Ajker Patrika

স্টেশন মাস্টার নেই, বন্ধ কার্যক্রম

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
স্টেশন মাস্টার নেই, বন্ধ কার্যক্রম

স্টেশন মাস্টার না থাকায় তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লংলা রেলস্টেশন। ওই স্টেশন মাস্টারকে সিলেটের মোগলাবাজার স্টেশনে বদলি করায় স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

ফলে সিলেট-ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী আন্তনগর ট্রেনগুলোকে ক্রসিং বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

কুলাউড়া রেলওয়ে সূত্রে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনে কুলাউড়া স্টেশনের প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরত্বে লংলা স্টেশন অবস্থিত। সেখান থেকে আরও ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে শমসেরনগর স্টেশন। প্রতিদিন এ রুটে চলাচলকারী আন্তনগর ট্রেনগুলোর চারটি ট্রেনের ও লোকাল মেইল ট্রেন এবং পণ্যবাহী ক্রসিংয়ের জন্য লংলা স্টেশনকে ব্যবহার করা হতো। গত তিন মাস আগে এই স্টেশন মাস্টার রজত রায়কে সিলেটের মোগলাবাজার স্টেশনে বদলি করে দেওয়ায় এখানকার সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে লংলা স্টেশনে ট্রেনের ক্রসিং বন্ধ রয়েছে। কুলাউড়া ও শমসেরনগর স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। ক্রসিংয়ের জন্য আন্তনগর ট্রেন প্রায় আধা ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করতে হয়।

কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মুহিব উদ্দিন আহমদ জানান, লংলা স্টেশন বন্ধ থাকায় বিশেষ করে দুপুরে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা, ঢাকাগামী জয়ন্তিকা, সিলেটগামী পারাবত ও বিকেলে ঢাকাগামী পারাবত ও সিলেটগামী জয়ন্তিকা ট্রেনের ক্রসিং বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কুলাউড়া ও শমসেরনগরে ট্রেন যাত্রা বিরতি রেখে ক্রসিং করতে হয়। এই দুই স্টেশনের মধ্যবর্তী দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। যার জন্য এ সব ট্রেনের সময় প্রায় আধা ঘণ্টা বিলম্ব হচ্ছে। লংলা স্টেশন থাকলে এ বিলম্ব হতো না।  

সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের পরিবহন পরিদর্শক (টিআইসি) তৌফিকুল আজিম বলেন, লংলা স্টেশন বন্ধ থাকায় আন্তনগর ট্রেনগুলো ক্রসিং বিড়ম্বনায় পড়ে বিলম্ব হচ্ছে। সিলেট-আখাউড়া সেকশনের অনেক স্টেশন মাস্টারের অভাবে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। নতুন স্টেশন মাস্টার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। নিয়োগ শেষে ট্রেনিং দেওয়া হবে স্টেশন মাস্টারদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত