Ajker Patrika

কারচুপির অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর

নড়িয়া (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১১: ১৯
Thumbnail image

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আসমা আক্তার। গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আসমা আক্তার বলেন, ‘১১ নভেম্বর আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়। বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (আনারস) ও তাঁর সমর্থকেরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভোট কারচুপি করেন। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর নৌকার সমর্থকদের মারধরসহ ঘর, দোকান বন্ধ করে দেন আনারস প্রতীকের সমর্থকেরা। তাঁরা আমার লোকদের কাছে চাঁদা দাবি করছেন। কিন্তু পুলিশ কাউকে আটক করছে না।’

তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে নৌকার প্রচার ক্লাব ভাঙচুর, আমার সমর্থকদের মারধর করেন তাঁরা। আনোয়ার ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছি। কিন্তু মামলার আসামিরা নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের সামনে দিব্বি ঘুরে বেড়ান। পুলিশ তাঁদের কিছু বলে না, উল্টো আমার লোকদের ধাওয়া করে।’

তিনি বলেন, ‘আনারস প্রতীকের লোকেদের শটগান হাতে নিয়ে মহড়া দেওয়ার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে, পুলিশ মামলা নেয়নি। নির্বাচনের দিন আনোয়ারের লোকজন অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে আমাদের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখান। বেলা ১১টার পর পুলিশ নৌকার ব্যাচ পরা কাউকে দেখলেই কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এই নির্বাচন আমি মানি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহযোগিতা চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আসমা আক্তার আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। আমার লোকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছেন। কিন্তু জনগণকে কখনো দাবিয়ে রাখা যায় না জনগণের রায় বাস্তবায়ন হয়েছে। আমি জনগণের রায়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।’

পালং থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ‘আসমার অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। আমরা তাঁর মামলা নিয়েছি। তিনি কোনো অভিযোগ করতে এলে অবশ্যই নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত