ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
একটি শিশুর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে চিকিৎসার জন্য অর্থ সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ, আইডি ও গ্রুপ থেকে বিকাশ বা নগদ নম্বরসহ পোস্ট দেওয়া হচ্ছে।
গত মার্চে তাহমিনা আক্তার ঐশী নামের একটি আইডি থেকে বেশ কিছু গ্রুপে ছবি ও সাহায্যের আবেদন পোস্ট করতে দেখা যায়। এরপর বিভিন্ন আইডিতে পোস্টটি শেয়ার করেন নেটাগরিকেরা। সম্প্রতি আরও বেশ কিছু আইডি থেকে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করায় এটি ভাইরাল হয়েছে।
ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘হাত জোড় করে বলছি কেউ এড়িয়ে যাবেন না, সাহায্য করতে না পারলেও দয়া করে পোস্টটি শেয়ার করুন যাতে কোনো দানশীল ব্যক্তির নজরে আসে।’
পোস্টে দাবি করা হয়, মো. আরাফাত নামে পাঁচ মাস বয়সী শিশুটি মলদ্বারে টিউমার নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। টিউমারটি ক্রমেই বড় হচ্ছে। শিশুটির চিকিৎসার জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন।
শিশুটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার উত্তর রূপসী তারাব পৌরসভা এলাকার মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেনের একমাত্র সন্তান বলে পোস্টে দাবি করা হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ টাকার ব্যবস্থা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই পোস্টে।
টাকা পাঠানোর জন্য পোস্টগুলোতে একটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। বিকাশ (পার্সোনাল) ও নগদ নম্বর হিসেবে ০১৬২৮৬০০৪২৯ নম্বরটি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি গোলাম রাব্বানী নামের আরেকটি আইডি থেকে একই ছবি ও তথ্যসহ ছবিটি পোস্ট করে অর্থ সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। তবে সেখানে টাকা পাঠানোর নম্বরটি আলাদা- ০১৯৬৮৬০১৭৮২।
এছাড়া একই ছবি পোস্ট করে ০১৩০৬৩১৩১৬৪ নম্বর দিয়ে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে।
ফ্যাক্টচেক
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দেখা গেল, ছবিটি বাংলাদেশের কোনো শিশুর নয়। গত ৩ মার্চ ছবির এই শিশুর জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে ‘হেল্প ফান্ড বেবি হোপ সার্জারি’ নামে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট পেজ খোলা হয়েছিল। ওই পেজে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটির চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫১২ ডলার জোগাড় হয়েছিল। প্রায় ১৫ হাজার ৭০০টি আইডি থেকে অর্থ সাহায্য পাঠানো হয়। সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় ৫ লাখ ৪ হাজার ৬৭২ ডলার ওঠার আগেই ইভেন্টটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
‘নো বেবি ব্লিস্টারস’ নামের আরেকটি ফান্ড রেইজিং ওয়েবসাইটে এই শিশুর জন্য সাহায্য তুলতে দেখা যায়। ওই ওয়েবসাইটেও শিশুটিকে ‘বেবি হোপ’ অভিহিত করে লেখা হয়, জন্মগতভাবেই সে এক ধরনের বিরল টিউমারে (sacrococcygeal teratoma) আক্রান্ত।
বেবি হোপের বিস্তারিত ব্যক্তিগত তথ্য না পাওয়া গেলেও ওই ওয়েবসাইটের ঠিকানা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে শিশুটি যে বাংলাদেশের নয়, সেটি নিশ্চিত।
পোস্টগুলোতে দেওয়া নম্বরগুলোতে ফোন করা হলে ০১৩০৬৩১৩১৬৪ নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। অন্য নম্বর দুটিতে নম্বর সক্রিয় থাকলেও কেউ সাড়া দেননি।
সম্প্রতি ফেসবুকে মানবিক পোস্টের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য জোগাড়ের বেশ কিছু প্রতারণামূলক ঘটনা আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এরকম কিছু প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন- নোয়াখালীতে এ ধরনের কোনো রোগীর খোঁজ মেলেনি, মেসির পায়ে জখম, চিকিৎসায় টাকা পাঠাতে চান?
সিদ্ধান্ত
অর্থ সাহায্য চেয়ে যে শিশুটির ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি বাংলাদেশের নয়। মানবিক আবেদনের আড়ালে প্রতারণামূলক উদ্দেশ্য নিয়েই একটি গোষ্ঠী ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।
একটি শিশুর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে চিকিৎসার জন্য অর্থ সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ, আইডি ও গ্রুপ থেকে বিকাশ বা নগদ নম্বরসহ পোস্ট দেওয়া হচ্ছে।
গত মার্চে তাহমিনা আক্তার ঐশী নামের একটি আইডি থেকে বেশ কিছু গ্রুপে ছবি ও সাহায্যের আবেদন পোস্ট করতে দেখা যায়। এরপর বিভিন্ন আইডিতে পোস্টটি শেয়ার করেন নেটাগরিকেরা। সম্প্রতি আরও বেশ কিছু আইডি থেকে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করায় এটি ভাইরাল হয়েছে।
ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘হাত জোড় করে বলছি কেউ এড়িয়ে যাবেন না, সাহায্য করতে না পারলেও দয়া করে পোস্টটি শেয়ার করুন যাতে কোনো দানশীল ব্যক্তির নজরে আসে।’
পোস্টে দাবি করা হয়, মো. আরাফাত নামে পাঁচ মাস বয়সী শিশুটি মলদ্বারে টিউমার নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। টিউমারটি ক্রমেই বড় হচ্ছে। শিশুটির চিকিৎসার জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন।
শিশুটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার উত্তর রূপসী তারাব পৌরসভা এলাকার মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেনের একমাত্র সন্তান বলে পোস্টে দাবি করা হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ টাকার ব্যবস্থা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই পোস্টে।
টাকা পাঠানোর জন্য পোস্টগুলোতে একটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। বিকাশ (পার্সোনাল) ও নগদ নম্বর হিসেবে ০১৬২৮৬০০৪২৯ নম্বরটি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি গোলাম রাব্বানী নামের আরেকটি আইডি থেকে একই ছবি ও তথ্যসহ ছবিটি পোস্ট করে অর্থ সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। তবে সেখানে টাকা পাঠানোর নম্বরটি আলাদা- ০১৯৬৮৬০১৭৮২।
এছাড়া একই ছবি পোস্ট করে ০১৩০৬৩১৩১৬৪ নম্বর দিয়ে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে।
ফ্যাক্টচেক
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দেখা গেল, ছবিটি বাংলাদেশের কোনো শিশুর নয়। গত ৩ মার্চ ছবির এই শিশুর জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে ‘হেল্প ফান্ড বেবি হোপ সার্জারি’ নামে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট পেজ খোলা হয়েছিল। ওই পেজে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটির চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫১২ ডলার জোগাড় হয়েছিল। প্রায় ১৫ হাজার ৭০০টি আইডি থেকে অর্থ সাহায্য পাঠানো হয়। সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় ৫ লাখ ৪ হাজার ৬৭২ ডলার ওঠার আগেই ইভেন্টটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
‘নো বেবি ব্লিস্টারস’ নামের আরেকটি ফান্ড রেইজিং ওয়েবসাইটে এই শিশুর জন্য সাহায্য তুলতে দেখা যায়। ওই ওয়েবসাইটেও শিশুটিকে ‘বেবি হোপ’ অভিহিত করে লেখা হয়, জন্মগতভাবেই সে এক ধরনের বিরল টিউমারে (sacrococcygeal teratoma) আক্রান্ত।
বেবি হোপের বিস্তারিত ব্যক্তিগত তথ্য না পাওয়া গেলেও ওই ওয়েবসাইটের ঠিকানা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে শিশুটি যে বাংলাদেশের নয়, সেটি নিশ্চিত।
পোস্টগুলোতে দেওয়া নম্বরগুলোতে ফোন করা হলে ০১৩০৬৩১৩১৬৪ নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। অন্য নম্বর দুটিতে নম্বর সক্রিয় থাকলেও কেউ সাড়া দেননি।
সম্প্রতি ফেসবুকে মানবিক পোস্টের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য জোগাড়ের বেশ কিছু প্রতারণামূলক ঘটনা আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এরকম কিছু প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন- নোয়াখালীতে এ ধরনের কোনো রোগীর খোঁজ মেলেনি, মেসির পায়ে জখম, চিকিৎসায় টাকা পাঠাতে চান?
সিদ্ধান্ত
অর্থ সাহায্য চেয়ে যে শিশুটির ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি বাংলাদেশের নয়। মানবিক আবেদনের আড়ালে প্রতারণামূলক উদ্দেশ্য নিয়েই একটি গোষ্ঠী ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
৪ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৪ দিন আগে