ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ ঘটনার ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘শিমুল (SHIMUL)’ নামের হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ‘ঢাকা কলেজের ছাত্ররা সেনাবাহিনীর ওপরে ভয়ংকর বোমা হামলা করেছে। বোমার আঘাতে কলেজের গেট খুলে পড়ে যায় এবং একজন সেনা সদস্য ১০ ফিট দূরে ছিটকে পড়ে।’
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে ভিডিওটি এক্সে পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে। ভিডিওটি ফেসবুকেও একই দাবিতে ছড়িয়েছে।
কী ঘটেছিল ওই সময়?
আসলেই কি ঢাকা কলেজে সেদিন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল? যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক হাসান সিকদার। ঘটনাস্থলের একটি দীর্ঘ ভিডিও হাসান সিকদার গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। ভিডিওটির শুরুতে দেখা যায়, পুলিশ ও সেনাসদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় ফটকের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তাঁরা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটাও করেন। একপর্যায়ে তাঁরা দ্বিতীয় ফটকের কাছে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা ফটকটি টেনে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক সে সময়ই ফটকটি খুলে সড়কের ওপর পড়ে যায় এবং সেখানে থাকা এক সেনা সদস্যও সড়কে পড়ে যান।
ভিডিওটিতে কোনো বোমা বিস্ফোরিত হতে দেখা যায়নি এবং বিস্ফোরণের কোনো আওয়াজও পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি সম্পর্কে হাসান সিকদার বলেন, ‘সেখানে কোনো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। সেনাবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা যখন পিছু হটে, তখন তারা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে দৌড় দেয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে গেটটি খুলে সড়কের ওপর পড়ে যায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে ওই সেনাসদস্যও দ্রুপ পেছনে সরে আসতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যান।’
একই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এসএ টিভির ডিজিটাল বিভাগের সাংবাদিক রহমাতুল্লাহ। সেদিনের ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘ওখানে কোনো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। মূলত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা যখন ঢাকা কলেজের ভেতরে নিয়ে যান, তখন শিক্ষার্থীরা গেটটি লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গেটটি রাস্তার ওপর পড়ে যায়। ওই সময় সেখানে থাকা সেনা সদস্যটি আত্মরক্ষার্থে পেছনের দিকে সরে যেতে গিয়ে নিজেও পড়ে যান।’
সুতরাং ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এটি স্পষ্ট, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীর ওপর বোমা হামলার দাবিটি সত্য নয়, গুজব।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ ঘটনার ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘শিমুল (SHIMUL)’ নামের হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ‘ঢাকা কলেজের ছাত্ররা সেনাবাহিনীর ওপরে ভয়ংকর বোমা হামলা করেছে। বোমার আঘাতে কলেজের গেট খুলে পড়ে যায় এবং একজন সেনা সদস্য ১০ ফিট দূরে ছিটকে পড়ে।’
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে ভিডিওটি এক্সে পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে। ভিডিওটি ফেসবুকেও একই দাবিতে ছড়িয়েছে।
কী ঘটেছিল ওই সময়?
আসলেই কি ঢাকা কলেজে সেদিন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল? যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক হাসান সিকদার। ঘটনাস্থলের একটি দীর্ঘ ভিডিও হাসান সিকদার গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। ভিডিওটির শুরুতে দেখা যায়, পুলিশ ও সেনাসদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় ফটকের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তাঁরা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটাও করেন। একপর্যায়ে তাঁরা দ্বিতীয় ফটকের কাছে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা ফটকটি টেনে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক সে সময়ই ফটকটি খুলে সড়কের ওপর পড়ে যায় এবং সেখানে থাকা এক সেনা সদস্যও সড়কে পড়ে যান।
ভিডিওটিতে কোনো বোমা বিস্ফোরিত হতে দেখা যায়নি এবং বিস্ফোরণের কোনো আওয়াজও পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি সম্পর্কে হাসান সিকদার বলেন, ‘সেখানে কোনো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। সেনাবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা যখন পিছু হটে, তখন তারা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে দৌড় দেয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে গেটটি খুলে সড়কের ওপর পড়ে যায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে ওই সেনাসদস্যও দ্রুপ পেছনে সরে আসতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যান।’
একই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এসএ টিভির ডিজিটাল বিভাগের সাংবাদিক রহমাতুল্লাহ। সেদিনের ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘ওখানে কোনো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। মূলত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা যখন ঢাকা কলেজের ভেতরে নিয়ে যান, তখন শিক্ষার্থীরা গেটটি লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গেটটি রাস্তার ওপর পড়ে যায়। ওই সময় সেখানে থাকা সেনা সদস্যটি আত্মরক্ষার্থে পেছনের দিকে সরে যেতে গিয়ে নিজেও পড়ে যান।’
সুতরাং ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এটি স্পষ্ট, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীর ওপর বোমা হামলার দাবিটি সত্য নয়, গুজব।
দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১ দিন আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
২ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
৩ দিন আগেকাছ থেকে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় বলে ধারণা প্রচলিত আছে। এই কারণে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে টেলিভিশনের খুব কাছাকাছি বসে দেখতে দেন না। কিন্তু এই ধারণার কি বাস্তব ভিত্তি আছে? এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ
৪ দিন আগে