বরগুনা প্রতিনিধি
‘পেরতেক ঈদে আব্বায় ঢাকাইদ্দা মোগো তিনও ভাইবুইনের জন্য নতুন জামাকাফুর কিন্না লইয়া বাড়তে আইত, এইবার ঈদ আইয়া পড়ছে, মোর আব্বায় আর বাড়তে আয় না। ছোড ভাইডায় কয়, আফা আব্বায় বাড়ি আইবে না? মোগো জামাকাফুর কিন্না দেবে কেডা। মুই কি উত্তর দিমু, মোগো এহন তিনভাইবুইনের ভাতই জোডেনা, ঈদ করমু কিদ্দা।’ বলেই কান্না শুরু করেন হাফসা।
বরগুনা সদর উপজেলা বুড়িরচর ইউনিয়নের হাকিম শরীফ, তাঁর স্ত্রী পাখী বেগম ও শিশুসন্তান নাসরুল্লাহ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন। হাকিম শরীফের তিন সন্তান হাফসা বেগম (১৮) সুমাইয়া আক্তার (১৪) ও ফজলুল হক (১০) এখন অভিভাবকহীন। তাদের দেখার কেউ নেই। ঈদের খুশি তো দূরে থাক, বাবা, মা ও ছোটভাই তিনজনকে হারিয়ে দিশেহারা এখন নিখোঁজ হাকিম শরীফের তিন সন্তান। হাফসা বলেন, মোর বাপ মা ভাইর লাশটারও কোনো খোঁজ এহনো পাইলাম না।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার চার মাস পর এসেছে খুশীর ঈদ। নিখোঁজদের পরিবারে ঈদের আনন্দের বদলে এখনও স্বজন হারানোর বিষাদ ছুঁয়ে আছে। শোক কাটেনি নিহতদের পরিবারের।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নে ছোট টেংরা গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে ফজিলা আক্তার পপির এখনো খোঁজ মেলেনি। পপির মেয়ে লামিয়া তার নানা আফজাল হোসেনের কাছে রয়েছেন এক মাস থেকে। আফজাল বলেন, প্রত্যেক ঈদে ওর মা ওর জন্য জামাকপড়, খেলনা নিয়া বাড়িতে আইস্যা ঈদ কইর্যা যায়। এইবার রোজার শুরু হইতেই নাতি জিগায়, নানু মোর মায় কি আর আইবেনা, মোওে ঈদের নতুন জামা গায়ে ঘুরাইতে নেবে না।
বরগুনা সদর উপজেলার মোল্লাহোরা গ্রামের সুমন সরদার লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী তাসলিমা (৩০), দুই মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫) ও সুমনা আক্তার (১২) এখনো নিখোঁজ। স্ত্রী সন্তানদের হারিয়ে পাগলপ্রায় সুমন এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি।
তালতলী উপজেলার ছোটবগী গ্রামের বাবুলের মা রেখা বেগম (৭০) ও দুই বছরের নাতি জুনায়েদের খোঁজ মেলেনি আর। দুই বছরের জুনায়েদ ও রেখা বেগমকে হারানোর শোক কাটাতে পারেননি বাবুল।
বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া গ্রামের উত্তম হালদাদের ছেলে কৃষ্ণ হালদারকে (১৪) ঢাকার উত্তরার একটি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত। কৃষ্ণ হালদার মা গীতা রানি ও ছোটভাই প্রত্যয়কে নিয়ে বামনার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর গীতা রানি প্রত্যয়কে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। তারা তীরে উঠতে সক্ষম হলেও কৃষ্ণ নিখোঁজ। কৃঞ্চ হালদারের সন্ধান তারা এখনও পাননি।
বরগুনা জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, সুগন্ধা ট্র্যাজেডিতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫০ জন। এর মধ্যে ২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৪১ জনের লাশ উদ্ধার হয় ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ছয়জন মারা যান। জানুয়ারির ২ ও ৩ তারিখে ঢাকায় চিকিৎসাধীন দগ্ধ দুজন ও সর্বশেষ ২১ জানুয়ারির শেষ ও ফেব্রয়ারী মাসের শুরুতে এক নারী ও তার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতদের মধ্যে শনাক্ত না হওয়ায় ২৩ জনকে বরগুনায় ও একজনকে ঝালকাঠিসহ মোট ২৪ জনকে দাফন করে জেলা প্রশাসন। বাকি ২৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনেরা।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, শনাক্ত হওয়া মরদেহের স্বজনদের আমরা প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার করে টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। আমরা ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা পেলেই ঠিক কতজন নিখোঁজ আছেন, এটা শনাক্ত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করতে পারব। এরপর ‘সোশ্যাল সেফটি নেটের আওতায়’ বিশেষভাবে তাঁদের সহায়তার আওতায় আনা হবে।
‘পেরতেক ঈদে আব্বায় ঢাকাইদ্দা মোগো তিনও ভাইবুইনের জন্য নতুন জামাকাফুর কিন্না লইয়া বাড়তে আইত, এইবার ঈদ আইয়া পড়ছে, মোর আব্বায় আর বাড়তে আয় না। ছোড ভাইডায় কয়, আফা আব্বায় বাড়ি আইবে না? মোগো জামাকাফুর কিন্না দেবে কেডা। মুই কি উত্তর দিমু, মোগো এহন তিনভাইবুইনের ভাতই জোডেনা, ঈদ করমু কিদ্দা।’ বলেই কান্না শুরু করেন হাফসা।
বরগুনা সদর উপজেলা বুড়িরচর ইউনিয়নের হাকিম শরীফ, তাঁর স্ত্রী পাখী বেগম ও শিশুসন্তান নাসরুল্লাহ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন। হাকিম শরীফের তিন সন্তান হাফসা বেগম (১৮) সুমাইয়া আক্তার (১৪) ও ফজলুল হক (১০) এখন অভিভাবকহীন। তাদের দেখার কেউ নেই। ঈদের খুশি তো দূরে থাক, বাবা, মা ও ছোটভাই তিনজনকে হারিয়ে দিশেহারা এখন নিখোঁজ হাকিম শরীফের তিন সন্তান। হাফসা বলেন, মোর বাপ মা ভাইর লাশটারও কোনো খোঁজ এহনো পাইলাম না।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার চার মাস পর এসেছে খুশীর ঈদ। নিখোঁজদের পরিবারে ঈদের আনন্দের বদলে এখনও স্বজন হারানোর বিষাদ ছুঁয়ে আছে। শোক কাটেনি নিহতদের পরিবারের।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নে ছোট টেংরা গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে ফজিলা আক্তার পপির এখনো খোঁজ মেলেনি। পপির মেয়ে লামিয়া তার নানা আফজাল হোসেনের কাছে রয়েছেন এক মাস থেকে। আফজাল বলেন, প্রত্যেক ঈদে ওর মা ওর জন্য জামাকপড়, খেলনা নিয়া বাড়িতে আইস্যা ঈদ কইর্যা যায়। এইবার রোজার শুরু হইতেই নাতি জিগায়, নানু মোর মায় কি আর আইবেনা, মোওে ঈদের নতুন জামা গায়ে ঘুরাইতে নেবে না।
বরগুনা সদর উপজেলার মোল্লাহোরা গ্রামের সুমন সরদার লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী তাসলিমা (৩০), দুই মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫) ও সুমনা আক্তার (১২) এখনো নিখোঁজ। স্ত্রী সন্তানদের হারিয়ে পাগলপ্রায় সুমন এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি।
তালতলী উপজেলার ছোটবগী গ্রামের বাবুলের মা রেখা বেগম (৭০) ও দুই বছরের নাতি জুনায়েদের খোঁজ মেলেনি আর। দুই বছরের জুনায়েদ ও রেখা বেগমকে হারানোর শোক কাটাতে পারেননি বাবুল।
বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া গ্রামের উত্তম হালদাদের ছেলে কৃষ্ণ হালদারকে (১৪) ঢাকার উত্তরার একটি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত। কৃষ্ণ হালদার মা গীতা রানি ও ছোটভাই প্রত্যয়কে নিয়ে বামনার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর গীতা রানি প্রত্যয়কে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। তারা তীরে উঠতে সক্ষম হলেও কৃষ্ণ নিখোঁজ। কৃঞ্চ হালদারের সন্ধান তারা এখনও পাননি।
বরগুনা জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, সুগন্ধা ট্র্যাজেডিতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫০ জন। এর মধ্যে ২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৪১ জনের লাশ উদ্ধার হয় ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ছয়জন মারা যান। জানুয়ারির ২ ও ৩ তারিখে ঢাকায় চিকিৎসাধীন দগ্ধ দুজন ও সর্বশেষ ২১ জানুয়ারির শেষ ও ফেব্রয়ারী মাসের শুরুতে এক নারী ও তার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতদের মধ্যে শনাক্ত না হওয়ায় ২৩ জনকে বরগুনায় ও একজনকে ঝালকাঠিসহ মোট ২৪ জনকে দাফন করে জেলা প্রশাসন। বাকি ২৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনেরা।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, শনাক্ত হওয়া মরদেহের স্বজনদের আমরা প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার করে টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। আমরা ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা পেলেই ঠিক কতজন নিখোঁজ আছেন, এটা শনাক্ত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করতে পারব। এরপর ‘সোশ্যাল সেফটি নেটের আওতায়’ বিশেষভাবে তাঁদের সহায়তার আওতায় আনা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪