সম্পাদকীয়
কোনো মাসকেই শোকের মাস হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়, কিন্তু কোনো কোনো দেশে এমন ঘটনা ঘটে, যা সে মাসটিকে রক্তাক্ত করে তোলে। আমাদের দেশের জন্য আগস্ট সে রকম একটি মাস। এ মাসটিতে হত্যা করা হয়েছিল স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তাঁর দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকায় রক্ষা পেয়েছেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের কেউই বাঁচতে পারেননি। অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, মায়ের কাছে যাওয়ার কথা বলায় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল মায়ের লাশের কাছে নিয়ে। এ রকম নৃশংস ঘটনা বাংলার ইতিহাসে নেই।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছিল। কিছুসংখ্যক বিভ্রান্ত সেনাসদস্যই শুধু এই ষড়যন্ত্র করেছে ভাবলে ভুল হবে। এটা ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই দলছুট ক্যাপ্টেন-মেজররা ছাড়াও সেনাবাহিনীর কেউ কেউ এ রকম একটি ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জানতেন। তাঁদেরই কেউ কেউ নীরব থেকে পরোক্ষভাবে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার পথকে মুক্ত করে দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সরাসরি বিরোধিতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ আরব রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। দেশে গড়ে উঠছিল বিপথগামী শক্তি। আওয়ামী লীগ দলের মধ্যেও গড়ে উঠছিল সুবিধাবাদী শ্রেণি। খাদ্য-রাজনীতির শিকার হয়ে দুর্ভিক্ষে পতিত হয় দেশ। দেশে যেন একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তার চেষ্টা করে গেছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারাই ঘটিয়েছে বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি।
এরপর বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। সংগ্রামের পথ ধরে তিনি ১৯৯৬ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। পরের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিল তাঁর দল। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ভাষণ দিচ্ছিলেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সেদিন তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে একের পর এক গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের সে সময়ের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নির্বংশ করার এই ষড়যন্ত্রে যারা যুক্ত ছিল, তারা ছিল তৎকালীন সরকার তথা বিএনপির নেতৃত্বস্থানীয়।
আগস্ট মাসেই এ রকম দুটো হৃদয়বিদারক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায় হয়েছে। ঘাতকদের কেউ কেউ সাজা পেয়েছে, কেউ কেউ রয়েছে সাজা কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায়।
শোকের এই মাসে বলতে হয়, সহিংসতা কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না। দেশের স্থপতিকে হত্যা করার মাধ্যমে মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতা যেভাবে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার মানসে যে ঠান্ডা মাথায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল, তা ক্ষমার অযোগ্য। আমাদের দেশে যেন এ ধরনের ষড়যন্ত্র আর না হয়, সেটাই আমাদের আরাধ্য।
কোনো মাসকেই শোকের মাস হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়, কিন্তু কোনো কোনো দেশে এমন ঘটনা ঘটে, যা সে মাসটিকে রক্তাক্ত করে তোলে। আমাদের দেশের জন্য আগস্ট সে রকম একটি মাস। এ মাসটিতে হত্যা করা হয়েছিল স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তাঁর দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকায় রক্ষা পেয়েছেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের কেউই বাঁচতে পারেননি। অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, মায়ের কাছে যাওয়ার কথা বলায় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল মায়ের লাশের কাছে নিয়ে। এ রকম নৃশংস ঘটনা বাংলার ইতিহাসে নেই।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছিল। কিছুসংখ্যক বিভ্রান্ত সেনাসদস্যই শুধু এই ষড়যন্ত্র করেছে ভাবলে ভুল হবে। এটা ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই দলছুট ক্যাপ্টেন-মেজররা ছাড়াও সেনাবাহিনীর কেউ কেউ এ রকম একটি ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জানতেন। তাঁদেরই কেউ কেউ নীরব থেকে পরোক্ষভাবে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার পথকে মুক্ত করে দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সরাসরি বিরোধিতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ আরব রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। দেশে গড়ে উঠছিল বিপথগামী শক্তি। আওয়ামী লীগ দলের মধ্যেও গড়ে উঠছিল সুবিধাবাদী শ্রেণি। খাদ্য-রাজনীতির শিকার হয়ে দুর্ভিক্ষে পতিত হয় দেশ। দেশে যেন একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তার চেষ্টা করে গেছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারাই ঘটিয়েছে বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি।
এরপর বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। সংগ্রামের পথ ধরে তিনি ১৯৯৬ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। পরের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিল তাঁর দল। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ভাষণ দিচ্ছিলেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সেদিন তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে একের পর এক গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের সে সময়ের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নির্বংশ করার এই ষড়যন্ত্রে যারা যুক্ত ছিল, তারা ছিল তৎকালীন সরকার তথা বিএনপির নেতৃত্বস্থানীয়।
আগস্ট মাসেই এ রকম দুটো হৃদয়বিদারক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায় হয়েছে। ঘাতকদের কেউ কেউ সাজা পেয়েছে, কেউ কেউ রয়েছে সাজা কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায়।
শোকের এই মাসে বলতে হয়, সহিংসতা কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না। দেশের স্থপতিকে হত্যা করার মাধ্যমে মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতা যেভাবে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার মানসে যে ঠান্ডা মাথায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল, তা ক্ষমার অযোগ্য। আমাদের দেশে যেন এ ধরনের ষড়যন্ত্র আর না হয়, সেটাই আমাদের আরাধ্য।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪