সম্পাদকীয়
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত অনেক হত্যা মামলা হয়েছে। আর এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগসরকারের আমলের মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা, পুলিশের কর্মকর্তাসহ অনেককে। মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যাও অনেক। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার ‘দুর্বল এজাহারে নড়বড়ে মামলা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ফৌজদারি মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হয়। এ ছাড়া তারিখ, থাকতে হয় কোন সময় এবং কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, এর ক্রমবিন্যাসের বর্ণনা। অথচ প্রায় সব এজাহারেই শেখ হাসিনাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হুকুমের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তবে কার গুলিতে ঘটনাটি ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে না। তাই সেই মামলাগুলো যৌক্তিক মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নেতাদের বিরুদ্ধে করা বেশির ভাগ মামলার বর্ণনা অনেকটা একই রকম। এজাহারে নাম না থাকলেও অজ্ঞাত আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে অনেককে। এতে মামলা দুর্বল হয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন আইনজ্ঞরা।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা এ রকম যে ক্ষমতাসীন সরকারের পতন হলে নতুন সরকার এসে আগের সরকারের বিরুদ্ধে আক্রোশবশত নানা ধরনের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে। তাদের নাস্তানাবুদ করার জন্য যা ইচ্ছা তা-ই করা হয়। এসব ঘটনা এরশাদের পতনের পর যেমন দেখা গেছে, তেমনি ওয়ান-ইলেভেনের পর বিএনপির নেতাদের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। আর এখন দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর।
জনগণকে দেখানো হয়, আগের সরকার কত খারাপ ছিল। কিন্তু আবার যখন সরকারের পরিবর্তন ঘটে, তখন দেখা যায় করা মামলাগুলো এমনিতেই খারিজ হয়ে যায়। যেমন এখন ওয়ান-ইলেভেনের সময় করা মামলাগুলো একে একে খারিজ হয়ে যাচ্ছে।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেলে এ রকম হতো না। কিন্তু আমাদের অদৃষ্টের পরিহাস, আমরা আজ পর্যন্ত সে জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। বিদ্বেষ ও বিভেদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা যাচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ছাত্রসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ নিহত হয়েছে। সেই সব হত্যাকাণ্ডের দায় আগের সরকার এড়াতে পারে না। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য হলেও এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। তা না হলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। সে জন্য মামলার এজাহার সঠিক হতে হবে। শুধু মামলার স্রোত সৃষ্টি করে কোনো লাভ হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবার আশা, তাদের আচরণ হবে আইনানুগ; কেননা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশকে বদলে দেওয়া যাবে না। এই সরকারের অনেক গুরুদায়িত্বের একটি হচ্ছে, প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা। আর কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়, সেটা নিশ্চিত করা। কিন্তু যেভাবে ঢালাও মামলা দেওয়া হচ্ছে, তা কতটুকু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত অনেক হত্যা মামলা হয়েছে। আর এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগসরকারের আমলের মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা, পুলিশের কর্মকর্তাসহ অনেককে। মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যাও অনেক। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার ‘দুর্বল এজাহারে নড়বড়ে মামলা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ফৌজদারি মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হয়। এ ছাড়া তারিখ, থাকতে হয় কোন সময় এবং কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, এর ক্রমবিন্যাসের বর্ণনা। অথচ প্রায় সব এজাহারেই শেখ হাসিনাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হুকুমের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তবে কার গুলিতে ঘটনাটি ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে না। তাই সেই মামলাগুলো যৌক্তিক মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নেতাদের বিরুদ্ধে করা বেশির ভাগ মামলার বর্ণনা অনেকটা একই রকম। এজাহারে নাম না থাকলেও অজ্ঞাত আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে অনেককে। এতে মামলা দুর্বল হয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন আইনজ্ঞরা।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা এ রকম যে ক্ষমতাসীন সরকারের পতন হলে নতুন সরকার এসে আগের সরকারের বিরুদ্ধে আক্রোশবশত নানা ধরনের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে। তাদের নাস্তানাবুদ করার জন্য যা ইচ্ছা তা-ই করা হয়। এসব ঘটনা এরশাদের পতনের পর যেমন দেখা গেছে, তেমনি ওয়ান-ইলেভেনের পর বিএনপির নেতাদের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। আর এখন দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর।
জনগণকে দেখানো হয়, আগের সরকার কত খারাপ ছিল। কিন্তু আবার যখন সরকারের পরিবর্তন ঘটে, তখন দেখা যায় করা মামলাগুলো এমনিতেই খারিজ হয়ে যায়। যেমন এখন ওয়ান-ইলেভেনের সময় করা মামলাগুলো একে একে খারিজ হয়ে যাচ্ছে।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেলে এ রকম হতো না। কিন্তু আমাদের অদৃষ্টের পরিহাস, আমরা আজ পর্যন্ত সে জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। বিদ্বেষ ও বিভেদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা যাচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ছাত্রসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ নিহত হয়েছে। সেই সব হত্যাকাণ্ডের দায় আগের সরকার এড়াতে পারে না। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য হলেও এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। তা না হলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। সে জন্য মামলার এজাহার সঠিক হতে হবে। শুধু মামলার স্রোত সৃষ্টি করে কোনো লাভ হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবার আশা, তাদের আচরণ হবে আইনানুগ; কেননা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশকে বদলে দেওয়া যাবে না। এই সরকারের অনেক গুরুদায়িত্বের একটি হচ্ছে, প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা। আর কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়, সেটা নিশ্চিত করা। কিন্তু যেভাবে ঢালাও মামলা দেওয়া হচ্ছে, তা কতটুকু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৩ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪