ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির গোলাম আযমকে নিয়ে কটূক্তি করায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিএনপির মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে— এমন দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। একই ক্যাপশনে ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে ছড়ানো হয়েছে।
ভিডিওতে রাতের বেলা সাদা পাঞ্জাবি-টুপি পরা বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিকে একটি প্যান্ডেল-মঞ্চের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তাদের মঞ্চে উঠে মেঝেতে আঘাত করতে এবং চেয়ার ভাঙচুর করতে দেখা যায়।
‘Aynul Haq’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত সোমবার (১২ মে) রাত ১১টা ০৪ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। এর ক্যাপশনে লেখা, ‘গোলাম আযমকে নিয়ে কটুক্তি করাতে বিএনপির মঞ্চ ভেংগে দিয়েছে জামাত শিবির। পালিয়ে প্রাণ বাচাঁলের নেতারা। দুধ কলা খাওয়া শেষ ফল ভোগ করতে হবে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ভিডিওটি ৩৮ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ১৪৭টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৪৮টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ৩৪১।
Khan M. Sohan, Md Mustakin ও S M Nasir Uddin নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিতে দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি গত ৯ জানুয়ারি প্রকাশিত। প্রতিবেদনের ছবিটির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ছবির মঞ্চের অবস্থান, সাদা টুপি-পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তি, ভাঙচুরের সাদৃশ্য রয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের থানা ঘাট এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে হযরত শাহ্সুফী সৈয়দ কালু শাহ (রা.)-এর মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠানে একদল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হামলা ও ভাঙচুর করে। সেই ঘটনার দৃশ্য এটি।
জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকা, দ্য ডেইলি স্টার, দৈনিক ইত্তেফাকসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে একই তথ্য ও ছবিতে সেই সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
এই ঘটনা নিয়ে ময়মনসিংহ সদরের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খানের সঙ্গে সেই সময়ে আজকের পত্রিকার কথা হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘বড় মসজিদ জামিয়া ফয়জুর রহমান (রহ.) মাদ্রাসার ছাত্ররা কাওয়ালির মঞ্চে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুর করা হলেও কেউ আহত হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ ছাড়া সম্প্রতি গোলাম আযমকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপির মঞ্চ ভেঙে ফেলা হয়েছে- এমন দাবির বিষয়ে গুগলে সার্চ করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, গোলাম আযমকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপির মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ৮ জানুয়ারি রাতে ময়মনসিংহ সদরে হযরত শাহ্সুফী সৈয়দ কালু শাহ (রা.)-এর মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হামলা ও ভাঙচুরের ভিডিও এটি।
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির গোলাম আযমকে নিয়ে কটূক্তি করায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিএনপির মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে— এমন দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। একই ক্যাপশনে ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে ছড়ানো হয়েছে।
ভিডিওতে রাতের বেলা সাদা পাঞ্জাবি-টুপি পরা বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিকে একটি প্যান্ডেল-মঞ্চের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তাদের মঞ্চে উঠে মেঝেতে আঘাত করতে এবং চেয়ার ভাঙচুর করতে দেখা যায়।
‘Aynul Haq’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত সোমবার (১২ মে) রাত ১১টা ০৪ মিনিটে পোস্ট করা ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। এর ক্যাপশনে লেখা, ‘গোলাম আযমকে নিয়ে কটুক্তি করাতে বিএনপির মঞ্চ ভেংগে দিয়েছে জামাত শিবির। পালিয়ে প্রাণ বাচাঁলের নেতারা। দুধ কলা খাওয়া শেষ ফল ভোগ করতে হবে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ভিডিওটি ৩৮ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং ১৪৭টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এতে ৪৮টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ৩৪১।
Khan M. Sohan, Md Mustakin ও S M Nasir Uddin নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিতে দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি গত ৯ জানুয়ারি প্রকাশিত। প্রতিবেদনের ছবিটির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ছবির মঞ্চের অবস্থান, সাদা টুপি-পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তি, ভাঙচুরের সাদৃশ্য রয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের থানা ঘাট এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে হযরত শাহ্সুফী সৈয়দ কালু শাহ (রা.)-এর মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠানে একদল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হামলা ও ভাঙচুর করে। সেই ঘটনার দৃশ্য এটি।
জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকা, দ্য ডেইলি স্টার, দৈনিক ইত্তেফাকসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে একই তথ্য ও ছবিতে সেই সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
এই ঘটনা নিয়ে ময়মনসিংহ সদরের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খানের সঙ্গে সেই সময়ে আজকের পত্রিকার কথা হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘বড় মসজিদ জামিয়া ফয়জুর রহমান (রহ.) মাদ্রাসার ছাত্ররা কাওয়ালির মঞ্চে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুর করা হলেও কেউ আহত হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ ছাড়া সম্প্রতি গোলাম আযমকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপির মঞ্চ ভেঙে ফেলা হয়েছে- এমন দাবির বিষয়ে গুগলে সার্চ করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, গোলাম আযমকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপির মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ৮ জানুয়ারি রাতে ময়মনসিংহ সদরে হযরত শাহ্সুফী সৈয়দ কালু শাহ (রা.)-এর মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হামলা ও ভাঙচুরের ভিডিও এটি।
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আ
১৩ আগস্ট ২০২৫গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫