Ajker Patrika

শীতের মধ্যে গ্রীষ্মের তরমুজ

জুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ২৩
শীতের মধ্যে গ্রীষ্মের তরমুজ

শীতেও রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় মিলছে গ্রীষ্মের ফল তরমুজ। উপজেলার সামিরা এলাকায় এখন রীতিমতো তরমুজের স্তূপ। আগাম এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। দাম বেশি হলেও বাজারে ভালো বিক্রি হচ্ছে এই রসাল ফল।

চলতি মৌসুমে অনেকে তামাকের বদলে তরমুজ চাষ করেছেন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।

উপজেলা মূল সড়ক, সামিরা সেতু ও শীলছড়ি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এলাকায় শত শত তরমুজ নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এদের একজন সামিরা এলাকার রুনা চাকমা। আগাম লাভের জন্য তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। প্রতিদিন কয়েক শ তরমুজ বিক্রি করেন।

রুনা চাকমা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলার ছাড়াও সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার রাঙামাটি শহরে বিক্রি করতে নিয়ে যান তিনি। ভালো লাভ পেয়ে খুশি তিনি।

মৈদং ইউনিয়নের বারাবান্যা তরমুজচাষি দীপন চাকমা (৩৫) বলেন, তামাকে অনেক কষ্ট। তারপরেও বছর শেষে লাভ পাওয়া যায় না। তাই তামাক চাষ বন্ধ করে আগাম তরমুজ চাষাবাদ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ১ হাজার তরমুজ বিক্রি করেছেন বলে তিনি জানান। প্রতিটি তরমুজ আকার অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সামিরা বাজারে কথা হয় পাইকারি বিক্রেতা মো. জাপর সঙ্গে। তিনি জানান, ৫০০ তরমুজ ৭৫ হাজার টাকায় কিনেছেন তিনি। প্রতিটি তরমুজের দাম পড়েছে ১৫০ টাকা করে। এই তরমুজই এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জুরাছড়ি ইউনিয়নের তরমুজ চাষি পলাশ চাকমা বলেন, ইতিমধ্যে ৭৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। খেতে যে পরিমাণের তরমুজ আছে সেগুলো বিক্রি করলে আরও প্রায় দুই-আড়াই লাখ টাকা পাওয়া যাবে।

জানতে চাইলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশিস চাকমা বলেন, চলতি মৌসুমে অনেক তামাক চাষি তামাক থেকে মুখ ফিরিয়ে তরমুজের চাষ করেছেন। তাদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তার সহায়তায় ভূমিকা পালন করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, তরমুজগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু। বাজারে চাহিদা রয়েছে। ভবিষ্যতে সফল চাষিদের সহায়তায় উদ্যোগ নেবে প্রশাসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত