অরূপ রায়, সাভার
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দীঘি মৌজায় ৯১ শতাংশ জমি ছিল রতন চন্দ্র সাহার। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩০০ নম্বর খতিয়ানের ৬৭৪ নম্বর দাগের এই জমি নাল (নিচু সমতল কৃষিজমি) শ্রেণিভুক্ত। এই জমির ৮৩ শতাংশ ‘ট্রমা সেন্টার ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ’ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণের সময় বদলে গেছে শ্রেণি। ৫০ শতাংশ হয়ে গেছে ভিটি (উঁচু জমি) শ্রেণির এবং ৩৩ শতাংশ চালা বা ডোবা শ্রেণির। ফলে বেড়ে গেছে দামও।
অভিযোগ রয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা ২ হাজার শতাংশ (২০ একর) জমির মধ্যে ২০৭ শতাংশ জমির শ্রেণিতে গরমিল করা হয়েছে। এতে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা; যা গেছে অধিগ্রহণে জড়িত সার্ভেয়ারসহ অন্যদের পকেটে। এ ছাড়া জমির দাম বাজারদরের চেয়ে বেশি দেখানোর এবং ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও আছে।
মানিকগঞ্জ জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দাবি, বাস্তবতার আলোকে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকও বলেছেন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন নিয়ম মেনে করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্যে দেখা যায়, ‘ট্রমা সেন্টার ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ’ প্রকল্পের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সদর উপজেলার দীঘি মৌজার ২ হাজার শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এটি বর্তমানে ‘কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’। কর্নেল মালেক ছিলেন সদ্য সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী এবং বর্তমানে মানিকগঞ্জ-৩ (সদর-সাটুরিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের বাবা। তাঁর বাড়ি ওই এলাকায়।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় মোট খরচ হয়েছে ৩৪ কোটি ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৩ টাকা ১৬ পয়সা। এর মধ্যে জমির মূল্য ২১ কোটি ৬৮ লাখ ৫২ হাজার ৬ টাকা ২৬ পয়সা। অবকাঠামোর মূল্য বাবদ খরচ ৪৬ লাখ ৩২ হাজার ৪৫ টাকা, ব্যবসার মূল্য ৪৮ হাজার টাকা, গাছপালার মূল্য ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৯ টাকা ৫০ পয়সা, ফসলের মূল্য দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৮ হাজার টাকা। শতকরা ৫০ টাকা হারে জমির অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ বাবদ খরচ আরও ১১ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ২০০ টাকা ৩৮ পয়সা এবং শতকরা ২ টাকা হারে প্রশাসনিক খরচ হয়েছে ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৭২ টাকা ২ পয়সা। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে হাসপাতালের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় শ্রেণি পরিবর্তনের অসংগতি পাওয়া গেছে।
অধিগ্রহণ করা জমির ৮৩ শতাংশের মালিক ছিলেন মানিকগঞ্জ শহরের গড়পাড়া বস্ত্রালয়ের মালিক রতন চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, দীঘি মৌজায় তাঁর ওই ৯১ শতাংশ জমিই বাস্তবে ছিল নাল শ্রেণির। সেখানে ধান চাষ করতেন। ২০১৪ সালে সেখান থেকে ৮৩ শতাংশ জমি ‘ট্রমা সেন্টার ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ’ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৩৩ শতাংশের দাম পেয়েছেন শতাংশপ্রতি দেড় লাখ টাকার কিছু বেশি। ৫০ শতাংশের দাম পেয়েছেন শতাংশপ্রতি ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে সরবরাহ করা তথ্যে দেখা যায়, রতন সাহার জমির ৫০ শতাংশকে ভিটি শ্রেণির দেখিয়ে প্রতি শতাংশের মূল্য পরিশোধ দেখানো হয়েছে ৩ লাখ টাকা। বাকি ৩৩ শতাংশকে চালা বা ডোবা শ্রেণি দেখিয়ে প্রতি শতাংশের মূল্য পরিশোধ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকা। তবে ওই বছর প্রতি শতাংশ ভিটি শ্রেণির জমির সরকার-নির্ধারিত বাজারদর ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা। আর চালা বা ডোবা শ্রেণির প্রতি শতাংশের দর ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা। ওই সময়ে জমির বাজারদরও তথ্য অধিকার আইনে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আবেদন করে পাওয়া।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রতন সাহার ৮৩ শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের কারণে তা অধিগ্রহণে সরকারি কোষাগারের ১ কোটি ৪১ লাখ ৭ হাজার ১৮ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। অন্য মালিকদের ১২৪ শতাংশ নাল জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ৮৯ শতাংশকে ভিটি এবং ৩৫ শতাংশকে চালা বা ডোবা শ্রেণির জমি দেখানো হয়েছে। এভাবে শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে ২০৭ শতাংশ জমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।
ওই মেডিকেল কলেজের পাশের গ্রাম চানদরার আবদুল হালিম বলেন, মেডিকেল কলেজের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অধিগ্রহণ শাখার তৎকালীন সার্ভেয়ার বাবুল আক্তারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে তাঁদের ঘুষ দিতে হয়েছে। আবার অনেক জমির মালিক ঘুষের বিনিময়ে নিজেরাও লাভবান হয়েছেন।
কয়েকজন জানান, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করায় দাম বেড়েছে। এতে মালিকদের পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণ শাখার লোকজনও লাভবান হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকার।
ওই মেডিকেল কলেজের পাশের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমাগো ১০ শতাংশ জমি মেডিকেল কলেজের মধ্যে পড়ছে। নাল শ্রেণির হেই জমিতে আগে ধান চাষ করতাম। পরে একটু মাটি ফালাইয়া বাঁশঝাড় করছিলাম। সার্ভেয়ার বাবুল আক্তারের মাধ্যমে তা ভিটি শ্রেণি দেহাইয়া দিছি।’
অভিযোগের বিষয়ে সার্ভেয়ার বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলতে গতকাল রোববার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অধিগ্রহণ শাখায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই শাখার কর্মকর্তারা জানান, বাবুল আক্তারসহ মেডিকেল কলেজের জমি অধিগ্রহণের সময় কর্মরত কেউ এখন মানিকগঞ্জে নেই। তাঁদের বর্তমান কর্মস্থলও জানাতে পারেননি তাঁরা।
জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখা বলেছে, বাস্তবতার আলোকে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে। শ্রেণি পরিবর্তন করা জমির মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত বাজারদর নয়, নিয়ম অনুযায়ী ওই এলাকার কয়েক বছরের জমি বেচাকেনার মূল্য অনুসরণ করে শতাংশপ্রতি দর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
অধিগ্রহণের সময় জমির শ্রেণি পরিবর্তনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা রেজওয়ানা কবির পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলার।
গতকাল মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়ম মেনে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে।শ্রেণি পরিবর্তনের পর নিয়ম অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা জমির মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দীঘি মৌজায় ৯১ শতাংশ জমি ছিল রতন চন্দ্র সাহার। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩০০ নম্বর খতিয়ানের ৬৭৪ নম্বর দাগের এই জমি নাল (নিচু সমতল কৃষিজমি) শ্রেণিভুক্ত। এই জমির ৮৩ শতাংশ ‘ট্রমা সেন্টার ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ’ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণের সময় বদলে গেছে শ্রেণি। ৫০ শতাংশ হয়ে গেছে ভিটি (উঁচু জমি) শ্রেণির এবং ৩৩ শতাংশ চালা বা ডোবা শ্রেণির। ফলে বেড়ে গেছে দামও।
অভিযোগ রয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা ২ হাজার শতাংশ (২০ একর) জমির মধ্যে ২০৭ শতাংশ জমির শ্রেণিতে গরমিল করা হয়েছে। এতে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা; যা গেছে অধিগ্রহণে জড়িত সার্ভেয়ারসহ অন্যদের পকেটে। এ ছাড়া জমির দাম বাজারদরের চেয়ে বেশি দেখানোর এবং ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও আছে।
মানিকগঞ্জ জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দাবি, বাস্তবতার আলোকে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকও বলেছেন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন নিয়ম মেনে করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্যে দেখা যায়, ‘ট্রমা সেন্টার ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ’ প্রকল্পের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সদর উপজেলার দীঘি মৌজার ২ হাজার শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এটি বর্তমানে ‘কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’। কর্নেল মালেক ছিলেন সদ্য সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী এবং বর্তমানে মানিকগঞ্জ-৩ (সদর-সাটুরিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের বাবা। তাঁর বাড়ি ওই এলাকায়।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় মোট খরচ হয়েছে ৩৪ কোটি ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৩ টাকা ১৬ পয়সা। এর মধ্যে জমির মূল্য ২১ কোটি ৬৮ লাখ ৫২ হাজার ৬ টাকা ২৬ পয়সা। অবকাঠামোর মূল্য বাবদ খরচ ৪৬ লাখ ৩২ হাজার ৪৫ টাকা, ব্যবসার মূল্য ৪৮ হাজার টাকা, গাছপালার মূল্য ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৯ টাকা ৫০ পয়সা, ফসলের মূল্য দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৮ হাজার টাকা। শতকরা ৫০ টাকা হারে জমির অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ বাবদ খরচ আরও ১১ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ২০০ টাকা ৩৮ পয়সা এবং শতকরা ২ টাকা হারে প্রশাসনিক খরচ হয়েছে ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৭২ টাকা ২ পয়সা। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে হাসপাতালের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় শ্রেণি পরিবর্তনের অসংগতি পাওয়া গেছে।
অধিগ্রহণ করা জমির ৮৩ শতাংশের মালিক ছিলেন মানিকগঞ্জ শহরের গড়পাড়া বস্ত্রালয়ের মালিক রতন চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, দীঘি মৌজায় তাঁর ওই ৯১ শতাংশ জমিই বাস্তবে ছিল নাল শ্রেণির। সেখানে ধান চাষ করতেন। ২০১৪ সালে সেখান থেকে ৮৩ শতাংশ জমি ‘ট্রমা সেন্টার ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ’ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৩৩ শতাংশের দাম পেয়েছেন শতাংশপ্রতি দেড় লাখ টাকার কিছু বেশি। ৫০ শতাংশের দাম পেয়েছেন শতাংশপ্রতি ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে সরবরাহ করা তথ্যে দেখা যায়, রতন সাহার জমির ৫০ শতাংশকে ভিটি শ্রেণির দেখিয়ে প্রতি শতাংশের মূল্য পরিশোধ দেখানো হয়েছে ৩ লাখ টাকা। বাকি ৩৩ শতাংশকে চালা বা ডোবা শ্রেণি দেখিয়ে প্রতি শতাংশের মূল্য পরিশোধ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকা। তবে ওই বছর প্রতি শতাংশ ভিটি শ্রেণির জমির সরকার-নির্ধারিত বাজারদর ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা। আর চালা বা ডোবা শ্রেণির প্রতি শতাংশের দর ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা। ওই সময়ে জমির বাজারদরও তথ্য অধিকার আইনে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আবেদন করে পাওয়া।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রতন সাহার ৮৩ শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের কারণে তা অধিগ্রহণে সরকারি কোষাগারের ১ কোটি ৪১ লাখ ৭ হাজার ১৮ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। অন্য মালিকদের ১২৪ শতাংশ নাল জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ৮৯ শতাংশকে ভিটি এবং ৩৫ শতাংশকে চালা বা ডোবা শ্রেণির জমি দেখানো হয়েছে। এভাবে শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে ২০৭ শতাংশ জমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।
ওই মেডিকেল কলেজের পাশের গ্রাম চানদরার আবদুল হালিম বলেন, মেডিকেল কলেজের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অধিগ্রহণ শাখার তৎকালীন সার্ভেয়ার বাবুল আক্তারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে তাঁদের ঘুষ দিতে হয়েছে। আবার অনেক জমির মালিক ঘুষের বিনিময়ে নিজেরাও লাভবান হয়েছেন।
কয়েকজন জানান, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করায় দাম বেড়েছে। এতে মালিকদের পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণ শাখার লোকজনও লাভবান হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকার।
ওই মেডিকেল কলেজের পাশের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমাগো ১০ শতাংশ জমি মেডিকেল কলেজের মধ্যে পড়ছে। নাল শ্রেণির হেই জমিতে আগে ধান চাষ করতাম। পরে একটু মাটি ফালাইয়া বাঁশঝাড় করছিলাম। সার্ভেয়ার বাবুল আক্তারের মাধ্যমে তা ভিটি শ্রেণি দেহাইয়া দিছি।’
অভিযোগের বিষয়ে সার্ভেয়ার বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলতে গতকাল রোববার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অধিগ্রহণ শাখায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই শাখার কর্মকর্তারা জানান, বাবুল আক্তারসহ মেডিকেল কলেজের জমি অধিগ্রহণের সময় কর্মরত কেউ এখন মানিকগঞ্জে নেই। তাঁদের বর্তমান কর্মস্থলও জানাতে পারেননি তাঁরা।
জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখা বলেছে, বাস্তবতার আলোকে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে। শ্রেণি পরিবর্তন করা জমির মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত বাজারদর নয়, নিয়ম অনুযায়ী ওই এলাকার কয়েক বছরের জমি বেচাকেনার মূল্য অনুসরণ করে শতাংশপ্রতি দর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
অধিগ্রহণের সময় জমির শ্রেণি পরিবর্তনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা রেজওয়ানা কবির পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলার।
গতকাল মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়ম মেনে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে।শ্রেণি পরিবর্তনের পর নিয়ম অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা জমির মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪