মেহেরপুর সংবাদদাতা
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গত কয়েক দিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১০ ডিগ্রির নিচে। সঙ্গে রয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের করার চেষ্টা করছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাধারণত ১০ ডিগ্রি নিচ থেকে ৮ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে বলা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ ডিগ্রি থেকে ৬ পর্যন্ত থাকলে ধরা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর ৬ ডিগ্রি থেকে ৪ পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে ধরা হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এবারের আবহাওয়াটা একটু ব্যতিক্রম। কারণ কিছুদিন আগেও রাতে গরম আর দিনের বেলায় শীত অনুভূত হচ্ছিল বেশি। যা আগে দেখা যায়নি। আবার গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ তাপমাত্রা নেমে গেছে। মাঘের যে হাড় কাঁপানো শীতে সেটি অনুভূত হচ্ছে পৌষের শেষের দিকে। কয়েক দিন ধরে বেলা ১১টার পর সূর্যের দেখা মিলছে। সঙ্গে দিনজুড়ে থাকছে কনকনে শীত।
এদিকে তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে আছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। এ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতকালীন ফসলের কিছুটা উপকার হলেও বোরো আবাদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বোরোর চারা কিছুটা লালচে হয়ে যাচ্ছে।
শহরের চক্রপাড়ার রিকশাচালক মিলন হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেও ভোরে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু প্রচণ্ড শীতের কারণে কয়েক দিন ধরে দেরি করে বের হতে হচ্ছে। এতে রোজগারে ভাটা পড়েছে।
সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী মেহেরনিগা খাতুন বলেন, প্রতিবছর এ সময়ে কিছুটা সাহায্য পেলেও এবার কেউ সাহায্যের হাত বাড়াননি। কেউ কম্বলও দেননি।
সদর উপজেলা আমঝুপি গ্রামের চাষি আব্দুল খালেক বলেন, ‘এবার আমি ৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করব। সেই লক্ষ্যে ৩ কাঠা জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করেছিলাম। প্রচণ্ড কুয়াশায় আমার চারা লালচে হয়ে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে বীজতলায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করে কিছুটা প্রতিকার পেয়েছি। তবে ৫ বিঘা জমির চারা সেখান থেকে পাব না।
রঘুনাতপুর গ্রামের চাষি আব্দুর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করার কথা ভাবছেন। দেড় কাঠা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু প্রচণ্ড শীতের কারণে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, শৈত্য প্রবাহে শীতকালীন সব ফসলেরই উপকার হচ্ছে। তবে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে বোরোর বীজতলা। এ সময় কৃষকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ধান গবেষণার ইনস্টিটিউটের পরামর্শে শৈত্য প্রবাহ থাকলে সকালে চারা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। আবার রাতে খুলে দিতে হবে। সকালে চারার ওপর থাকা কুয়াশা ডালপালা দিয়ে ভেঙে দিতে হবে। চারা লালচে বর্ণ ধারণ করলে পটাশ ও ইউরিয়া স্প্রে করতে হবে। তাতে কাজ না হলে জিপশাম দিতে হবে। বেশি সমস্যা দেখা দিলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গত কয়েক দিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১০ ডিগ্রির নিচে। সঙ্গে রয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের করার চেষ্টা করছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাধারণত ১০ ডিগ্রি নিচ থেকে ৮ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে বলা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ ডিগ্রি থেকে ৬ পর্যন্ত থাকলে ধরা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর ৬ ডিগ্রি থেকে ৪ পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে ধরা হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এবারের আবহাওয়াটা একটু ব্যতিক্রম। কারণ কিছুদিন আগেও রাতে গরম আর দিনের বেলায় শীত অনুভূত হচ্ছিল বেশি। যা আগে দেখা যায়নি। আবার গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ তাপমাত্রা নেমে গেছে। মাঘের যে হাড় কাঁপানো শীতে সেটি অনুভূত হচ্ছে পৌষের শেষের দিকে। কয়েক দিন ধরে বেলা ১১টার পর সূর্যের দেখা মিলছে। সঙ্গে দিনজুড়ে থাকছে কনকনে শীত।
এদিকে তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে আছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। এ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতকালীন ফসলের কিছুটা উপকার হলেও বোরো আবাদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বোরোর চারা কিছুটা লালচে হয়ে যাচ্ছে।
শহরের চক্রপাড়ার রিকশাচালক মিলন হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেও ভোরে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু প্রচণ্ড শীতের কারণে কয়েক দিন ধরে দেরি করে বের হতে হচ্ছে। এতে রোজগারে ভাটা পড়েছে।
সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী মেহেরনিগা খাতুন বলেন, প্রতিবছর এ সময়ে কিছুটা সাহায্য পেলেও এবার কেউ সাহায্যের হাত বাড়াননি। কেউ কম্বলও দেননি।
সদর উপজেলা আমঝুপি গ্রামের চাষি আব্দুল খালেক বলেন, ‘এবার আমি ৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করব। সেই লক্ষ্যে ৩ কাঠা জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করেছিলাম। প্রচণ্ড কুয়াশায় আমার চারা লালচে হয়ে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে বীজতলায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করে কিছুটা প্রতিকার পেয়েছি। তবে ৫ বিঘা জমির চারা সেখান থেকে পাব না।
রঘুনাতপুর গ্রামের চাষি আব্দুর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করার কথা ভাবছেন। দেড় কাঠা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু প্রচণ্ড শীতের কারণে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, শৈত্য প্রবাহে শীতকালীন সব ফসলেরই উপকার হচ্ছে। তবে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে বোরোর বীজতলা। এ সময় কৃষকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ধান গবেষণার ইনস্টিটিউটের পরামর্শে শৈত্য প্রবাহ থাকলে সকালে চারা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। আবার রাতে খুলে দিতে হবে। সকালে চারার ওপর থাকা কুয়াশা ডালপালা দিয়ে ভেঙে দিতে হবে। চারা লালচে বর্ণ ধারণ করলে পটাশ ও ইউরিয়া স্প্রে করতে হবে। তাতে কাজ না হলে জিপশাম দিতে হবে। বেশি সমস্যা দেখা দিলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪