ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের ঘিওরে সেচ সুবিধার জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বরাদ্দে চলা খাল খননে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অমান্য করে খালের মাটি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ডাম্প ট্রাকে মাটি বহনের কারণে ফসলি জমি ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া যে পরিমাণ খনন করার কথা, তা-ও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ভালকুটিয়া এলাকায় চলমান রয়েছে বিএডিসির খাল খনন। ইউনিয়নের ভালকুটিয়া, বাষ্টিয়া, আঙ্গারপাড়া ও চৌবাড়িয়া এলাকার ফসলি জমির পানিনিষ্কাশনের জন্য ১৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খাল খনন চলছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে এবং গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় সরেজমিন দেখা যায়, খননের মাটি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে খালের দুই পাশে নামমাত্র রাখা হয়েছে। ফলে খালের মাটি আবার খালেই পড়ছে। আর রাতভর খালের ৮০ শতাংশ মাটি ডাম্প ট্রাকে করে মাটি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
স্থানীয় প্রভাবশালী দিলীপ বসু, মো. সুজন, দেলোয়ার হোসেন, রশিদ মিয়া, রুনু মিয়া, আফজাল হোসেনসহ আরও কয়েকজন এই মাটির ব্যবসা করছেন বলে জানা গেছে। দিলীপ বসু ও আফজাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তাঁরা জানান, পরিবহন খরচের জন্য দু-এক গাড়ি মাটি বিক্রি করা হয়েছে। বাকি মাটি সরকারি রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। পরে তাঁরা এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করে দেখা করার অনুরোধ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, খালে বর্তমানে যেভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, তাতে কৃষকদের উন্নয়ন তো দূরের কথা, অনতিবিলম্বে ফসলি জমি ভেঙে খালে চলে যাবে। ঠিকাদারের লোকজনকে কাজের বিষয়ে কিছু বললে তাঁরা বড় বড় নেতার নাম বলে হুমকি-ধমকি দেন।
ভালকুটিয়া এলাকার মো. হারেজ মিয়া বলেন, খাল খননের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল—খালের মাটি বিক্রি করা যাবে না। খালের মাটি কৃষকদের জমিতে রাখতে হবে এবং বাকি মাটি সরকারি রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু কৃষকের খেতে বোরো ধান। এ সময় অনেক কৃষক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মাটি তাঁর জমিতে রাখতে পারছেন না।
হারেজ মিয়া বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা এখন প্রশাসনকে দেখাচ্ছে—এই মাটি রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে নামমাত্র মাটি রাস্তায় দিয়ে বাকি মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাকভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন।
বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আ. আওয়াল খান বলেন, কৃষকদের সাময়িক সমস্যা হলেও খাল খননের ফলে কৃষকেরা স্থায়ীভাবে সুফল পাবেন। এই খালের মাটি বাইরে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। খননকাজের পাশেই অন্য একটি এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ওই মাটির সঙ্গে খালের কিছু মাটি এদিক-সেদিক হতে পারে।
খাল খনন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রিয়াঙ্কা এন্টারপ্রাইজের সাব-কন্ট্রাক্টর মো. জাহিদ বলেন, ‘আমাদের এ কাজ সহকারী প্রকৌশলী, এসিএল ও পিডি (প্রকল্প পরিচালক) স্যার দেখে গেছেন। তাঁরা আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলেছেন, আমি সেভাবেই করছি। এ পর্যন্ত আমার দেড় লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।’
বিএডিসির খাল খনন কার্যক্রমের তদারক কর্মকর্তা রতন কুমার সরকার জানান, কাজের শুরুতে কিছু অনিয়ম হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেটি ঠিক হয়ে গেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএডিসি সহকারী প্রকৌশলী তিতাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাল খননে যে ড্রয়িং ছিল, সেটি পুনরায় ডিজাইন করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ করে দেখব—কোনো অনিয়ম ঘটছে কি না। পাশের জমি ভেঙে যাতে খালে না পড়ে, সে ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত হচ্ছে, খালের মাটি দিয়ে সরকারি রাস্তা মেরামত করা হবে। কিন্তু খালের মাটি বাইরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।’
খাল খনন প্রকল্পের সভাপতি, ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হামিদুর রহমান বলেন, ‘সরকারি রাস্তায় মাটি না ফেলে মাটি বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নই। খালের মাটি বাইরে বিক্রি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জের ঘিওরে সেচ সুবিধার জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বরাদ্দে চলা খাল খননে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অমান্য করে খালের মাটি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ডাম্প ট্রাকে মাটি বহনের কারণে ফসলি জমি ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া যে পরিমাণ খনন করার কথা, তা-ও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ভালকুটিয়া এলাকায় চলমান রয়েছে বিএডিসির খাল খনন। ইউনিয়নের ভালকুটিয়া, বাষ্টিয়া, আঙ্গারপাড়া ও চৌবাড়িয়া এলাকার ফসলি জমির পানিনিষ্কাশনের জন্য ১৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খাল খনন চলছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে এবং গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় সরেজমিন দেখা যায়, খননের মাটি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে খালের দুই পাশে নামমাত্র রাখা হয়েছে। ফলে খালের মাটি আবার খালেই পড়ছে। আর রাতভর খালের ৮০ শতাংশ মাটি ডাম্প ট্রাকে করে মাটি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
স্থানীয় প্রভাবশালী দিলীপ বসু, মো. সুজন, দেলোয়ার হোসেন, রশিদ মিয়া, রুনু মিয়া, আফজাল হোসেনসহ আরও কয়েকজন এই মাটির ব্যবসা করছেন বলে জানা গেছে। দিলীপ বসু ও আফজাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তাঁরা জানান, পরিবহন খরচের জন্য দু-এক গাড়ি মাটি বিক্রি করা হয়েছে। বাকি মাটি সরকারি রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। পরে তাঁরা এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করে দেখা করার অনুরোধ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, খালে বর্তমানে যেভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, তাতে কৃষকদের উন্নয়ন তো দূরের কথা, অনতিবিলম্বে ফসলি জমি ভেঙে খালে চলে যাবে। ঠিকাদারের লোকজনকে কাজের বিষয়ে কিছু বললে তাঁরা বড় বড় নেতার নাম বলে হুমকি-ধমকি দেন।
ভালকুটিয়া এলাকার মো. হারেজ মিয়া বলেন, খাল খননের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল—খালের মাটি বিক্রি করা যাবে না। খালের মাটি কৃষকদের জমিতে রাখতে হবে এবং বাকি মাটি সরকারি রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু কৃষকের খেতে বোরো ধান। এ সময় অনেক কৃষক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মাটি তাঁর জমিতে রাখতে পারছেন না।
হারেজ মিয়া বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা এখন প্রশাসনকে দেখাচ্ছে—এই মাটি রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে নামমাত্র মাটি রাস্তায় দিয়ে বাকি মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাকভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন।
বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আ. আওয়াল খান বলেন, কৃষকদের সাময়িক সমস্যা হলেও খাল খননের ফলে কৃষকেরা স্থায়ীভাবে সুফল পাবেন। এই খালের মাটি বাইরে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। খননকাজের পাশেই অন্য একটি এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ওই মাটির সঙ্গে খালের কিছু মাটি এদিক-সেদিক হতে পারে।
খাল খনন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রিয়াঙ্কা এন্টারপ্রাইজের সাব-কন্ট্রাক্টর মো. জাহিদ বলেন, ‘আমাদের এ কাজ সহকারী প্রকৌশলী, এসিএল ও পিডি (প্রকল্প পরিচালক) স্যার দেখে গেছেন। তাঁরা আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলেছেন, আমি সেভাবেই করছি। এ পর্যন্ত আমার দেড় লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।’
বিএডিসির খাল খনন কার্যক্রমের তদারক কর্মকর্তা রতন কুমার সরকার জানান, কাজের শুরুতে কিছু অনিয়ম হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেটি ঠিক হয়ে গেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএডিসি সহকারী প্রকৌশলী তিতাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাল খননে যে ড্রয়িং ছিল, সেটি পুনরায় ডিজাইন করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ করে দেখব—কোনো অনিয়ম ঘটছে কি না। পাশের জমি ভেঙে যাতে খালে না পড়ে, সে ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত হচ্ছে, খালের মাটি দিয়ে সরকারি রাস্তা মেরামত করা হবে। কিন্তু খালের মাটি বাইরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।’
খাল খনন প্রকল্পের সভাপতি, ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হামিদুর রহমান বলেন, ‘সরকারি রাস্তায় মাটি না ফেলে মাটি বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নই। খালের মাটি বাইরে বিক্রি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪