আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কথিত আছে সৃষ্টিশীল মানুষেরা হাতের কাছে যা-ই পান, তা দিয়েই নতুন কিছু বানাতে শুরু করেন। ঘানা ও কানাডার নাগরিক চিত্রশিল্পী একোও নিমাকোর বেলায় কথাটি পুরোপুরি মিলে যায়। তবে তাঁর বেছে নেওয়া উপাদান অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম। জানার পর সবাই বলবেন, নিমাকোর মধ্যে হয়তো আবারও শিশু হওয়ার বাসনা জেগেছে। তবে তাঁর কাজগুলো দেখে বিমোহিত হতে হবে।
প্রায় সবারই শৈশবের প্রিয় খেলনা ‘লেগো’। সহজে বোঝাতে হলে বলতে হবে ‘প্লাস্টিকের ইট’। লেগো হচ্ছে এমন এক ধরনের খেলনা, যা দিয়ে বাড়ি, গাড়ি, ট্রেন, চেয়ার, টেবিলসহ যেকোনো কিছু বানানো যায়। শিশুদের মধ্যে সৃজনশীল মনোভাব সৃষ্টির অনন্য এক খেলার উপকরণ এটি। ৪২ বছর বয়সী নিমাকোরও শিশুদের মতো প্রতিটা দিন কাটে লেগো নিয়ে। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি বেছে বেছে কেবল কালো লেগো ব্যবহার করেন। কল্পনা আর বাস্তবের মিশেলে বানান একেকটা ‘খেলনা’। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, ইতিহাস আর দর্শনকে উপজীব্য করে তিনি লেগো দিয়েই গড়ে তোলেন সব শিল্পকর্ম। এ যেন কালোর মাঝে আলোর খেলা।
হাতের স্পর্শে শত শত কালো লেগো পরিণত হয় বড় মাকড়সায়। কখনো হয়ে ওঠে হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো মেয়েশিশু। সেই মেয়েশিশুর দিকে তাকালেই মনে পড়বে দাসপ্রথার কথা। একটা সময় আফ্রিকা থেকে মানবেতরভাবে পশ্চিমের দেশগুলোয় নিয়ে আসা হতো এসব দাস।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ‘ফ্লাওয়ার গার্ল’ নামের নিমাকোর এ শিল্পকর্মের অবয়বটি প্রথমে তৈরি করা হয়েছিল ৬ বছর বয়সী শিশুর আদলে। পরে লেগো বাড়িয়ে অবয়বটি আরেকটু বড় করা হয়। হয়ে যায় তা ১০ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুর অবয়ব। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে এর প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
নিমাকোর হাতে কখনো কখনো লেগো পূর্ণতা পায় পাখি, উট কিংবা যোদ্ধার অবয়বে। আগামী ১০০ বছর পর ঘানা দেখতে কেমন হবে, তা আগেই বানিয়ে রেখেছেন নিমাকো। লেগো দিয়েই। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্মগুলো হলো, ‘যোদ্ধা প্যাঁচা’, ‘অশ্বারোহী’, আফ্রিকান উপকথার চরিত্র আনানসি’, ‘ওয়ালাতার দস্যু রানি’ এবং ‘উঠের পিঠে বিশ্ব’। তবে সবই ‘কালো’।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, নিমাকো কেন কালো রঙ ব্যবহার করছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে নিমাকো জানালেন তিনটি কারণ। প্রথমত, একই রং ব্যবহার করলে লেগো বেছে নিতে সমস্যা হয় না। দ্বিতীয়ত, রংটা তাঁর বেশ পছন্দ। তাঁর ভাষায়, ‘কালোর মাঝে আমি যে আলো খুঁজে পেয়েছি, তা অনেক পরিশীলিত ও অনন্য। অনেকেই কালো রংকে নিষিদ্ধ রং বললেও এর মধ্যেই সব অর্থ লুকিয়ে আছে।’ আর তৃতীয় এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে, কাজকে সহজেই আলাদা করা যাবে।
যাত্রাটা শুরু হয় ২০১২ সালে। দুই বছর পরই কানাডার একটি হলে প্রদর্শনীর প্রস্তাব পান নিমাকো। আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। প্রতিটি কাজ শেষ করতে ৫০ থেকে ৮০০ ঘণ্টা লাগে তাঁর। ভবিষ্যতের ঘানা বানাতে লেগেছিল ১ লাখ পিস লেগো। সৃষ্টিশীল মানুষটির চাওয়া একটাই, কালো বলে যাঁদের হেলা করা হয়, তাঁদের সেই রংও আলো ফোটাতে পারে—সবার মধ্যে এ ধারণা তৈরি করা।
কথিত আছে সৃষ্টিশীল মানুষেরা হাতের কাছে যা-ই পান, তা দিয়েই নতুন কিছু বানাতে শুরু করেন। ঘানা ও কানাডার নাগরিক চিত্রশিল্পী একোও নিমাকোর বেলায় কথাটি পুরোপুরি মিলে যায়। তবে তাঁর বেছে নেওয়া উপাদান অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম। জানার পর সবাই বলবেন, নিমাকোর মধ্যে হয়তো আবারও শিশু হওয়ার বাসনা জেগেছে। তবে তাঁর কাজগুলো দেখে বিমোহিত হতে হবে।
প্রায় সবারই শৈশবের প্রিয় খেলনা ‘লেগো’। সহজে বোঝাতে হলে বলতে হবে ‘প্লাস্টিকের ইট’। লেগো হচ্ছে এমন এক ধরনের খেলনা, যা দিয়ে বাড়ি, গাড়ি, ট্রেন, চেয়ার, টেবিলসহ যেকোনো কিছু বানানো যায়। শিশুদের মধ্যে সৃজনশীল মনোভাব সৃষ্টির অনন্য এক খেলার উপকরণ এটি। ৪২ বছর বয়সী নিমাকোরও শিশুদের মতো প্রতিটা দিন কাটে লেগো নিয়ে। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি বেছে বেছে কেবল কালো লেগো ব্যবহার করেন। কল্পনা আর বাস্তবের মিশেলে বানান একেকটা ‘খেলনা’। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, ইতিহাস আর দর্শনকে উপজীব্য করে তিনি লেগো দিয়েই গড়ে তোলেন সব শিল্পকর্ম। এ যেন কালোর মাঝে আলোর খেলা।
হাতের স্পর্শে শত শত কালো লেগো পরিণত হয় বড় মাকড়সায়। কখনো হয়ে ওঠে হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো মেয়েশিশু। সেই মেয়েশিশুর দিকে তাকালেই মনে পড়বে দাসপ্রথার কথা। একটা সময় আফ্রিকা থেকে মানবেতরভাবে পশ্চিমের দেশগুলোয় নিয়ে আসা হতো এসব দাস।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ‘ফ্লাওয়ার গার্ল’ নামের নিমাকোর এ শিল্পকর্মের অবয়বটি প্রথমে তৈরি করা হয়েছিল ৬ বছর বয়সী শিশুর আদলে। পরে লেগো বাড়িয়ে অবয়বটি আরেকটু বড় করা হয়। হয়ে যায় তা ১০ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুর অবয়ব। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে এর প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
নিমাকোর হাতে কখনো কখনো লেগো পূর্ণতা পায় পাখি, উট কিংবা যোদ্ধার অবয়বে। আগামী ১০০ বছর পর ঘানা দেখতে কেমন হবে, তা আগেই বানিয়ে রেখেছেন নিমাকো। লেগো দিয়েই। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্মগুলো হলো, ‘যোদ্ধা প্যাঁচা’, ‘অশ্বারোহী’, আফ্রিকান উপকথার চরিত্র আনানসি’, ‘ওয়ালাতার দস্যু রানি’ এবং ‘উঠের পিঠে বিশ্ব’। তবে সবই ‘কালো’।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, নিমাকো কেন কালো রঙ ব্যবহার করছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে নিমাকো জানালেন তিনটি কারণ। প্রথমত, একই রং ব্যবহার করলে লেগো বেছে নিতে সমস্যা হয় না। দ্বিতীয়ত, রংটা তাঁর বেশ পছন্দ। তাঁর ভাষায়, ‘কালোর মাঝে আমি যে আলো খুঁজে পেয়েছি, তা অনেক পরিশীলিত ও অনন্য। অনেকেই কালো রংকে নিষিদ্ধ রং বললেও এর মধ্যেই সব অর্থ লুকিয়ে আছে।’ আর তৃতীয় এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে, কাজকে সহজেই আলাদা করা যাবে।
যাত্রাটা শুরু হয় ২০১২ সালে। দুই বছর পরই কানাডার একটি হলে প্রদর্শনীর প্রস্তাব পান নিমাকো। আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। প্রতিটি কাজ শেষ করতে ৫০ থেকে ৮০০ ঘণ্টা লাগে তাঁর। ভবিষ্যতের ঘানা বানাতে লেগেছিল ১ লাখ পিস লেগো। সৃষ্টিশীল মানুষটির চাওয়া একটাই, কালো বলে যাঁদের হেলা করা হয়, তাঁদের সেই রংও আলো ফোটাতে পারে—সবার মধ্যে এ ধারণা তৈরি করা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪