লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট থেকে ঢাকার সদরঘাট নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরুর এক দিন পর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর সাড়ে ৬ মাসেও চালু হয়নি। কবে চালু হবে, সেটাও অনিশ্চিত। যাত্রীসংকটের অজুহাতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। দ্রুত চালু না হলে আবারও আন্দোলনের কথা বলছেন এ পথের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।
মজুচৌধুরীরহাটের ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, দীর্ঘদিন দাবির পর লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় অনেক স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নেই রয়ে গেছে। তার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কবে লঞ্চ চালু হবে, সেটাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দ্রুত লঞ্চ চালু করা না হলে আবারও আন্দোলনে নামার কথা বলছেন স্থানীয়রা।
জেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়কপথে ঢাকা থেকে কুমিল্লা হয়ে লক্ষ্মীপুর শহর পর্যন্ত দূরত্ব ২০৪ কিলোমিটার। অথচ নৌপথে এ দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার। কিন্তু নৌপথ চালু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এর সুবিধা পাচ্ছে না এই অঞ্চলের মানুষ। তাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব লঞ্চ চালু করা হোক। তবে যাত্রীর অজুহাত দেখিয়ে এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা কোনোভাবে ঠিক হয়নি। অন্যদের সুবিধার্থে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের।
ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর লঞ্চ চাই পরিষদের আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, লঞ্চ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছিল জেলার সর্বস্তরের মানুষ। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ লক্ষ্মীপুরে এসে নৌবন্দর নির্মাণ প্রকল্প এবং বেশ কিছু কাজের উদ্বোধনসহ মজুচৌধুরীরহাটকে নৌবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর লঞ্চ চালু হলো। কিন্তু কী কারণে চালুর এক দিনের মাথায় তা বন্ধ হয়ে যায়, সেটা কারও জানা নেই। দ্রুত লঞ্চ চালু না হলে আবারও নানা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে মানুষ। দ্রুত লঞ্চ চালুর উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সদর টার্মিনাল থেকে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীহাট লঞ্চঘাট ও ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু করা হয়। এরপর নাব্যতা-সংকটের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়। এখন নাব্যতা দূর করতে নদীর ডুবোচরে জেগে ওঠা চরগুলো ড্রেজিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে লঞ্চ চলাচল শুরু করা হবে। এ বিষয়ে নৌ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, লক্ষ্মীপুর-ঢাকা নৌপথ চালু করা গেলে যাত্রীরা সড়কপথের তুলনায় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। ফলে এই নৌপথ সচল থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চল ও রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের। তাই এ নৌপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে অনুযায়ী সরকার এ নৌপথ বাস্তবায়নে কাজ করছে। শিগগিরই তা চালু হবে। পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। সেটাও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট থেকে ঢাকার সদরঘাট নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরুর এক দিন পর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর সাড়ে ৬ মাসেও চালু হয়নি। কবে চালু হবে, সেটাও অনিশ্চিত। যাত্রীসংকটের অজুহাতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। দ্রুত চালু না হলে আবারও আন্দোলনের কথা বলছেন এ পথের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।
মজুচৌধুরীরহাটের ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, দীর্ঘদিন দাবির পর লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় অনেক স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নেই রয়ে গেছে। তার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কবে লঞ্চ চালু হবে, সেটাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দ্রুত লঞ্চ চালু করা না হলে আবারও আন্দোলনে নামার কথা বলছেন স্থানীয়রা।
জেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়কপথে ঢাকা থেকে কুমিল্লা হয়ে লক্ষ্মীপুর শহর পর্যন্ত দূরত্ব ২০৪ কিলোমিটার। অথচ নৌপথে এ দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার। কিন্তু নৌপথ চালু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এর সুবিধা পাচ্ছে না এই অঞ্চলের মানুষ। তাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব লঞ্চ চালু করা হোক। তবে যাত্রীর অজুহাত দেখিয়ে এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা কোনোভাবে ঠিক হয়নি। অন্যদের সুবিধার্থে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের।
ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর লঞ্চ চাই পরিষদের আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, লঞ্চ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছিল জেলার সর্বস্তরের মানুষ। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ লক্ষ্মীপুরে এসে নৌবন্দর নির্মাণ প্রকল্প এবং বেশ কিছু কাজের উদ্বোধনসহ মজুচৌধুরীরহাটকে নৌবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর লঞ্চ চালু হলো। কিন্তু কী কারণে চালুর এক দিনের মাথায় তা বন্ধ হয়ে যায়, সেটা কারও জানা নেই। দ্রুত লঞ্চ চালু না হলে আবারও নানা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে মানুষ। দ্রুত লঞ্চ চালুর উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সদর টার্মিনাল থেকে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীহাট লঞ্চঘাট ও ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু করা হয়। এরপর নাব্যতা-সংকটের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়। এখন নাব্যতা দূর করতে নদীর ডুবোচরে জেগে ওঠা চরগুলো ড্রেজিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে লঞ্চ চলাচল শুরু করা হবে। এ বিষয়ে নৌ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, লক্ষ্মীপুর-ঢাকা নৌপথ চালু করা গেলে যাত্রীরা সড়কপথের তুলনায় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। ফলে এই নৌপথ সচল থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চল ও রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের। তাই এ নৌপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে অনুযায়ী সরকার এ নৌপথ বাস্তবায়নে কাজ করছে। শিগগিরই তা চালু হবে। পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। সেটাও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪