আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পানি বাড়ার ফলে শাহজাদপুর ও চৌহালীতে আবারও শুরু হয়েছে নদীভাঙন। ধসে গেছে রাউতারা বাঁধসহ অন্তত ১৫টি বসতভিটা। এ ছাড়া ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ জমি।
এদিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মাঝারি বন্যা চলছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার পরিবার। বন্যাকবলিত এসব এলাকার ৫০০ পরিবারের লোকজন আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে। এতে বিশুদ্ধ পানি, পয়োনিষ্কাশন ও খাবার সংকটে আছে সেখানকার মানুষ।
সিরাজগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শনিবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে পানি বাড়ায় গত শনিবার বিকেলে শাহজাদপুর উপজেলার আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাউতারা বাঁধ ধসে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে গোচারণ ভূমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। একই সঙ্গে উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের পাচিলে চলছে তীব্র নদীভাঙন। এ ছাড়া চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের নদীভাঙন অব্যাহত আছে। গত শনিবার সকাল থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত এ দুটি এলাকার অন্তত ১৫টি বসতভিটা ধসে পড়াসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ডুবে গেছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, বন্যার্তদের জন্য ইতিমধ্যেই ৯১১ মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো বিতরণের জন্য নিজ নিজ এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে আরও ৩ দিন। চৌহালী ও শাহজাদপুরে ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা গেজ রিডার পরশুরাম জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উপজেলার ৮৭ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামে বাস করত ৬ হাজার ১২০ পরিবার।
পানি উঠেছে ৯৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তলিয়ে গেছে ২০ হাজার নলকূপ।উপজেলা কৃষি কার্যালয়েরর তথ্যমতে, উপজেলার ৭২৬ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। এর মধ্যে পাট ৫৫০ হেক্টর, আউশ ১৭০, ভুট্টা ২ এবং সবজি ৪ হেক্টর।
উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত ৮৭টি গ্রামের মধ্যে রয়েছে হাটশেরপুরের ১২টি, চালুয়াবাড়ীর ১২টি, কাজলার ১১টি, কর্ণিবাড়ীর ১২টি, বোহাইলের ১২টি, কামালপুরের ৪টি, চন্দনবাইশার ৭টি, কুতুবপুরের ৪টি, সারিয়াকান্দি সদরের ৯টি এবং সারিয়াকান্দি পৌরসভার ৪টি। বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেওয়া উপজেলার কুতুবপুর ইউপির মোশারফ হোসেন জানান, প্রতিবছর বন্যার সময় তাঁরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন। এখন পর্যন্ত তাঁরা কোনো ত্রাণ ও সহযোগিতা পাননি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের বিশুদ্ধ পানি এবং ত্রাণসহায়তা দিতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, উপজেলায় মাঝারি বন্যা বইছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি দু-তিন দিন অব্যাহত থাকবে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পানি বাড়ার ফলে শাহজাদপুর ও চৌহালীতে আবারও শুরু হয়েছে নদীভাঙন। ধসে গেছে রাউতারা বাঁধসহ অন্তত ১৫টি বসতভিটা। এ ছাড়া ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ জমি।
এদিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মাঝারি বন্যা চলছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার পরিবার। বন্যাকবলিত এসব এলাকার ৫০০ পরিবারের লোকজন আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে। এতে বিশুদ্ধ পানি, পয়োনিষ্কাশন ও খাবার সংকটে আছে সেখানকার মানুষ।
সিরাজগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শনিবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে পানি বাড়ায় গত শনিবার বিকেলে শাহজাদপুর উপজেলার আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাউতারা বাঁধ ধসে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে গোচারণ ভূমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। একই সঙ্গে উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের পাচিলে চলছে তীব্র নদীভাঙন। এ ছাড়া চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের নদীভাঙন অব্যাহত আছে। গত শনিবার সকাল থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত এ দুটি এলাকার অন্তত ১৫টি বসতভিটা ধসে পড়াসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ডুবে গেছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, বন্যার্তদের জন্য ইতিমধ্যেই ৯১১ মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো বিতরণের জন্য নিজ নিজ এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে আরও ৩ দিন। চৌহালী ও শাহজাদপুরে ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে সারিয়াকান্দিতে দায়িত্বে থাকা গেজ রিডার পরশুরাম জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উপজেলার ৮৭ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামে বাস করত ৬ হাজার ১২০ পরিবার।
পানি উঠেছে ৯৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তলিয়ে গেছে ২০ হাজার নলকূপ।উপজেলা কৃষি কার্যালয়েরর তথ্যমতে, উপজেলার ৭২৬ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। এর মধ্যে পাট ৫৫০ হেক্টর, আউশ ১৭০, ভুট্টা ২ এবং সবজি ৪ হেক্টর।
উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত ৮৭টি গ্রামের মধ্যে রয়েছে হাটশেরপুরের ১২টি, চালুয়াবাড়ীর ১২টি, কাজলার ১১টি, কর্ণিবাড়ীর ১২টি, বোহাইলের ১২টি, কামালপুরের ৪টি, চন্দনবাইশার ৭টি, কুতুবপুরের ৪টি, সারিয়াকান্দি সদরের ৯টি এবং সারিয়াকান্দি পৌরসভার ৪টি। বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেওয়া উপজেলার কুতুবপুর ইউপির মোশারফ হোসেন জানান, প্রতিবছর বন্যার সময় তাঁরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন। এখন পর্যন্ত তাঁরা কোনো ত্রাণ ও সহযোগিতা পাননি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের বিশুদ্ধ পানি এবং ত্রাণসহায়তা দিতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, উপজেলায় মাঝারি বন্যা বইছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি দু-তিন দিন অব্যাহত থাকবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪