সাহস মোস্তাফিজ
গুলশান, বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় আজকাল দেখা যায় ‘ভিক্ষুক মুক্ত এলাকা’ লেখা সাইনবোর্ড। ভিক্ষাবৃত্তি এ শহরে অনেকেরই পেশা, সেটি বোধ করি কারও অজানা নয়। এই পেশাজীবী ভিক্ষুকদের জন্য সত্যিকারের অনাহারী ও অসহায় মানুষেরাই বরং অনেক সময় সাহায্য থেকে বঞ্চিত হন।
আজকাল রাস্তাঘাট ও বাসা-বাড়ি ছাপিয়ে ডিজিটাল ভিক্ষাবৃত্তির এক মহোৎসব দেখা যায় ফেসবুকে। আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে নানা সময়ে বেরিয়ে এসেছে, এসব সাহায্য প্রার্থনার আড়ালে চলছে রমরমা বাণিজ্য।
বীভৎস ছবি ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তির মানবিক বর্ণনা দিয়ে সাহায্য প্রার্থনার এই পোস্টগুলোতে জুড়ে দেওয়া হয় মোবাইল নম্বর। টাকা পাঠানোর জন্য উল্লেখ করা সেসব মোবাইল কখনোই খোলা পাওয়া যায় না; খোলা থাকলেও কল ধরা হয় না।
অন্যদিকে ছবিগুলো রিভার্স ইমেজ সার্চ প্রযুক্তিতে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ছবির চরিত্রটি হয়তো আগেই সুস্থ হয়ে গেছেন, নয়তো তিনি বাংলাদেশেরই নন।
অনুসন্ধানে মিলল সবুজ নামের এক শিশুর সন্ধান। এই নামে আদৌ কোনো অসুস্থ শিশু আছে কি-না, সেটি জানা না গেলেও ফেসবুকে দেখা মিলল একই নামের অন্তত পাঁচ শিশুর আলাদা-আলাদা ছবি। ফেসবুকে প্রচারিত সবুজের ছবি ভিন্ন ভিন্ন হলেও সবার বাবার নাম ও পেশা এক। অসুস্থতার বর্ণনাও হুবহু এক। পার্থক্য শুধু টাকা পাঠানোর জন্য দেওয়া নম্বরগুলোতে।
প্রতিটি পোস্টে সবুজ নামের পাঁচ মাস বয়সী ওই শিশুর বাবার নাম লেখা হচ্ছে আইয়ুব আলী। পোস্টগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, আইয়ুব আলীর বাড়ি গাজীপুর সদরের নলজানি গ্রামে। তিনি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কাচারিবাজার গ্রামে। গত প্রায় চার মাস থেকে শিশুটির পায়ের ভেতরে টিউমার বড় হতে থাকে। এত দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও টিউমারের বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
যাচাই করে দেখা যায়, পোস্টগুলোর সঙ্গে ব্যবহার করা ছবিগুলো সবুজ নামের কোনো শিশুর নয়। এগুলো ভারতের কেটো নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। কেটো নামের এই ওয়েবসাইট অসুস্থ রোগীর তথ্য ও ছবি দিয়ে অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করে। সেখানে ওই রোগীর চিকিৎসা-সংক্রান্ত সকল তথ্যও জুড়ে দেওয়া হয়। রোগী সুস্থ হয়ে গেলে সেটিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
পোস্টে উল্লেখ থাকা ফোন নম্বরগুলোতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রতিটি নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মূলত এই নম্বরগুলো বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে অধিকাংশ সময় এগুলো বন্ধ থাকে। সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই তাদের এই কৌশলের জালে ধরা পড়েন, সাহায্য পাঠান ওই সব নম্বরে।
এর আগেও আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে এমন একাধিক প্রতারণামূলক পোস্টের প্রমাণ উঠে এসেছে। এ রকম কিছু প্রতিবেদন পড়ুন:
সম্প্রতি ভিন্ন ঘটনা থেকে ছবি সংগ্রহ করে সেটি ব্যবহার করে মিথ্যে গল্প লিখে ফেসবুকে সাহায্য চাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ফলে ফেসবুকে অসহায় কোনো ব্যক্তির ছবি দেখে সেখানে উল্লেখ করা ফোন নম্বরে টাকা পাঠানোর আগে সেটি যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন ফ্যাক্টচেক:
গুলশান, বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় আজকাল দেখা যায় ‘ভিক্ষুক মুক্ত এলাকা’ লেখা সাইনবোর্ড। ভিক্ষাবৃত্তি এ শহরে অনেকেরই পেশা, সেটি বোধ করি কারও অজানা নয়। এই পেশাজীবী ভিক্ষুকদের জন্য সত্যিকারের অনাহারী ও অসহায় মানুষেরাই বরং অনেক সময় সাহায্য থেকে বঞ্চিত হন।
আজকাল রাস্তাঘাট ও বাসা-বাড়ি ছাপিয়ে ডিজিটাল ভিক্ষাবৃত্তির এক মহোৎসব দেখা যায় ফেসবুকে। আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে নানা সময়ে বেরিয়ে এসেছে, এসব সাহায্য প্রার্থনার আড়ালে চলছে রমরমা বাণিজ্য।
বীভৎস ছবি ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তির মানবিক বর্ণনা দিয়ে সাহায্য প্রার্থনার এই পোস্টগুলোতে জুড়ে দেওয়া হয় মোবাইল নম্বর। টাকা পাঠানোর জন্য উল্লেখ করা সেসব মোবাইল কখনোই খোলা পাওয়া যায় না; খোলা থাকলেও কল ধরা হয় না।
অন্যদিকে ছবিগুলো রিভার্স ইমেজ সার্চ প্রযুক্তিতে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ছবির চরিত্রটি হয়তো আগেই সুস্থ হয়ে গেছেন, নয়তো তিনি বাংলাদেশেরই নন।
অনুসন্ধানে মিলল সবুজ নামের এক শিশুর সন্ধান। এই নামে আদৌ কোনো অসুস্থ শিশু আছে কি-না, সেটি জানা না গেলেও ফেসবুকে দেখা মিলল একই নামের অন্তত পাঁচ শিশুর আলাদা-আলাদা ছবি। ফেসবুকে প্রচারিত সবুজের ছবি ভিন্ন ভিন্ন হলেও সবার বাবার নাম ও পেশা এক। অসুস্থতার বর্ণনাও হুবহু এক। পার্থক্য শুধু টাকা পাঠানোর জন্য দেওয়া নম্বরগুলোতে।
প্রতিটি পোস্টে সবুজ নামের পাঁচ মাস বয়সী ওই শিশুর বাবার নাম লেখা হচ্ছে আইয়ুব আলী। পোস্টগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, আইয়ুব আলীর বাড়ি গাজীপুর সদরের নলজানি গ্রামে। তিনি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কাচারিবাজার গ্রামে। গত প্রায় চার মাস থেকে শিশুটির পায়ের ভেতরে টিউমার বড় হতে থাকে। এত দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও টিউমারের বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
যাচাই করে দেখা যায়, পোস্টগুলোর সঙ্গে ব্যবহার করা ছবিগুলো সবুজ নামের কোনো শিশুর নয়। এগুলো ভারতের কেটো নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। কেটো নামের এই ওয়েবসাইট অসুস্থ রোগীর তথ্য ও ছবি দিয়ে অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করে। সেখানে ওই রোগীর চিকিৎসা-সংক্রান্ত সকল তথ্যও জুড়ে দেওয়া হয়। রোগী সুস্থ হয়ে গেলে সেটিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
পোস্টে উল্লেখ থাকা ফোন নম্বরগুলোতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রতিটি নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মূলত এই নম্বরগুলো বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে অধিকাংশ সময় এগুলো বন্ধ থাকে। সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই তাদের এই কৌশলের জালে ধরা পড়েন, সাহায্য পাঠান ওই সব নম্বরে।
এর আগেও আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে এমন একাধিক প্রতারণামূলক পোস্টের প্রমাণ উঠে এসেছে। এ রকম কিছু প্রতিবেদন পড়ুন:
সম্প্রতি ভিন্ন ঘটনা থেকে ছবি সংগ্রহ করে সেটি ব্যবহার করে মিথ্যে গল্প লিখে ফেসবুকে সাহায্য চাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ফলে ফেসবুকে অসহায় কোনো ব্যক্তির ছবি দেখে সেখানে উল্লেখ করা ফোন নম্বরে টাকা পাঠানোর আগে সেটি যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন ফ্যাক্টচেক:
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
১৭ ঘণ্টা আগেকাছ থেকে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় বলে ধারণা প্রচলিত আছে। এই কারণে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে টেলিভিশনের খুব কাছাকাছি বসে দেখতে দেন না। কিন্তু এই ধারণার কি বাস্তব ভিত্তি আছে? এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ
২ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাকির টাকা চাওয়ায় চায়ের দোকানিকে ছাত্রদল নেতা ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগেআওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর সম্প্রতি দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে প্রথমবার দেখা গেছে—এমন দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে একটি হাসপাতাল সদৃশ ভবনের সামনে ওবায়দুল কাদেরকে মুখ ঢাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
৩ দিন আগে