Ajker Patrika

বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আ.লীগ নেতা বহিষ্কার

শেরপুর প্রতিনিধি
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায়  আ.লীগ নেতা বহিষ্কার

শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে হুমায়ুন কবীর রুমান এ সিদ্ধান্তকে গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী ও রাজনৈতিক মূর্খতার শামিল বলে দাবি করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে শহরের খরমপুর এলাকায় তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। অপর দিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হুমায়ুন কবীর রুমান।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ফখরুল মজিদ খোকন জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (১১) ধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক এমনিতেই বহিষ্কৃত হয়েছেন হুমায়ুন কবীর রুমান। তাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে দলের এক সভা আহ্বান করে তাঁকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ জন সদস্যের মধ্যে ৫৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এখানে গঠনতন্ত্রের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর রুমানকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতির ওই সিদ্ধান্তকে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন হুমায়ুন কবীর রুমান। বুধবার দুপুরে শহরের খরমপুর এলাকায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৭ ও ৮) এর উপধারা লঙ্ঘন করে মনগড়াভাবে তার ওপর ৪৭ (১১) ধারা প্রয়োগ করা হয়, যা আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অথচ একজন রাজাকারপুত্র মামুনের সাক্ষরে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা দেখে শেরপুরবাসী বিস্মিত। মামুন হুইপ আতিউর রহমান আতিকের এপিএস হিসেবেও কাজ করছেন। হুইপ আতিউর রহমান আতিক নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। হুইপ আতিক যাতে শেরপুরে অবস্থান করতে না পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত