ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে কোনো জাহাজ। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশআসত। সেসব পণ্য বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ অবস্থানে পরিবর্তন আসে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনেরপর পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং–এ করে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রামে এসেছে ২৯৭টি কন্টেইনার। এসব কন্টেইনারে কী আছে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব নেটিজেনরা। এসব আলোচনার মধ্যেই ফেসবুকে ছড়িয়েছে, ‘পাকিস্থান থেকে আসা কন্টেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তা ওয়ালিদ হোসেন এবং মোঃ রাসেল কে বদলি করা হয়েছে।’
‘জন সাধারণের কথা’ নামে একটি ফেসবুক পেজে এমন দাবিতে গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একটি ফটোকার্ড পোস্ট দিয়ে লেখা হয়, ‘এমন কি আছে ঐ কন্টেইনারে?’
পোস্টটি আজ সোমবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৫ হাজার শেয়ার হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ২৫ হাজার। ফেসবুকেআরও বিভিন্ন পেজ, অ্যাকাউন্ট ও গ্রুপ থেকে দাবিটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন, সুশান্ত দাশ গুপ্ত নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দাবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘ফ্যাক্টচেকার ভাইয়েরা, ভেরিফাই প্লিজ।’ এই পোস্ট শেয়ার হয়েছে আড়াই শতাধিক, রিয়েকশন পড়েছে ৮ হাজারের বেশি।
‘সুশান্ত দাশ গুপ্ত’ নামের এই ভেরিফায়েড পেজটি থেকে এর আগেও এমন কৌশলে বেশ কিছু গুজব, ভুল তথ্য শেয়ার হতে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দাবিটির পক্ষে কোনো তথ্যসূত্র, কর্মকর্তাদের বদলির আদেশ সংক্রান্ত কোনো নথি বা প্রমাণ উল্লেখ করা হয়নি। প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চে দেশের কোনো সংবাদমাধ্যমেও পাকিস্তান থেকে আসা কন্টেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের বদলির ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানেও চট্টগ্রাম কাস্টমসে ওয়ালিদ হোসেন ও মো. রাসেল নামে কোনো কর্মকর্তার হদিস মেলেনি। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় এই নামে কোনো কর্মকর্তা নেই। একইসঙ্গে কাস্টম হাউসের ওয়েবসাইটেওএমন বদলির কোনো নোটিশ নেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এডিশনাল কমিশনার মোহাম্মদ তফছির উদ্দিন ভূঁঞার সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে আসা কন্টেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের বদলির কোনো ঘটনা ঘটেনি, এটি ফেইক নিউজ।’
তিনি আরও জানান, ভাইরাল হওয়া নামের কোনো রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বা তাঁদের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত নেই।
সুতরাং এটি নিশ্চিত, পাকিস্তান থেকে আসা কন্টেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের বদলির দাবিটি ভিত্তিহীন ও গুজব।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামে জাহাজটি গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। এর আগে জাহাজটি থেকে ৩৭০টি কন্টেইনার বন্দরে খালাস করা হয়। এর মধ্যে দুবাই বন্দর থেকে উঠেছে ৭৩টি কন্টেইনার, আর করাচি বন্দর থেকে এসেছে ২৯৭টি কন্টেইনার।
শিপিং লাইন ও কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কন্টেইনারে আছে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ৬ হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ১১৫ কন্টেইনারে আছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬টি কন্টেইনারে আসা পণ্য ডলোমাইট খনিজ। ৩৫টি কন্টেইনারে আনা হয়েছে চুনাপাথর। আর ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট আনা হয়েছে ছয়টি কন্টেইনারে।
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে কোনো জাহাজ। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশআসত। সেসব পণ্য বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ অবস্থানে পরিবর্তন আসে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনেরপর পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং–এ করে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রামে এসেছে ২৯৭টি কন্টেইনার। এসব কন্টেইনারে কী আছে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব নেটিজেনরা। এসব আলোচনার মধ্যেই ফেসবুকে ছড়িয়েছে, ‘পাকিস্থান থেকে আসা কন্টেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তা ওয়ালিদ হোসেন এবং মোঃ রাসেল কে বদলি করা হয়েছে।’
‘জন সাধারণের কথা’ নামে একটি ফেসবুক পেজে এমন দাবিতে গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একটি ফটোকার্ড পোস্ট দিয়ে লেখা হয়, ‘এমন কি আছে ঐ কন্টেইনারে?’
পোস্টটি আজ সোমবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৫ হাজার শেয়ার হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ২৫ হাজার। ফেসবুকেআরও বিভিন্ন পেজ, অ্যাকাউন্ট ও গ্রুপ থেকে দাবিটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন, সুশান্ত দাশ গুপ্ত নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দাবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘ফ্যাক্টচেকার ভাইয়েরা, ভেরিফাই প্লিজ।’ এই পোস্ট শেয়ার হয়েছে আড়াই শতাধিক, রিয়েকশন পড়েছে ৮ হাজারের বেশি।
‘সুশান্ত দাশ গুপ্ত’ নামের এই ভেরিফায়েড পেজটি থেকে এর আগেও এমন কৌশলে বেশ কিছু গুজব, ভুল তথ্য শেয়ার হতে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দাবিটির পক্ষে কোনো তথ্যসূত্র, কর্মকর্তাদের বদলির আদেশ সংক্রান্ত কোনো নথি বা প্রমাণ উল্লেখ করা হয়নি। প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চে দেশের কোনো সংবাদমাধ্যমেও পাকিস্তান থেকে আসা কন্টেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের বদলির ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানেও চট্টগ্রাম কাস্টমসে ওয়ালিদ হোসেন ও মো. রাসেল নামে কোনো কর্মকর্তার হদিস মেলেনি। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় এই নামে কোনো কর্মকর্তা নেই। একইসঙ্গে কাস্টম হাউসের ওয়েবসাইটেওএমন বদলির কোনো নোটিশ নেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এডিশনাল কমিশনার মোহাম্মদ তফছির উদ্দিন ভূঁঞার সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে আসা কন্টেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের বদলির কোনো ঘটনা ঘটেনি, এটি ফেইক নিউজ।’
তিনি আরও জানান, ভাইরাল হওয়া নামের কোনো রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বা তাঁদের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত নেই।
সুতরাং এটি নিশ্চিত, পাকিস্তান থেকে আসা কন্টেইনার তল্লাশি করতে চাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের বদলির দাবিটি ভিত্তিহীন ও গুজব।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামে জাহাজটি গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। এর আগে জাহাজটি থেকে ৩৭০টি কন্টেইনার বন্দরে খালাস করা হয়। এর মধ্যে দুবাই বন্দর থেকে উঠেছে ৭৩টি কন্টেইনার, আর করাচি বন্দর থেকে এসেছে ২৯৭টি কন্টেইনার।
শিপিং লাইন ও কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কন্টেইনারে আছে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ৬ হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ১১৫ কন্টেইনারে আছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬টি কন্টেইনারে আসা পণ্য ডলোমাইট খনিজ। ৩৫টি কন্টেইনারে আনা হয়েছে চুনাপাথর। আর ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট আনা হয়েছে ছয়টি কন্টেইনারে।
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
২ দিন আগেরাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
৫ দিন আগেবিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১৯ দিন আগেপটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে এক তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের বেলা একজন তরুণীকে তিন থেকে চারজন পুরুষ মিলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই তরুণী...
২০ দিন আগে