ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি বলেছেন, ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবে মুসলমানেরা। ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তিকে মাইকে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দিতে শোনা যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ভারতের চলমান নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের দিনাজপুর থেকে ধারণ করা। ভিডিওতে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। দিনাজপুরে তাঁর দিনাজপুর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওটির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী পণ্ডিত স্বামী নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। ওই মানববন্ধনের একটি ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ওই সময় পোস্ট করেছিলেন তিনি। মানববন্ধনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করায় নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ এবং কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘মুবাহিলা’ বলতে কোনো ব্যক্তিকে তাঁর দাবি প্রমাণের আহ্বান জানানো হয়; তিনি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষিত হবে এমন দোয়া বা প্রার্থনা করা হয়।
মানববন্ধনে ওই মাওলানা ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজ দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং করোনা থেকে মুক্ত পেতে চাইলে ভারত সরকারকে অনতিবিলম্বে নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওয়ের কোথাও তিনি কংগ্রেস বা ভারতের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর এই বক্তব্য থেকেই খণ্ডিত অংশ কেটে নিয়ে ‘ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবেন মুসলমানেরা।’ এমন গল্প জুড়ে দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।
এ নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের দুটি ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলি ও দ্য কুইন্ট।
নরসিংহানন্দ সরস্বতী কে?
বিবিসিতে ২০২২ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নরসিংহানন্দ সরস্বতীর পুরো নাম জাতি নরসিংহানন্দ স্বরস্বতী। ওই সময় তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রভাবশালী দাসনা দেবী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন।
তিনি দেশটির উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার শহরে ডানপন্থী হিন্দু নেতাদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁদের একজন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় মুসলমানদের ‘দানব’ এবং তাঁদের ‘নির্মূল’ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ‘ইসলাম মুক্ত’ ভারত প্রতিষ্ঠারও স্বপ্ন দেখেন।
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে তাঁর বেশ সখ্য রয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি বলেছেন, ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবে মুসলমানেরা। ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তিকে মাইকে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দিতে শোনা যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ভারতের চলমান নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের দিনাজপুর থেকে ধারণ করা। ভিডিওতে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। দিনাজপুরে তাঁর দিনাজপুর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওটির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী পণ্ডিত স্বামী নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। ওই মানববন্ধনের একটি ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ওই সময় পোস্ট করেছিলেন তিনি। মানববন্ধনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করায় নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ এবং কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘মুবাহিলা’ বলতে কোনো ব্যক্তিকে তাঁর দাবি প্রমাণের আহ্বান জানানো হয়; তিনি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষিত হবে এমন দোয়া বা প্রার্থনা করা হয়।
মানববন্ধনে ওই মাওলানা ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজ দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং করোনা থেকে মুক্ত পেতে চাইলে ভারত সরকারকে অনতিবিলম্বে নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওয়ের কোথাও তিনি কংগ্রেস বা ভারতের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর এই বক্তব্য থেকেই খণ্ডিত অংশ কেটে নিয়ে ‘ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবেন মুসলমানেরা।’ এমন গল্প জুড়ে দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।
এ নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের দুটি ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলি ও দ্য কুইন্ট।
নরসিংহানন্দ সরস্বতী কে?
বিবিসিতে ২০২২ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নরসিংহানন্দ সরস্বতীর পুরো নাম জাতি নরসিংহানন্দ স্বরস্বতী। ওই সময় তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রভাবশালী দাসনা দেবী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন।
তিনি দেশটির উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার শহরে ডানপন্থী হিন্দু নেতাদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁদের একজন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় মুসলমানদের ‘দানব’ এবং তাঁদের ‘নির্মূল’ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ‘ইসলাম মুক্ত’ ভারত প্রতিষ্ঠারও স্বপ্ন দেখেন।
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে তাঁর বেশ সখ্য রয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি বলেছেন, ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবে মুসলমানেরা। ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তিকে মাইকে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দিতে শোনা যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ভারতের চলমান নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের দিনাজপুর থেকে ধারণ করা। ভিডিওতে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। দিনাজপুরে তাঁর দিনাজপুর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওটির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী পণ্ডিত স্বামী নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। ওই মানববন্ধনের একটি ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ওই সময় পোস্ট করেছিলেন তিনি। মানববন্ধনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করায় নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ এবং কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘মুবাহিলা’ বলতে কোনো ব্যক্তিকে তাঁর দাবি প্রমাণের আহ্বান জানানো হয়; তিনি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষিত হবে এমন দোয়া বা প্রার্থনা করা হয়।
মানববন্ধনে ওই মাওলানা ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজ দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং করোনা থেকে মুক্ত পেতে চাইলে ভারত সরকারকে অনতিবিলম্বে নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওয়ের কোথাও তিনি কংগ্রেস বা ভারতের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর এই বক্তব্য থেকেই খণ্ডিত অংশ কেটে নিয়ে ‘ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবেন মুসলমানেরা।’ এমন গল্প জুড়ে দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।
এ নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের দুটি ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলি ও দ্য কুইন্ট।
নরসিংহানন্দ সরস্বতী কে?
বিবিসিতে ২০২২ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নরসিংহানন্দ সরস্বতীর পুরো নাম জাতি নরসিংহানন্দ স্বরস্বতী। ওই সময় তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রভাবশালী দাসনা দেবী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন।
তিনি দেশটির উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার শহরে ডানপন্থী হিন্দু নেতাদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁদের একজন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় মুসলমানদের ‘দানব’ এবং তাঁদের ‘নির্মূল’ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ‘ইসলাম মুক্ত’ ভারত প্রতিষ্ঠারও স্বপ্ন দেখেন।
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে তাঁর বেশ সখ্য রয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি বলেছেন, ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবে মুসলমানেরা। ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তিকে মাইকে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দিতে শোনা যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ভারতের চলমান নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের দিনাজপুর থেকে ধারণ করা। ভিডিওতে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। দিনাজপুরে তাঁর দিনাজপুর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওটির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী পণ্ডিত স্বামী নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। ওই মানববন্ধনের একটি ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ওই সময় পোস্ট করেছিলেন তিনি। মানববন্ধনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করায় নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ এবং কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘মুবাহিলা’ বলতে কোনো ব্যক্তিকে তাঁর দাবি প্রমাণের আহ্বান জানানো হয়; তিনি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষিত হবে এমন দোয়া বা প্রার্থনা করা হয়।
মানববন্ধনে ওই মাওলানা ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজ দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং করোনা থেকে মুক্ত পেতে চাইলে ভারত সরকারকে অনতিবিলম্বে নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওয়ের কোথাও তিনি কংগ্রেস বা ভারতের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর এই বক্তব্য থেকেই খণ্ডিত অংশ কেটে নিয়ে ‘ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবেন মুসলমানেরা।’ এমন গল্প জুড়ে দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।
এ নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের দুটি ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলি ও দ্য কুইন্ট।
নরসিংহানন্দ সরস্বতী কে?
বিবিসিতে ২০২২ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নরসিংহানন্দ সরস্বতীর পুরো নাম জাতি নরসিংহানন্দ স্বরস্বতী। ওই সময় তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রভাবশালী দাসনা দেবী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন।
তিনি দেশটির উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার শহরে ডানপন্থী হিন্দু নেতাদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁদের একজন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় মুসলমানদের ‘দানব’ এবং তাঁদের ‘নির্মূল’ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ‘ইসলাম মুক্ত’ ভারত প্রতিষ্ঠারও স্বপ্ন দেখেন।
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে তাঁর বেশ সখ্য রয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৬ ঘণ্টা আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে
০৪ মে ২০২৪
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে
০৪ মে ২০২৪
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৬ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বাসস

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল বুধবার সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে নানা পোস্ট ছড়ানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল এ দিনের সহিংস ঘটনার মনগড়া বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি সংগঠিত প্রোপাগান্ডা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী আ. লীগপন্থীরা পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন, যা এদিনের সহিংসতার দৃশ্য বলে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ কয়েকজন ব্যক্তি ছবি পোস্ট করে দাবি করেন, ‘ইউনূস গ্যাং’ এবং বিরোধীদলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হিংসাত্মকভাবে আক্রমণ করছে।
একটি ছবিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন এক আহত কিশোরকে বহন করছে, পেছনে আগুন জ্বলছে এবং উত্তেজিত জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ছবিটি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে-এই ছবিটি ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের একটি ভিন্ন ঘটনার।
আরেকটি বহুল প্রচারিত পোস্টে দেখা যায়, জাকির হোসেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পোস্টে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পোস্টে তাঁরা উল্লেখ করেন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং এনসিপি নেতা-কর্মীদের উসকানিতে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘বাস্তবতা হলো, ছবিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমাবেশের সময়ের, যেখানে ডিবি কর্মকর্তা কনককে জনতার দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।’
জাকির হোসেন আরেকটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তিনিও দাবি করেন, এটি গোপালগঞ্জের আজকের সংঘর্ষের ফলাফল। তবে প্রেস উইং বলেছে, ‘তবে এই ছবিটিও ভিন্ন ঘটনার। ছবিটি ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এক সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনার সময় তোলা হয়েছিল।’
একই ভুয়া প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি শিশুর ছবি ছড়ানো হয়—যেখানে তাকে লাঠি হাতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, ছবিটি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে তোলা এবং ওই শিশু নাকি সহিংসতায় অংশ নেয়। ছবিটি এই মিথ্যা বার্তা ছড়াতে ব্যবহার করা হয় যে, রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের পর্যন্ত জড়ানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ছবির একটি ডিজিটালি সম্পাদিত (সম্ভবত এআই-নির্মিত) সংস্করণ শেয়ার করেন নিঝুম মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একজন অনলাইন প্রোপাগান্ডিস্ট হিসেবে পরিচিত বলে প্রেস উইং দাবি করেছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে, শিশুর এই ছবিটি গোপালগঞ্জে তোলা হয়নি, বরং গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। মূল ভিডিওটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিল।’
এসব বিভ্রান্তিকর ছবির পাশাপাশি, আওয়ামী লীগপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এসব মিথ্যা প্রচারণা জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়। প্রেস উইংয়ের মতে এসব ভুয়া প্রচারণা ও যাচাইকৃত সূত্রভিত্তিক তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
আজকের সহিংসতা শুরু হয় যখন গোপালগঞ্জ শহরে নির্ধারিত সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা আক্রমণ করে। এই আক্রমণ দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) একটি গাড়িও আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ১৬ জুলাই রাত ৮টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘মাঠের বাস্তব ঘটনার বিপরীতে, আওয়ামী লীগপন্থী সামাজিক মাধ্যম চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর, প্রাসঙ্গিকতা-বর্জিত ও মনগড়া ছবি ছড়িয়ে টাইমলাইন ভরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।’

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে
০৪ মে ২০২৪
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৬ ঘণ্টা আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।

রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে
০৪ মে ২০২৪
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৬ ঘণ্টা আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫