আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)
ধান কাটা মৌসুম উপলক্ষে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ কিষানের হাট বসেছে বাগেরহাটের ফকিরহাট বাজারে। প্রায় অর্ধশত বছরের পুরোনো এ শ্রমিকের হাটে দেশের বিভিন্ন জেলার শ্রমজীবী মানুষ শ্রম বিক্রি করতে আসেন। ধান কাটা মৌসুমে কাজের সুযোগ বেশি বলে শ্রমিকের আগমনও বেশি। শ্রমিক, বর্গাচাষি, মহাজনদের উপস্থিতি ও দর–কষাকষিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে কিষানের হাট। কৃষাণের হাটের কারণে এখানকার চায়ের দোকান, বেকারি, হোটেল, পান-সিগারেটের দোকানগুলোতেও বেচাকেনা বেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, প্রতি রোববার ও বুধবার ফকিরহাট বাজারের পুরোনো রেলস্টেশন গলিতে এই কিষানের হাট বসে। এই দুদিন মানুষের ভিড়ে বাজারে ঢোকা দায়। মানুষের ভিড় সরু গলি ছাপিয়ে মূল সড়ক পর্যন্ত এসে পৌঁছায়। ১৮ বছরের যুবক থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ কাজের সন্ধানে এখানে এসেছে। বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ, নীলফামারী, জামালপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ি, বরগুনাসহ, বাগেরহাটের উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থান থেকে খেটে খাওয়া কয়েক হাজার মানুষ কাজের সন্ধানে এই হাটে আসেন।
দূর-দুরন্ত থেকে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকেরা হাটের ১ / ২ দিন আগে দল বেধে ফকিরহাটে এসে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, কাজি আজহার আলি কলেজের সাইকেল গ্যারেজ, হোস্টেলের বারান্দায় অবস্থান নিয়ে রাত্রি যাপন করেন। ভোরের আলো ফুটতেই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫০০ গজ দূরে পুরোনো রেলস্টেশনের সড়কে জমায়েত হতে থাকেন। তবে আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকেরা নসিমন, করিমন, ভটভটি, মাহেন্দ্র, লোকাল বাসে করে খুব ভোরে সমবেত হন এই কৃষাণের হাটে।
খেতের ধান কাটা, বীজতলা তৈরি, নিড়ানি, মাছের ঘের, মাটিকাটা, পানের বরজ, সুপারির বাগান, সবজি ও বিভিন্ন ধরনের খেত-খামারে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন তাঁরা। তাঁরা কাজের আশায় হাটে এসে নিজেকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করেন। অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থ, মহাজন, বর্গাচাষি, ঠিকাদার বা তাঁদের প্রতিনিধিরা ক্রেতা হিসেবে পছন্দের শ্রমিকদের দরদাম করে ঘণ্টা, দিন বা সাপ্তাহিক চুক্তিতে নেন।
হাটে কথা হয় ফকিরহাট এলাকার ধানচাষি মোস্তফা হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর আগে বাবার সঙ্গে এ হাটে আসতাম ‘জন’’ (শ্রমিক) নিতে। এখন নিজে কিনতে আসি। মাঠের ধান পেকে গেছে, ধান কাটার জন্য লোক দরকার। দরদামে বুনলে আটজন শ্রমিক পাঁচ দিনের জন্য কিনব।’ ‘
উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকা থেকে আসা সেলিম শেখ জানান, শ্রমের মূল্য বাড়ায় বর্গাচাষিরা পড়েছেন মহা বিপাকে। জমির হারি, চাষাবাদের খরচ এবং ফসল কাটার খরচ মিলিয়ে তাঁদের মতো বর্গাচাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সব খরচ মিটিয়ে ঘরে ফসল তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা থেকে কাজে আসা রমিজ মিয়া জানান, তাঁদের দলে ১২ জন লোক আছেন, জন প্রতি ৬০০ টাকা মজুরিতে গোপালগঞ্জের এক মহাজন তাঁদের কাজের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
রামপালের কুমলাই থেকে কাজ করতে আসা শংকর বিশ্বাস বলেন, দ্রব্যমূল্য যে পরিমাণ বেড়েছে সে তুলনায় মজুরি বাড়েনি। আগে ধান কাটার মৌসুমে অন্য সময়ের প্রায় দ্বিগুণ টাকায় শ্রমিক বিক্রি হতো। এখন ধান কাটার রিপার মেশিন বের হওয়ায় মজুরি কম পান।
রেলস্টেশনের মুদি দোকানি আব্দুর রহমান জানান, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এ মৌসুমে কিষানের হাটে শ্রমিকের সংখ্যা অনেক বেশি হয়। রবি ও বুধবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে শ্রমিকের ভিড়ে ফকিরহাট ডাকবাংলো মোড় থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
তিনিসহ আরও কয়েকজন দোকানি জানান, শ্রমিকদের জন্য এ সড়ক থেকে অনেক স্কুল ও কলেজপড়ুয়া ছাত্রীদের হাটের দিন যাতায়াতে অসুবিধা হয়। শ্রমিকদের এ হাটে কোনো ফাঁকা স্থানে বা ইউনিয়ন পরিষদে মাঠে স্থানান্তরের দাবি জানান তাঁরা।
ফকিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার কিসলু বলেন, ফকিরহাট বাজারে কিষানের হাটে কাজ না পাওয়া শ্রমিকদের রাতের বেলা থাকার জন্য তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দা ব্যবহার করতে বলেছেন। তবে এত বছর ধরে চলে আসা হাট স্থানান্তরের বিষয়ে হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।
ধান কাটা মৌসুম উপলক্ষে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ কিষানের হাট বসেছে বাগেরহাটের ফকিরহাট বাজারে। প্রায় অর্ধশত বছরের পুরোনো এ শ্রমিকের হাটে দেশের বিভিন্ন জেলার শ্রমজীবী মানুষ শ্রম বিক্রি করতে আসেন। ধান কাটা মৌসুমে কাজের সুযোগ বেশি বলে শ্রমিকের আগমনও বেশি। শ্রমিক, বর্গাচাষি, মহাজনদের উপস্থিতি ও দর–কষাকষিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে কিষানের হাট। কৃষাণের হাটের কারণে এখানকার চায়ের দোকান, বেকারি, হোটেল, পান-সিগারেটের দোকানগুলোতেও বেচাকেনা বেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, প্রতি রোববার ও বুধবার ফকিরহাট বাজারের পুরোনো রেলস্টেশন গলিতে এই কিষানের হাট বসে। এই দুদিন মানুষের ভিড়ে বাজারে ঢোকা দায়। মানুষের ভিড় সরু গলি ছাপিয়ে মূল সড়ক পর্যন্ত এসে পৌঁছায়। ১৮ বছরের যুবক থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ কাজের সন্ধানে এখানে এসেছে। বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ, নীলফামারী, জামালপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ি, বরগুনাসহ, বাগেরহাটের উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থান থেকে খেটে খাওয়া কয়েক হাজার মানুষ কাজের সন্ধানে এই হাটে আসেন।
দূর-দুরন্ত থেকে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকেরা হাটের ১ / ২ দিন আগে দল বেধে ফকিরহাটে এসে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, কাজি আজহার আলি কলেজের সাইকেল গ্যারেজ, হোস্টেলের বারান্দায় অবস্থান নিয়ে রাত্রি যাপন করেন। ভোরের আলো ফুটতেই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫০০ গজ দূরে পুরোনো রেলস্টেশনের সড়কে জমায়েত হতে থাকেন। তবে আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকেরা নসিমন, করিমন, ভটভটি, মাহেন্দ্র, লোকাল বাসে করে খুব ভোরে সমবেত হন এই কৃষাণের হাটে।
খেতের ধান কাটা, বীজতলা তৈরি, নিড়ানি, মাছের ঘের, মাটিকাটা, পানের বরজ, সুপারির বাগান, সবজি ও বিভিন্ন ধরনের খেত-খামারে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন তাঁরা। তাঁরা কাজের আশায় হাটে এসে নিজেকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করেন। অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থ, মহাজন, বর্গাচাষি, ঠিকাদার বা তাঁদের প্রতিনিধিরা ক্রেতা হিসেবে পছন্দের শ্রমিকদের দরদাম করে ঘণ্টা, দিন বা সাপ্তাহিক চুক্তিতে নেন।
হাটে কথা হয় ফকিরহাট এলাকার ধানচাষি মোস্তফা হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর আগে বাবার সঙ্গে এ হাটে আসতাম ‘জন’’ (শ্রমিক) নিতে। এখন নিজে কিনতে আসি। মাঠের ধান পেকে গেছে, ধান কাটার জন্য লোক দরকার। দরদামে বুনলে আটজন শ্রমিক পাঁচ দিনের জন্য কিনব।’ ‘
উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকা থেকে আসা সেলিম শেখ জানান, শ্রমের মূল্য বাড়ায় বর্গাচাষিরা পড়েছেন মহা বিপাকে। জমির হারি, চাষাবাদের খরচ এবং ফসল কাটার খরচ মিলিয়ে তাঁদের মতো বর্গাচাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সব খরচ মিটিয়ে ঘরে ফসল তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা থেকে কাজে আসা রমিজ মিয়া জানান, তাঁদের দলে ১২ জন লোক আছেন, জন প্রতি ৬০০ টাকা মজুরিতে গোপালগঞ্জের এক মহাজন তাঁদের কাজের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
রামপালের কুমলাই থেকে কাজ করতে আসা শংকর বিশ্বাস বলেন, দ্রব্যমূল্য যে পরিমাণ বেড়েছে সে তুলনায় মজুরি বাড়েনি। আগে ধান কাটার মৌসুমে অন্য সময়ের প্রায় দ্বিগুণ টাকায় শ্রমিক বিক্রি হতো। এখন ধান কাটার রিপার মেশিন বের হওয়ায় মজুরি কম পান।
রেলস্টেশনের মুদি দোকানি আব্দুর রহমান জানান, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এ মৌসুমে কিষানের হাটে শ্রমিকের সংখ্যা অনেক বেশি হয়। রবি ও বুধবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে শ্রমিকের ভিড়ে ফকিরহাট ডাকবাংলো মোড় থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
তিনিসহ আরও কয়েকজন দোকানি জানান, শ্রমিকদের জন্য এ সড়ক থেকে অনেক স্কুল ও কলেজপড়ুয়া ছাত্রীদের হাটের দিন যাতায়াতে অসুবিধা হয়। শ্রমিকদের এ হাটে কোনো ফাঁকা স্থানে বা ইউনিয়ন পরিষদে মাঠে স্থানান্তরের দাবি জানান তাঁরা।
ফকিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার কিসলু বলেন, ফকিরহাট বাজারে কিষানের হাটে কাজ না পাওয়া শ্রমিকদের রাতের বেলা থাকার জন্য তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দা ব্যবহার করতে বলেছেন। তবে এত বছর ধরে চলে আসা হাট স্থানান্তরের বিষয়ে হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪