Ajker Patrika

ঘরের আশ্বাসে টাকা আদায় অভিযোগ তদন্তে কমিটি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
Thumbnail image

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হরদেব চন্দ্র বর্মণ নামের এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ  করেছেন।

লিখিত অভিযোগে ২৫৭ জন ভুক্তভোগী সই করেন। এদিকে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

অভিযোগ ওঠা গ্রাম পুলিশের সদস্য হরদেব চন্দ্র বর্মণ আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত।

অভিযোগে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পাশে ধামোর ইউনিয়নের জুগিকাটা ওয়ার্ডে ৭১-এর গ্রাম উন্নয়নে সরকারি ঘর হতে যাচ্ছে। ওই ৭১ গ্রামে গরিব মানুষকে আবাসিক ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৃষ্ণনগর ওয়ার্ডের রোহিতা রানী নামের এক নারীর কাছ থেকে হরদেব ৬ আগস্ট ৩১ হাজার টাকা নেন। একই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণনগর ওয়ার্ডের কয়েকজনকে ঘরসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন। একসময় ঘর না পেয়ে রোহিতা রানী বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। ৮ আগস্ট চেয়ারম্যানের মাধ্যমে হরদেবের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে ওই নারীকে ৩১ হাজার টাকা ফেরত দেন হরদেব। তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড তিনি চালিয়ে যান।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা রয়েছে, ঘটনার পর থেকে গ্রাম পুলিশ হরদেব কৃষ্ণনগর বাজারে আড্ডা দেওয়ার সময় অনৈতিক কার্যকলাপ করে থাকেন। এ ছাড়া এলাকাবাসীসহ অভিযোগকারীদের হুমকি দিয়ে থাকেন।

সাদেকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘হরদেব সরকারি বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছে অবৈধভাবে টাকা নিয়েছেন। তাঁর কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। কোনো কাজ থাকলেও তাঁকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার জন্য আমরা তাঁর বিচার দাবি করছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করেন গ্রাম পুলিশের সদস্য হরদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘যে ২৫৭ জন সই করে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অনেকের সই জাল। রোহিতা রানী আমার চাচাতো বোন। তিনি ২০ শতক জমি বন্ধক চেয়েছিলেন। এই হিসাবে ৫০ হাজার টাকার কথা হলে তিনি ৩০ হাজার টাকা আমাকে দেন। কিন্তু কুচক্রী মহলের মাধ্যমে আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর ৩১ হাজার টাকা দাবি ছিল। তাই চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে পুরো টাকা ফেরত দেই।’ আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসফিকুল আলম হালিম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত