Ajker Patrika

গ্রেপ্তার আতঙ্কে ৮ গ্রাম

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৩৭
গ্রেপ্তার আতঙ্কে ৮ গ্রাম

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৭ নম্বর হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বিপ্রবগদিয়া গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৭৬ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ মামলা করে। এর পর থেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে বিপ্রবগদিয়াসহ আশেপাশের ৮ গ্রাম।

মামলার পর থেকেই এ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের পুরুষ শূন্যতা চোখে পড়ে। দিনে কারও কারও দেখা মিললেও রাতে এসব গ্রামের পুরুষেরা গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িতে থাকেন না। উপজেলার বিপ্রবগদিয়া, চাম টাইলপাড়া, হরিহরা, সাধুহাটি, রাগপাড়া, খুলুমবাড়ি, নলখোলা, বরিয়া গ্রামের বেশির ভাগ পুরুষই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে।

জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর দুপুরে নির্বাচন ঘিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিপ্রবগদিয়া গ্রামে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান জিকু ও অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী বিপ্রবগদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান সাচ্ছুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩ পুলিশসহ ২০ জন আহত হন। আর এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় পুলিশ মামলা দেয়।

এদিকে পঞ্চম ধাপের আসন্ন ইউপি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ৫ জানুয়ারি ২০২২। উপজেলার অন্যান্য ইউপিতে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করলেও এই ইউপিতে নির্বাচনী আমেজ নেই। আবার অনেক দিনমজুরও গ্রেপ্তার আতঙ্কে যেতে পারছেন না কাজে।

উক্ত ইউনিয়নের বরিয়া গ্রামের বাসিন্দা রেহানা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী একজন শ্রমিক। আমরা নিরপরাধ মানুষ। পুলিশের অজ্ঞাত মামলা হওয়ায় ভয়ে সে কাজে যেতে পারছে না। যার ফলে আমরা খেয়ে না খেয়ে খুবই কষ্টে দিন পার করছি।’

এই ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘অনেক আশা ছিল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নির্বাচন করব কিন্তু তা আর হল না। পুলিশের মামলায় গ্রামের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। যার ফলে বেশির ভাগ পুরুষেরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’

হাকিমপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান জিকু বলেন, ‘প্রতিদিনই পুলিশ কোনো না কোনো নিরপরাধ মানুষের বাড়িতে তল্লাশি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে আমার ইউনিয়নের ৭-৮টি গ্রামের মানুষেরা। এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হবে। আমি প্রশাসনের কাছে নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।’

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মানুষের জানমালের রক্ষায় কাজ করতে এসেছি। যারা নিরপরাধ মানুষ তাঁদের হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না। তবে যারা অপরাধী তাঁদের আইনের আওতায় আসতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত