রুবেল আহমেদ, কসবা
চলতি মৌসুমের বর্ষায় মেলেনি কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। ভাদ্রেও বইছে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ। পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে জমি। আমনের বীজতলা তৈরি থাকলেও জমিতে রোপণ করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কৃষকেরা। এদিকে বেশ কিছু এলাকায় ঢলের পানি থাকা অবস্থায় কর্দমাক্ত জমিতে আমনের চারা রোপণ করলেও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য মতে, এবার ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চলতি বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় দেখা দিয়েছে পানির সংকট। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সেচ দিতে পারছেন না কৃষকেরা। পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যে মিলছে না সার। ফলে রোপা আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের কৃষক আবু কাওসার বলেন, ‘বীজতলা তৈরি করেছি অনেক আগেই। জমিতে পানি না থাকায় বীজতলা রোপণ করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি নেই। সেচ দিতেও বেশি টাকা লাগে। আমরা এখন অসহায়।’ ‘ডিপ টিউবওয়েল (গভীর নলকূপ) দিয়ে জমিতে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করলে স্বস্তিতে রোপা আমন চাষ করা সম্ভব; কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছি। আমন চাষাবাদ ব্যাহত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হব আমরা’—বলেন, হাজীপুর গ্রামের কৃষক উজ্জল মিয়া।
বাদৈর গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘বৃষ্টি তো হয় না। ঘণ্টায় ৩০০ টাকায় সেচ দিয়ে জমি রোপণ করলে ক্ষতি ছাড়া লাভ দেখছি না।’ আলমগীর মিয়া, জানে আলম, বাকীবিল্লাহসহ স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, আমন চাষ না করতে পারলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। বাজারে সব জিনিসের দাম অনেক বেশি। চাল কিনে খেয়ে জীবন বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। ট্রাক্টর থেকে শুরু করে সেচ দিতে গিয়ে দ্বিগুণ খরচ চেপেছে মাথার ওপর। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
শ্যালো মেশিনচালক সুমন মিয়া বলেন, ‘আগে এক বিঘা জমি পানি দিয়ে ভেজাতে খরচ হতো সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা নিতে হচ্ছে। এতে আমার কিছুটা লাভ হলেও কৃষকের কোনো লাভ নেই।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, উপজেলায় এ বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরও একই পরিমাণ জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছিল। এ বছর পানি এবং বৃষ্টির অভাবে কিছু কিছু এলাকায় এখনো কৃষক চারা রোপণ করতে পারছেন না। তবে অনেক এলাকায় রোপণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
চলতি মৌসুমের বর্ষায় মেলেনি কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। ভাদ্রেও বইছে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ। পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে জমি। আমনের বীজতলা তৈরি থাকলেও জমিতে রোপণ করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কৃষকেরা। এদিকে বেশ কিছু এলাকায় ঢলের পানি থাকা অবস্থায় কর্দমাক্ত জমিতে আমনের চারা রোপণ করলেও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য মতে, এবার ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চলতি বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় দেখা দিয়েছে পানির সংকট। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সেচ দিতে পারছেন না কৃষকেরা। পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যে মিলছে না সার। ফলে রোপা আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের কৃষক আবু কাওসার বলেন, ‘বীজতলা তৈরি করেছি অনেক আগেই। জমিতে পানি না থাকায় বীজতলা রোপণ করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি নেই। সেচ দিতেও বেশি টাকা লাগে। আমরা এখন অসহায়।’ ‘ডিপ টিউবওয়েল (গভীর নলকূপ) দিয়ে জমিতে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করলে স্বস্তিতে রোপা আমন চাষ করা সম্ভব; কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছি। আমন চাষাবাদ ব্যাহত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হব আমরা’—বলেন, হাজীপুর গ্রামের কৃষক উজ্জল মিয়া।
বাদৈর গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘বৃষ্টি তো হয় না। ঘণ্টায় ৩০০ টাকায় সেচ দিয়ে জমি রোপণ করলে ক্ষতি ছাড়া লাভ দেখছি না।’ আলমগীর মিয়া, জানে আলম, বাকীবিল্লাহসহ স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, আমন চাষ না করতে পারলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। বাজারে সব জিনিসের দাম অনেক বেশি। চাল কিনে খেয়ে জীবন বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। ট্রাক্টর থেকে শুরু করে সেচ দিতে গিয়ে দ্বিগুণ খরচ চেপেছে মাথার ওপর। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
শ্যালো মেশিনচালক সুমন মিয়া বলেন, ‘আগে এক বিঘা জমি পানি দিয়ে ভেজাতে খরচ হতো সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা নিতে হচ্ছে। এতে আমার কিছুটা লাভ হলেও কৃষকের কোনো লাভ নেই।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, উপজেলায় এ বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরও একই পরিমাণ জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছিল। এ বছর পানি এবং বৃষ্টির অভাবে কিছু কিছু এলাকায় এখনো কৃষক চারা রোপণ করতে পারছেন না। তবে অনেক এলাকায় রোপণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৪ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫