সম্পাদকীয়
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের দায়িত্ব নেয়। শিক্ষার্থীদের দাবি হচ্ছে, রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। আমরাও চাই, সর্বব্যাপী সংস্কার করা হোক। আওয়ামী সরকারের পতনের পর তাদের নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তিরা পদত্যাগ করেছেন। রোববার দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই এখনো প্রশাসনিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে লোক নিয়োগ দেওয়া ছাড়া কীভাবে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো?
এখন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জমে থাকা ক্ষত ও ময়লা পরিষ্কার করার।
আমরা জানি, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত দুই ধরনের আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। এক. ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রচিত ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ আইনের মাধ্যমে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। দুই. ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রধান চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কমিশনের সুপারিশের আলোকে যোগ্য শিক্ষকদের একটি পুল গঠন করে উপাচার্যসহ অন্যান্য পদে নিয়োগের প্রস্তাব করেছিল ইউজিসি।
কিন্তু উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও অন্যান্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিবেচনার বিষয়টি অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়ায় নব্বইয়ের দশকের পর থেকে এবং ক্রমে সেটি প্রকট আকার ধারণ করে। নব্বইয়ের পর বিএনপি, আওয়ামী লীগ কোনো দলই বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদশের কোনো তোয়াক্কা না করে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দিয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও প্রক্টর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে সব সময় দলীয় বিবেচনায় কাজ করেছেন। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনেক সময় অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেমন ২০০২ সালের ২৩ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলে ঢুকে পুলিশ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ছাত্রীদের ওপর নির্যাতন চালায়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এই হামলায় বহু ছাত্রী আহত হন।
পরদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন উপাচার্য, প্রক্টর ও হলের প্রাধ্যক্ষরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একইভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উপাচার্য, প্রক্টর দলীয় ভূমিকা পালন করে তাঁদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
এ ধরনের ঘটনার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয় যে দলীয় বিবেচনায় উপাচার্যসহ প্রশাসনিক পদের ব্যক্তিরা কখনোই তাঁদের হতে পারেন না।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবি হচ্ছে, প্রশাসনিক পদে দলীয় বিবেচনায় আর নিয়োগ দেওয়া যাবে না। পুরো ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে।
সেই সুবর্ণ সুযোগটা কিন্তু আমাদের সামনে। এখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারে হাত দেওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। আর এ কাজটা অন্তর্বর্তী সরকারকেই করতে হবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোর নিয়োগব্যবস্থাকে সংস্কার করা উচিত। সরকার বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগে তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আর কোনো মনোনীত চর্চা দেখতে চাই না।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের দায়িত্ব নেয়। শিক্ষার্থীদের দাবি হচ্ছে, রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। আমরাও চাই, সর্বব্যাপী সংস্কার করা হোক। আওয়ামী সরকারের পতনের পর তাদের নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তিরা পদত্যাগ করেছেন। রোববার দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই এখনো প্রশাসনিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে লোক নিয়োগ দেওয়া ছাড়া কীভাবে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো?
এখন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জমে থাকা ক্ষত ও ময়লা পরিষ্কার করার।
আমরা জানি, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত দুই ধরনের আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। এক. ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রচিত ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ আইনের মাধ্যমে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। দুই. ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রধান চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কমিশনের সুপারিশের আলোকে যোগ্য শিক্ষকদের একটি পুল গঠন করে উপাচার্যসহ অন্যান্য পদে নিয়োগের প্রস্তাব করেছিল ইউজিসি।
কিন্তু উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও অন্যান্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিবেচনার বিষয়টি অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়ায় নব্বইয়ের দশকের পর থেকে এবং ক্রমে সেটি প্রকট আকার ধারণ করে। নব্বইয়ের পর বিএনপি, আওয়ামী লীগ কোনো দলই বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদশের কোনো তোয়াক্কা না করে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দিয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও প্রক্টর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে সব সময় দলীয় বিবেচনায় কাজ করেছেন। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনেক সময় অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেমন ২০০২ সালের ২৩ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলে ঢুকে পুলিশ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ছাত্রীদের ওপর নির্যাতন চালায়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এই হামলায় বহু ছাত্রী আহত হন।
পরদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন উপাচার্য, প্রক্টর ও হলের প্রাধ্যক্ষরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একইভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উপাচার্য, প্রক্টর দলীয় ভূমিকা পালন করে তাঁদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
এ ধরনের ঘটনার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয় যে দলীয় বিবেচনায় উপাচার্যসহ প্রশাসনিক পদের ব্যক্তিরা কখনোই তাঁদের হতে পারেন না।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবি হচ্ছে, প্রশাসনিক পদে দলীয় বিবেচনায় আর নিয়োগ দেওয়া যাবে না। পুরো ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে।
সেই সুবর্ণ সুযোগটা কিন্তু আমাদের সামনে। এখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারে হাত দেওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। আর এ কাজটা অন্তর্বর্তী সরকারকেই করতে হবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোর নিয়োগব্যবস্থাকে সংস্কার করা উচিত। সরকার বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগে তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আর কোনো মনোনীত চর্চা দেখতে চাই না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪