার আহাজারী কে শুনবে দেশে এখন বিচার নাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হায়ানারা যা যা করছে ২০২৪ ’র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তার চেয়ে বেশি করছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ৫১৫টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৫৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৮৫ বার।
এসব কমেন্টে অনেকে ভিডিওটি নাটক উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছে। Shilvi Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আহারে জীবন! মানুষ কিভাবে এতো নির্মম হয়? একজন বাবার আর্তনাদ কি কারো মনকে মর্মাহত করে না?’ (বানান অপরিবর্তিত) Narayon Saha লিখেছে,’ এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বাবার কান্দে সন্তানের লাশ হায়রে দুনিয়া।’ (বানান অপরিবর্তিত)
S M Salam Patwari, গর্জে ওঠো আরেকবার বাংলাদেশ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগ শাখা নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ‘Short Film BD’ নামে একটি লোগো লক্ষ করা যায়। এই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Short Film BD’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২০ জুনে প্রকাশিত। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মেঝেতে পড়ে থাকা তরুণী, পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, আহাজারি করা ব্যক্তি ও আশপাশের দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘মৌসুমীর সাথে কি হলো।’ ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখে বোঝা যায়, এটি একটি নাটিকার দৃশ্য।
Short Film BD নামে ফেসবুক পেজটিতে একই তারিখে একই ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘মেয়ের কি হইছে জানতে চায় অসহায় বাবা।’ (বানান অপরিবর্তিত)

Short Film BD ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বিভিন্ন ধরনের নাটিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অভিনয় করা একাধিক ব্যক্তিকে অন্যান্য ভিডিওতেও (১, ২) দেখা গেছে।
এ ছাড়া এই পেজের ইন্ট্রোতে লেখা, ‘শর্টফিল্ম ও নাটক দেখুন এবং উপভোগ করুন। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তরিত)

সুতরাং, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে একটি নাটক।
বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একজন তরুণী হাত বাঁধা অবস্থায় কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশেই একজন মধ্যবয়সী তরুণীটির বাবা পরিচয়ে আর্তনাদ করছেন। তাঁকে আরেকজন যুবক সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি তরুণীকে ঘিরে পর্যবেক্ষণ করছেন। ভিডিওর শেষাংশে পুলিশকে তরুণীর মরদেহ ব্যাগে ভরতে দেখা যায়।
‘Md Nishad Hossain’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘আহারে নির্মমতা এবং একজন বাবার আর্তনাদ। বাংলাদেশ ২০২৪’র আগস্ট মাস থেকে সারা দেশে নারী ধর্ষণ করেই চলছে বিএনপি জামাতের মব সন্ত্রাসীরা। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে রেখে গেছে। মেয়ের পিতার আহাজারী কে শুনবে দেশে এখন বিচার নাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হায়ানারা যা যা করছে ২০২৪ ’র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তার চেয়ে বেশি করছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৯ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ৫১৫টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৫৬টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১৮৫ বার।
এসব কমেন্টে অনেকে ভিডিওটি নাটক উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকে সত্য মনে করেও কমেন্ট করেছে। Shilvi Akther নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ‘আহারে জীবন! মানুষ কিভাবে এতো নির্মম হয়? একজন বাবার আর্তনাদ কি কারো মনকে মর্মাহত করে না?’ (বানান অপরিবর্তিত) Narayon Saha লিখেছে,’ এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বাবার কান্দে সন্তানের লাশ হায়রে দুনিয়া।’ (বানান অপরিবর্তিত)
S M Salam Patwari, গর্জে ওঠো আরেকবার বাংলাদেশ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগ শাখা নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ‘Short Film BD’ নামে একটি লোগো লক্ষ করা যায়। এই সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Short Film BD’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ২০ জুনে প্রকাশিত। এর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মেঝেতে পড়ে থাকা তরুণী, পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, আহাজারি করা ব্যক্তি ও আশপাশের দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘মৌসুমীর সাথে কি হলো।’ ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখে বোঝা যায়, এটি একটি নাটিকার দৃশ্য।
Short Film BD নামে ফেসবুক পেজটিতে একই তারিখে একই ভিডিও প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘মেয়ের কি হইছে জানতে চায় অসহায় বাবা।’ (বানান অপরিবর্তিত)

Short Film BD ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে বিভিন্ন ধরনের নাটিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অভিনয় করা একাধিক ব্যক্তিকে অন্যান্য ভিডিওতেও (১, ২) দেখা গেছে।
এ ছাড়া এই পেজের ইন্ট্রোতে লেখা, ‘শর্টফিল্ম ও নাটক দেখুন এবং উপভোগ করুন। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’ (ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তরিত)

সুতরাং, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে একটি নাটক।
ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক করোসল গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড়’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক। তাতে দাবি করা হয়, ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে পরিচিত করোসল ফলের গাছের পাতা সংগ্রহে ভিড় করছেন রোগীদের স্বজনেরা।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫