মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
দেশে যত চাহিদা, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তার প্রায় দ্বিগুণ। অথচ দুই দিন ধরে কমবেশি দেশের প্রায় সব জায়গায় গড়ে প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। রাজধানীর সব পাড়া-মহল্লাও এখন দিনে কয়েকবার করে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে। জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের মহানগরী অঞ্চলে অন্তত তিন ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।
এ জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে গ্যাসের স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে। খোদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক তাঁদের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংকটের কথা জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা শিগগির এ সংকট কাটবে বললেও বাস্তবে কবে এর সুফল মিলবে তা বোঝা যাচ্ছে না। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্যাস খাতের নির্ভরতা এলএনজির ওপর ছেড়ে দেওয়ায় এ সংকট হচ্ছে। পিডিবি ও পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, আমদানি করা এলএনজির সরবরাহ কমে যাওয়াই লোডশেডিংয়ের মূল কারণ।
পেট্রোবাংলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখ যায়, চলতি বছরের ২৯ জুন জাতীয় গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ ছিল ৮৫৪ দশমিক ২ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। ৩ জুলাই এই সরবরাহ ছিল ৪৯৬.৯ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। ফলে ঘাটতি হয়েছে ৩৫৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। এলএনজির এই ঘাটতির প্রভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ৩ জুলাই সারা দেশে লোডশেডিং করা হয়েছে ১ হাজার ২৭৩ মেগাওয়াট। ওই দিন দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৪ হাজার মেগাওয়াট।
আর উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৮১৮ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত রোববার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‘যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্যান্য দেশের মতো আমাদেরও সমস্যায় ফেলেছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে।’
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি খাতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। গ্যাসস্বল্পতার কারণে দেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
দেশের মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের ৮৩ শতাংশই বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত দুই দিন থেকে বিপিডিবি থেকে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় প্রতিদিন ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বোর্ডের সদস্য মো. আমজাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা আছে ৮ হাজার ১০০ মেগাওয়াট কিন্তু সরবরাহ আছে প্রায় ৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।’ তিনি বলেন, গ্যাসের সরবরাহে সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিঘ্ন হচ্ছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, তাঁদের এলাকায় প্রতিদিন ১২-১৪ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। গত তিন দিন লোডশেডিংয়ের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিদ্যুৎ একবার চলে গেলে ২-৩ ঘণ্টার আগে আসছে না। এ জন্য অনেকেই ব্যবসায় লোকসান গুনছেন।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গাচড়া বাজারের মানিক মিয়া বলেন, ‘আমার সংসার এই কম্পিউটারের দোকানের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। লোডশেডিংয়ের কারণে গত তিন দিনে ১০০ টাকার মতো আয় করতে পেরেছি। আগে দিনে আয় হতো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
পর্যটন শহর কক্সবাজারে দৈনিক গড়ে লোডশেডিং হচ্ছে ৫-৬ ঘণ্টা করে। তবে উপজেলা পর্যায়ের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক আক্তারুজ্জামান লস্কর বলেন, জেলায় চাহিদার ৭৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে ২৭ মেগাওয়াট।
আরও খারাপের আশঙ্কা
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ জুনের সর্বশেষ হালনাগাদ করা তথ্য অনুসারে, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট। মোট বিদ্যুৎকেন্দ্র ১৫২টি। মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৫১ শতাংশ বা ১০ হাজার ৮৭৮ মেগাওয়াট হচ্ছে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান–২০১৬-এর প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকবে ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট।
পেট্রোবাংলার কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন, জুলাই মাস থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। কারণ জুলাই মাসে যে তিনটি এলএনজি কার্গো স্পট মার্কেট থেকে কেনার পরিকল্পনা ছিল, তা বাতিল হয়েছে। এমনকি আগস্ট মাসের কার্গোও বাতিল হতে পারে। পেট্রোবাংলার সূত্র জানায়, অর্থসংকট ও আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া দামের কারণে সরকার স্পট মার্কেট থেকে এখন এলএনজি কিনতে চাচ্ছে না। দেশে বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা আছে ৪ হাজার ১০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। আর সরবরাহ আছে ২ হাজার ৬৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। দেশের ২২টি গ্যাসফিল্ডের ১১৩টি কূপ থেকে ২ হাজার ৩১৫ মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দেশে যত চাহিদা, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তার প্রায় দ্বিগুণ। অথচ দুই দিন ধরে কমবেশি দেশের প্রায় সব জায়গায় গড়ে প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। রাজধানীর সব পাড়া-মহল্লাও এখন দিনে কয়েকবার করে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে। জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের মহানগরী অঞ্চলে অন্তত তিন ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।
এ জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে গ্যাসের স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে। খোদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক তাঁদের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংকটের কথা জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা শিগগির এ সংকট কাটবে বললেও বাস্তবে কবে এর সুফল মিলবে তা বোঝা যাচ্ছে না। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্যাস খাতের নির্ভরতা এলএনজির ওপর ছেড়ে দেওয়ায় এ সংকট হচ্ছে। পিডিবি ও পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, আমদানি করা এলএনজির সরবরাহ কমে যাওয়াই লোডশেডিংয়ের মূল কারণ।
পেট্রোবাংলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখ যায়, চলতি বছরের ২৯ জুন জাতীয় গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ ছিল ৮৫৪ দশমিক ২ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। ৩ জুলাই এই সরবরাহ ছিল ৪৯৬.৯ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। ফলে ঘাটতি হয়েছে ৩৫৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। এলএনজির এই ঘাটতির প্রভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ৩ জুলাই সারা দেশে লোডশেডিং করা হয়েছে ১ হাজার ২৭৩ মেগাওয়াট। ওই দিন দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৪ হাজার মেগাওয়াট।
আর উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৮১৮ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত রোববার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‘যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্যান্য দেশের মতো আমাদেরও সমস্যায় ফেলেছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে।’
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি খাতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। গ্যাসস্বল্পতার কারণে দেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
দেশের মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের ৮৩ শতাংশই বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত দুই দিন থেকে বিপিডিবি থেকে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় প্রতিদিন ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বোর্ডের সদস্য মো. আমজাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা আছে ৮ হাজার ১০০ মেগাওয়াট কিন্তু সরবরাহ আছে প্রায় ৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।’ তিনি বলেন, গ্যাসের সরবরাহে সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিঘ্ন হচ্ছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, তাঁদের এলাকায় প্রতিদিন ১২-১৪ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। গত তিন দিন লোডশেডিংয়ের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিদ্যুৎ একবার চলে গেলে ২-৩ ঘণ্টার আগে আসছে না। এ জন্য অনেকেই ব্যবসায় লোকসান গুনছেন।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গাচড়া বাজারের মানিক মিয়া বলেন, ‘আমার সংসার এই কম্পিউটারের দোকানের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। লোডশেডিংয়ের কারণে গত তিন দিনে ১০০ টাকার মতো আয় করতে পেরেছি। আগে দিনে আয় হতো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
পর্যটন শহর কক্সবাজারে দৈনিক গড়ে লোডশেডিং হচ্ছে ৫-৬ ঘণ্টা করে। তবে উপজেলা পর্যায়ের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক আক্তারুজ্জামান লস্কর বলেন, জেলায় চাহিদার ৭৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে ২৭ মেগাওয়াট।
আরও খারাপের আশঙ্কা
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ জুনের সর্বশেষ হালনাগাদ করা তথ্য অনুসারে, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট। মোট বিদ্যুৎকেন্দ্র ১৫২টি। মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৫১ শতাংশ বা ১০ হাজার ৮৭৮ মেগাওয়াট হচ্ছে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান–২০১৬-এর প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকবে ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট।
পেট্রোবাংলার কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন, জুলাই মাস থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। কারণ জুলাই মাসে যে তিনটি এলএনজি কার্গো স্পট মার্কেট থেকে কেনার পরিকল্পনা ছিল, তা বাতিল হয়েছে। এমনকি আগস্ট মাসের কার্গোও বাতিল হতে পারে। পেট্রোবাংলার সূত্র জানায়, অর্থসংকট ও আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া দামের কারণে সরকার স্পট মার্কেট থেকে এখন এলএনজি কিনতে চাচ্ছে না। দেশে বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা আছে ৪ হাজার ১০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। আর সরবরাহ আছে ২ হাজার ৬৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। দেশের ২২টি গ্যাসফিল্ডের ১১৩টি কূপ থেকে ২ হাজার ৩১৫ মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪