টম সেন্টফিট
যে কারণে ফ্রান্স এগিয়ে
আমার কাছে ফ্রান্স এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ফেবারিট। তাদের দলটা দুর্দান্ত এবং ধারাবাহিক ভালো করে যাওয়া খেলোয়াড় আছে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই এই খেলোয়াড়রা ধারাবাহিকভাবে ফ্রান্সকে তাদের সেরাটা দিচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি বলব, ফ্রান্স যেকোনো চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। সব বিভাগেই দলটা ভারসাম্যপূর্ণ এবং সবাই পেশাদার। আর্জেন্টিনা দলটাও দারুণ। তবে এটা বলতেই হয় কিছু ম্যাচে তাঁরা রেফারির কাছ থেকে সুবিধা পেয়েছে। ফাইনালে আমি বলব ফ্রান্সই এগিয়ে।
ফ্রান্সের ফরমেশন
আমার মনে হয় না ফাইনালেও ফ্রান্স তাদের ফরমেশন পাল্টাবে। তারা ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলে যেখানে গ্রিজমান মাঝমাঠ থেকে দলকে আক্রমণ গড়ে দেওয়ার কাজ করে এবং দেম্বেলে ও এমবাপ্পেকে বলের জোগান দেয়। যেহেতু আর্জেন্টিনা বল নিয়ন্ত্রণ পায়ে রাখতে পছন্দ করে। এ কারণে ফ্রান্স গতিময় কাউন্টার অ্যাটাকেই খেলবে। গ্রিজমান-এমবাপ্পের মতো দারুণ সব সেন্টার ফরোয়ার্ড থাকায় বলের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও আর্জেন্টিনা বিপদে পড়তে পারে ফ্রান্সের কাউন্টার অ্যাটাকের কারণে।
দুর্বলতা
মরক্কোর বিপক্ষে ফ্রান্সের রাইট উইংকে বেশ দুর্বল মনে হয়েছে। দেম্বেলে-ফোফানারা ভালো খেললেও ডান প্রান্ত সেদিন ঠিক জ্বলতে পারেনি। আর খেলাটা মেসির বিপক্ষে যে এক পাসেই খেলা শেষ করে দিতে পারে। তাঁর বিপক্ষে খেলতে হলে সবাইকেই সর্বোচ্চটা দিতে হবে।
মেসি-এমবাপ্পে লড়াই
মেসি মানেই জাদু। তার সৃজনশীলতা আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে রাখবে। কিন্তু এমবাপ্পে হচ্ছে ভীষণ দ্রুতগতির এক ফুটবলার। দুই পিএসজি ফুটবলার ফাইনালে একে অন্যের মুখোমুখি হচ্ছে। কে জিতবে, সেটা আসলেই বলা কঠিন। এমবাপ্পের কাউন্টার অ্যাটাকই বদলে দিতে পারে ম্যাচের হিসাবনিকাশ। বক্সের সামনে ফ্রান্স আসলেই খুব ভয়ংকর। অনেক সময় রেফারির সিদ্ধান্তও খেলাকে বদলে দিতে পারে। আমরা কয়েক ম্যাচে দেখেছি আর্জেন্টিনা একটু বেশিই রেফারির আনুকূল্য পেয়েছে।
দেশম-ফ্যাক্ট
দেশম দারুণ একজন ম্যানেজার এবং ভালো মানুষ। খেলোয়াড়ি জীবনেও সে সেরাদের একজন ছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে তিনি তাঁর দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন, দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোচ হিসেবেও ফ্রান্সকে একইভাবে তিনি গেঁথে রেখেছেন। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের উল্লাসই বলে দেয় তাঁরা দেশমের কোচিংকে কতটা উপভোগ করছে। আমার কাছে দেশম হচ্ছেন একজন খাঁটি জাতীয় দলের কোচ। বড় বড় তারকাদেরও তিনি নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাদের উজ্জীবিত করছেন। বিশ্বকাপ জয়ের পরও কিন্তু ফ্রান্স পথ হারায়নি যেমনটা হারিয়েছে স্পেন ও জার্মানি। এটাই একজন অসাধারণ কোচের গুণ।
উপভোগ্য ফাইনালের অপেক্ষায়
ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা কেউই চাইবে না আগেভাগে গোল হজম করতে। দিন শেষে একটা দলই শিরোপা জিতবে। খেলার চাপ, বিশ্বকাপ ফাইনালের চাপ মিলিয়ে উপভোগ্য একটা ফাইনালের প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি। ম্যাচটা যে দারুণ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেরা দুই দল ফাইনালে খেলবে, যারা ভালো খেলেই এই পর্যন্ত এসেছে। ফ্রান্সের দলে আছে এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড়, যদিও ফ্রান্স শুধু তার ওপর নির্ভর নয়। এই দলটায় আদ্রিয়াঁ রাবিও, আঁতোয়া গ্রিজমান, মার্কাস থুরামের মতো খেলোয়াড় আছে। উসমানে দেম্বেলে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত খেলেছে।
টম সেন্টফিট, বাংলাদেশের সাবেক বেলজিয়ান কোচ
যে কারণে ফ্রান্স এগিয়ে
আমার কাছে ফ্রান্স এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ফেবারিট। তাদের দলটা দুর্দান্ত এবং ধারাবাহিক ভালো করে যাওয়া খেলোয়াড় আছে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই এই খেলোয়াড়রা ধারাবাহিকভাবে ফ্রান্সকে তাদের সেরাটা দিচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি বলব, ফ্রান্স যেকোনো চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। সব বিভাগেই দলটা ভারসাম্যপূর্ণ এবং সবাই পেশাদার। আর্জেন্টিনা দলটাও দারুণ। তবে এটা বলতেই হয় কিছু ম্যাচে তাঁরা রেফারির কাছ থেকে সুবিধা পেয়েছে। ফাইনালে আমি বলব ফ্রান্সই এগিয়ে।
ফ্রান্সের ফরমেশন
আমার মনে হয় না ফাইনালেও ফ্রান্স তাদের ফরমেশন পাল্টাবে। তারা ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলে যেখানে গ্রিজমান মাঝমাঠ থেকে দলকে আক্রমণ গড়ে দেওয়ার কাজ করে এবং দেম্বেলে ও এমবাপ্পেকে বলের জোগান দেয়। যেহেতু আর্জেন্টিনা বল নিয়ন্ত্রণ পায়ে রাখতে পছন্দ করে। এ কারণে ফ্রান্স গতিময় কাউন্টার অ্যাটাকেই খেলবে। গ্রিজমান-এমবাপ্পের মতো দারুণ সব সেন্টার ফরোয়ার্ড থাকায় বলের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও আর্জেন্টিনা বিপদে পড়তে পারে ফ্রান্সের কাউন্টার অ্যাটাকের কারণে।
দুর্বলতা
মরক্কোর বিপক্ষে ফ্রান্সের রাইট উইংকে বেশ দুর্বল মনে হয়েছে। দেম্বেলে-ফোফানারা ভালো খেললেও ডান প্রান্ত সেদিন ঠিক জ্বলতে পারেনি। আর খেলাটা মেসির বিপক্ষে যে এক পাসেই খেলা শেষ করে দিতে পারে। তাঁর বিপক্ষে খেলতে হলে সবাইকেই সর্বোচ্চটা দিতে হবে।
মেসি-এমবাপ্পে লড়াই
মেসি মানেই জাদু। তার সৃজনশীলতা আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে রাখবে। কিন্তু এমবাপ্পে হচ্ছে ভীষণ দ্রুতগতির এক ফুটবলার। দুই পিএসজি ফুটবলার ফাইনালে একে অন্যের মুখোমুখি হচ্ছে। কে জিতবে, সেটা আসলেই বলা কঠিন। এমবাপ্পের কাউন্টার অ্যাটাকই বদলে দিতে পারে ম্যাচের হিসাবনিকাশ। বক্সের সামনে ফ্রান্স আসলেই খুব ভয়ংকর। অনেক সময় রেফারির সিদ্ধান্তও খেলাকে বদলে দিতে পারে। আমরা কয়েক ম্যাচে দেখেছি আর্জেন্টিনা একটু বেশিই রেফারির আনুকূল্য পেয়েছে।
দেশম-ফ্যাক্ট
দেশম দারুণ একজন ম্যানেজার এবং ভালো মানুষ। খেলোয়াড়ি জীবনেও সে সেরাদের একজন ছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে তিনি তাঁর দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন, দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোচ হিসেবেও ফ্রান্সকে একইভাবে তিনি গেঁথে রেখেছেন। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের উল্লাসই বলে দেয় তাঁরা দেশমের কোচিংকে কতটা উপভোগ করছে। আমার কাছে দেশম হচ্ছেন একজন খাঁটি জাতীয় দলের কোচ। বড় বড় তারকাদেরও তিনি নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাদের উজ্জীবিত করছেন। বিশ্বকাপ জয়ের পরও কিন্তু ফ্রান্স পথ হারায়নি যেমনটা হারিয়েছে স্পেন ও জার্মানি। এটাই একজন অসাধারণ কোচের গুণ।
উপভোগ্য ফাইনালের অপেক্ষায়
ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা কেউই চাইবে না আগেভাগে গোল হজম করতে। দিন শেষে একটা দলই শিরোপা জিতবে। খেলার চাপ, বিশ্বকাপ ফাইনালের চাপ মিলিয়ে উপভোগ্য একটা ফাইনালের প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি। ম্যাচটা যে দারুণ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেরা দুই দল ফাইনালে খেলবে, যারা ভালো খেলেই এই পর্যন্ত এসেছে। ফ্রান্সের দলে আছে এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড়, যদিও ফ্রান্স শুধু তার ওপর নির্ভর নয়। এই দলটায় আদ্রিয়াঁ রাবিও, আঁতোয়া গ্রিজমান, মার্কাস থুরামের মতো খেলোয়াড় আছে। উসমানে দেম্বেলে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত খেলেছে।
টম সেন্টফিট, বাংলাদেশের সাবেক বেলজিয়ান কোচ
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫