দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
মাঠে মাঠে এখন সরিষার হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। পুরো মাঠ যেন ঢেকে আছে সুন্দর এক হলুদের চাদরে। তাই এই সুযোগে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মৌ চাষিরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সরিষার খেত থেকে মধু সংগ্রহে। ফসলি জমির পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌয়ালরা। ওইসব বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে।
উপজেলার মাছেনিরচর এলাকায় ৫০০টি মৌমাছির বাক্স বসিয়ে পোষা মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করছেন মৌয়ালরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরিষা ফুলে মৌমাছি মধু আহরণের ফলে সরিষা ফুলে ফুলে পরাগায়ন ঘটে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় জানা গেছে সরিষা ফুলে মৌমাছি মধু আহরণের ফলে স্বাভাবিক ফলনের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ফলন বেশি হয়। সরিষা ফুলে মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণের ফলে সরিষা ফলনে বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে। এতে করে মৌয়ালী ও কৃষক দুজনই লাভবান হয়।
উপজেলার মাছেনিরচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ সরিষা খেতের পাশে বাক্স বসিয়ে পোষা মৌমাছি দিয়ে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছেন মৌয়ালরা।
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নিপেন্দ্র ধামের ছেলে কানুরামের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি দল এসেছে এই উপজেলায় মধু সংগ্রহ করতে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরিষার এই মৌসুমে সরিষা খেত থেকে দুইবার মধু সংগ্রহ করতে পারেন তারা। মৌমাছি চাষি শেরপুর জেলার কানুরাম জানান, সরিষার মধু যেমন খাঁটি তেমনি স্বাদযুক্ত। তাই বাজারে এই মধুর বেশ চাহিদা রয়েছে।
মধুর দামও বেশ ভালো। গতবছর মধু আহরণ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি জানান, তাদের বাক্সে রানি মৌমাছি, পুরুষ মৌমাছি ও শ্রমিক মৌমাছি এই তিন ধরনের মৌমাছি আছে। কানুরাম জানান, এক সপ্তাহে প্রতিটি মৌমাছি বাক্সের প্রতি প্যানেলে দেড় কেজি থেকে দুই কেজি পর্যন্ত মধু আহরণ করতে পারে। আর প্রতি বাক্সে থাকে ৫টি প্যানেল। সে অনুযায়ী একটি বক্সে ১০ কেজি করে মধু আহরণ করা যায় বলে জানান তিনি। মধুচাষি কানুরাম আরও জানান, গত বছর তিনি ৪০০টি মৌমাছির বাক্সে ১০০ মণ মধু সংগ্রহ করেছিলেন।
যা প্রায় ১০ হাজার টাকা মণ প্রতি বিক্রি করেছেন। এ বছর তিনি আরও ১০০টি মৌমাছির বক্স বৃদ্ধি করে ৫০০টি মৌমাছির বক্স বসিয়েছেন। মধু বিক্রি করা প্রসঙ্গে কানুরাম জানান, দেশের ও দেশের বাইরের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে মধু কিনে নেয়।
তার মধ্যে প্রাণ, ডাবর, বিভিন্ন আয়ুর্বেদ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের থেকে মধু কিনে নেয়। এবার এই উপজেলায় ৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এই উপজেলায় প্রতিবছর ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়ে থাকে।
এই বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে সরিষা চাষ করতে এ অঞ্চলের কৃষকেরা বেশি আগ্রহী হয়েছে।
মাঠে মাঠে এখন সরিষার হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। পুরো মাঠ যেন ঢেকে আছে সুন্দর এক হলুদের চাদরে। তাই এই সুযোগে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মৌ চাষিরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সরিষার খেত থেকে মধু সংগ্রহে। ফসলি জমির পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌয়ালরা। ওইসব বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে।
উপজেলার মাছেনিরচর এলাকায় ৫০০টি মৌমাছির বাক্স বসিয়ে পোষা মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করছেন মৌয়ালরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরিষা ফুলে মৌমাছি মধু আহরণের ফলে সরিষা ফুলে ফুলে পরাগায়ন ঘটে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় জানা গেছে সরিষা ফুলে মৌমাছি মধু আহরণের ফলে স্বাভাবিক ফলনের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ফলন বেশি হয়। সরিষা ফুলে মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণের ফলে সরিষা ফলনে বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে। এতে করে মৌয়ালী ও কৃষক দুজনই লাভবান হয়।
উপজেলার মাছেনিরচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ সরিষা খেতের পাশে বাক্স বসিয়ে পোষা মৌমাছি দিয়ে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছেন মৌয়ালরা।
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নিপেন্দ্র ধামের ছেলে কানুরামের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি দল এসেছে এই উপজেলায় মধু সংগ্রহ করতে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরিষার এই মৌসুমে সরিষা খেত থেকে দুইবার মধু সংগ্রহ করতে পারেন তারা। মৌমাছি চাষি শেরপুর জেলার কানুরাম জানান, সরিষার মধু যেমন খাঁটি তেমনি স্বাদযুক্ত। তাই বাজারে এই মধুর বেশ চাহিদা রয়েছে।
মধুর দামও বেশ ভালো। গতবছর মধু আহরণ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি জানান, তাদের বাক্সে রানি মৌমাছি, পুরুষ মৌমাছি ও শ্রমিক মৌমাছি এই তিন ধরনের মৌমাছি আছে। কানুরাম জানান, এক সপ্তাহে প্রতিটি মৌমাছি বাক্সের প্রতি প্যানেলে দেড় কেজি থেকে দুই কেজি পর্যন্ত মধু আহরণ করতে পারে। আর প্রতি বাক্সে থাকে ৫টি প্যানেল। সে অনুযায়ী একটি বক্সে ১০ কেজি করে মধু আহরণ করা যায় বলে জানান তিনি। মধুচাষি কানুরাম আরও জানান, গত বছর তিনি ৪০০টি মৌমাছির বাক্সে ১০০ মণ মধু সংগ্রহ করেছিলেন।
যা প্রায় ১০ হাজার টাকা মণ প্রতি বিক্রি করেছেন। এ বছর তিনি আরও ১০০টি মৌমাছির বক্স বৃদ্ধি করে ৫০০টি মৌমাছির বক্স বসিয়েছেন। মধু বিক্রি করা প্রসঙ্গে কানুরাম জানান, দেশের ও দেশের বাইরের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে মধু কিনে নেয়।
তার মধ্যে প্রাণ, ডাবর, বিভিন্ন আয়ুর্বেদ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের থেকে মধু কিনে নেয়। এবার এই উপজেলায় ৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এই উপজেলায় প্রতিবছর ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়ে থাকে।
এই বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে সরিষা চাষ করতে এ অঞ্চলের কৃষকেরা বেশি আগ্রহী হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪