Ajker Patrika

রোহিঙ্গা শিবিরে খুন আগুন ও অস্থিরতা

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৫০
রোহিঙ্গা শিবিরে খুন আগুন ও অস্থিরতা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪ শরণার্থী শিবিরে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার বসবাস। এসব শিবিরে এ বছরের বিভিন্ন সময়ে স্বদেশে প্রত্যাবাসন, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত রোহিঙ্গাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা গত ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়া উপজেলার কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকায় সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপেএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন।

সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, ‘রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকায় জনপ্রিয় ছিলেন মুহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তিনি কাজ করছিলেন। এ জন্য প্রত্যাবাসনবিরোধীরা তাঁর হত্যার পেছনে জড়িত।’

২০১৯ সালের ১৭ জুলাই রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে হোয়াইট হাউসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন মুহিবুল্লাহ। এর আগে তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন।

একই বছরের ২৫ আগস্ট উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ফুটবল মাঠে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা গণহত্যাবিরোধী যে মহাসমাবেশ হয়েছিল, তা সংগঠিত করেছিলেন মুহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গাদের কাছে তিনি ‘মাস্টার মুহিবুল্লাহ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পর ২৩ অক্টোবর উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের একটি মাদ্রাসায় সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলায় ছয় রোহিঙ্গা নিহত হন।

এ ছাড়া এ বছরের ২৩ মার্চ উখিয়ার কুতুপালং চারটি রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে ১০ হাজার বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছিল। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে অন্তত ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা। আগুনে পুড়ে ১১ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়।

মুহিবুল্লাহ ও ছয় রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ফলে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানান রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত