নাজিম আল শমষের
প্রশ্ন: বাংলাদেশে এসেছেন ২০ দিনের বেশি, কেমন লাগছে এখানে?
চো সাং ডং: প্রথমে ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে এই দেশে থাকাটা। এখানে এসে ফেডারেশন থেকে একটা অ্যাপার্টমেন্ট পেয়েছি। মোটামুটি সব ঠিক থাকলেও খাবারে একটু কষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ আর কোরিয়ার খাবারের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। প্রথমে ভেবেছিলাম, খেতেই পারব না। একটু সংকোচ ছিল। খাবার ভালো হলেই না বাচ্চাদের অনুশীলন করিয়ে শান্তি! ফেডারেশন অবশ্য কোরীয় রান্না জানা একজন রাঁধুনি জোগাড় করে দিয়েছে। সে-ও শুরুতে কী রান্না করবে, বুঝত না। বয়সের কারণে আমার নিজেরও ইংরেজি চর্চাটা একটু কম। আর অভ্যাসগত কারণে যখন নেতিবাচকতা চলে আসে, তখন অনেক সমস্যা তৈরি হয়।
প্রশ্ন: আসার আগে বাংলাদেশ সম্পর্কে কতটুকু ধারণা ছিল?
চো সাং ডং: এই দেশ সম্পর্কে এখন ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে বলতে গেলে। বিশ্বের বড় বড় টুর্নামেন্টে গিয়েছি। চারবার অলিম্পিকে গিয়েছি। সোনা জিতিয়েছি। পদক কীভাবে জিততে হয়, সে অভিজ্ঞতা আমার আছে। সৌভাগ্যবশত আমি এখন বাংলাদেশের কোচ। অথচ এই দেশে আসব কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। আমার স্ত্রী না করেছিল আমাকে আসতে। বলেছিল, কেন তুমি যাবে, ওরা তো গরিব! বলেছিল, অসুখ হলে আমাকে দেখার কেউ থাকবে না। স্ত্রী আমাকে না করেছিল বাংলাদেশে আসতে। কিন্তু আমি ভেবেছি, আমার কাছে যে অভিজ্ঞতা আছে, সেটা অনেক মূল্যবান। যতই সমস্যা থাকুক না কেন, আমি চাই বাংলাদেশকে অনেক ওপরে নিয়ে যেতে। আমি কোরিয়ান ফেডারেশনের কাছে এখানে আসার বিষয়টা গোপন রেখেছি। শুধু দূতাবাস ছাড়া কেউ জানে না। হয়তো বাংলাদেশে অনেক সমস্যা আছে, কিন্তু আমি একবার হলেও নিজেকে পরখ করে দেখতে চাই। তরুণ কোচদের শেখাতে চাই। অলিম্পিক কিংবা এশিয়ান গেমসে সোনার পদক হাতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দেখতে চাই।
প্রশ্ন: এখন পর্যন্ত খেলোয়াড়দের কেমন দেখলেন?
চো সাং ডং: একজন খেলোয়াড়ের কাছে নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। খেলোয়াড়দের দরকার মানসিক মনোযোগ। প্রয়োজনে হয়তো অনেক সময় কঠিন কথা বলতে হয় আমাকে। সবকিছু অভিজ্ঞতা থেকেই বলি। ৩২ বছর ধরে কোচিং করাচ্ছি। অলিম্পিক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গিয়েছি। অভিজ্ঞতার ঝুলি মন্দ নয়। এ সময়টাতে কোন বিষয়ে জোর দেওয়ার কারণে পদক এসেছে, সেটা আমার ভালোই জানা। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের এ বিষয়ে জানতে হবে।
প্রশ্ন: পদকের স্বপ্ন দেখছেন। সেই স্বপ্ন সত্যি করতে হলে এখন আপনার কী প্রয়োজন?
চো সাং ডং: এক বছর পর্যন্ত খেলোয়াড়েরা কতটুকু উন্নতি করতে পারবে, সেটা ভালোই জানা আছে আমার। দুই বছরে তাদের অবস্থা কী হবে, সেটাও জানি। বাংলাদেশের পুরোনো খেলোয়াড় যারা আছে, তারা অনেক ভুলের মধ্যে ছিল। তাই তাদের নতুন করে শেখানো অনেক কঠিন। দ্রুত উন্নতি চাইলে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে। বলতে গেলে সবকিছুই পাল্টে ফেলতে হবে। নতুন করে শুরু করলেই কেবল সম্ভব। এখন আমার পরিকল্পনা তাই শিশু-কিশোর জিমন্যাস্টদের নিয়ে নতুন করে শেখানো। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে শেখানোরেও একটা ব্যাপার আছে। আমরা যেখানে এখন অনুশীলন করছি (জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার জিমনেসিয়াম), সেখানে জায়গা অনেক কম। ন্যূনতম ২৫ মিটার জায়গার প্রয়োজন। দৌড়ানো বেশ কঠিন। জিমন্যাস্টদের অন্তত দুটো পিটের দরকার, অথচ পিট নেই এখানে। পিট ছাড়া অনুশীলন করলে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার প্রবণতা থাকে। আমি চাই ফেডারেশন এই চাওয়াগুলো দ্রুত পূরণ করুক।
প্রশ্ন: সম্ভাবনাময় কোনো খেলোয়াড় পেয়েছেন?
চো সাং ডং: গত সপ্তাহে ১৩-১৪ বছরের কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেখেছি। তাদের নিয়ে আমি আশাবাদী।
প্রশ্ন: কত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পদক জিততে পারে?
চো সাং ডং: এটা মুখে বলা কঠিন। আগে খেলোয়াড়দের দেখতে হবে। এরপর এক বছর হবে মৌলিক প্রশিক্ষণ। দ্বিতীয় বছরে হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ। তৃতীয় বছরে ওরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শুরু করবে। তখন মানুষ বাংলাদেশ দল সম্পর্কে জানতে শুরু করবে। চতুর্থ বছরে লক্ষ্য থাকবে এশিয়ান গেমস। অন্তত এক বছর না গেলে দল পাঠাতে চাই না। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের সুনাম নষ্ট হবে।
খেলা সম্পর্কিত সাক্ষাৎকার:
প্রশ্ন: বাংলাদেশে এসেছেন ২০ দিনের বেশি, কেমন লাগছে এখানে?
চো সাং ডং: প্রথমে ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে এই দেশে থাকাটা। এখানে এসে ফেডারেশন থেকে একটা অ্যাপার্টমেন্ট পেয়েছি। মোটামুটি সব ঠিক থাকলেও খাবারে একটু কষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ আর কোরিয়ার খাবারের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। প্রথমে ভেবেছিলাম, খেতেই পারব না। একটু সংকোচ ছিল। খাবার ভালো হলেই না বাচ্চাদের অনুশীলন করিয়ে শান্তি! ফেডারেশন অবশ্য কোরীয় রান্না জানা একজন রাঁধুনি জোগাড় করে দিয়েছে। সে-ও শুরুতে কী রান্না করবে, বুঝত না। বয়সের কারণে আমার নিজেরও ইংরেজি চর্চাটা একটু কম। আর অভ্যাসগত কারণে যখন নেতিবাচকতা চলে আসে, তখন অনেক সমস্যা তৈরি হয়।
প্রশ্ন: আসার আগে বাংলাদেশ সম্পর্কে কতটুকু ধারণা ছিল?
চো সাং ডং: এই দেশ সম্পর্কে এখন ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে বলতে গেলে। বিশ্বের বড় বড় টুর্নামেন্টে গিয়েছি। চারবার অলিম্পিকে গিয়েছি। সোনা জিতিয়েছি। পদক কীভাবে জিততে হয়, সে অভিজ্ঞতা আমার আছে। সৌভাগ্যবশত আমি এখন বাংলাদেশের কোচ। অথচ এই দেশে আসব কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। আমার স্ত্রী না করেছিল আমাকে আসতে। বলেছিল, কেন তুমি যাবে, ওরা তো গরিব! বলেছিল, অসুখ হলে আমাকে দেখার কেউ থাকবে না। স্ত্রী আমাকে না করেছিল বাংলাদেশে আসতে। কিন্তু আমি ভেবেছি, আমার কাছে যে অভিজ্ঞতা আছে, সেটা অনেক মূল্যবান। যতই সমস্যা থাকুক না কেন, আমি চাই বাংলাদেশকে অনেক ওপরে নিয়ে যেতে। আমি কোরিয়ান ফেডারেশনের কাছে এখানে আসার বিষয়টা গোপন রেখেছি। শুধু দূতাবাস ছাড়া কেউ জানে না। হয়তো বাংলাদেশে অনেক সমস্যা আছে, কিন্তু আমি একবার হলেও নিজেকে পরখ করে দেখতে চাই। তরুণ কোচদের শেখাতে চাই। অলিম্পিক কিংবা এশিয়ান গেমসে সোনার পদক হাতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দেখতে চাই।
প্রশ্ন: এখন পর্যন্ত খেলোয়াড়দের কেমন দেখলেন?
চো সাং ডং: একজন খেলোয়াড়ের কাছে নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। খেলোয়াড়দের দরকার মানসিক মনোযোগ। প্রয়োজনে হয়তো অনেক সময় কঠিন কথা বলতে হয় আমাকে। সবকিছু অভিজ্ঞতা থেকেই বলি। ৩২ বছর ধরে কোচিং করাচ্ছি। অলিম্পিক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গিয়েছি। অভিজ্ঞতার ঝুলি মন্দ নয়। এ সময়টাতে কোন বিষয়ে জোর দেওয়ার কারণে পদক এসেছে, সেটা আমার ভালোই জানা। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের এ বিষয়ে জানতে হবে।
প্রশ্ন: পদকের স্বপ্ন দেখছেন। সেই স্বপ্ন সত্যি করতে হলে এখন আপনার কী প্রয়োজন?
চো সাং ডং: এক বছর পর্যন্ত খেলোয়াড়েরা কতটুকু উন্নতি করতে পারবে, সেটা ভালোই জানা আছে আমার। দুই বছরে তাদের অবস্থা কী হবে, সেটাও জানি। বাংলাদেশের পুরোনো খেলোয়াড় যারা আছে, তারা অনেক ভুলের মধ্যে ছিল। তাই তাদের নতুন করে শেখানো অনেক কঠিন। দ্রুত উন্নতি চাইলে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে। বলতে গেলে সবকিছুই পাল্টে ফেলতে হবে। নতুন করে শুরু করলেই কেবল সম্ভব। এখন আমার পরিকল্পনা তাই শিশু-কিশোর জিমন্যাস্টদের নিয়ে নতুন করে শেখানো। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে শেখানোরেও একটা ব্যাপার আছে। আমরা যেখানে এখন অনুশীলন করছি (জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার জিমনেসিয়াম), সেখানে জায়গা অনেক কম। ন্যূনতম ২৫ মিটার জায়গার প্রয়োজন। দৌড়ানো বেশ কঠিন। জিমন্যাস্টদের অন্তত দুটো পিটের দরকার, অথচ পিট নেই এখানে। পিট ছাড়া অনুশীলন করলে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার প্রবণতা থাকে। আমি চাই ফেডারেশন এই চাওয়াগুলো দ্রুত পূরণ করুক।
প্রশ্ন: সম্ভাবনাময় কোনো খেলোয়াড় পেয়েছেন?
চো সাং ডং: গত সপ্তাহে ১৩-১৪ বছরের কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেখেছি। তাদের নিয়ে আমি আশাবাদী।
প্রশ্ন: কত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পদক জিততে পারে?
চো সাং ডং: এটা মুখে বলা কঠিন। আগে খেলোয়াড়দের দেখতে হবে। এরপর এক বছর হবে মৌলিক প্রশিক্ষণ। দ্বিতীয় বছরে হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ। তৃতীয় বছরে ওরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শুরু করবে। তখন মানুষ বাংলাদেশ দল সম্পর্কে জানতে শুরু করবে। চতুর্থ বছরে লক্ষ্য থাকবে এশিয়ান গেমস। অন্তত এক বছর না গেলে দল পাঠাতে চাই না। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের সুনাম নষ্ট হবে।
খেলা সম্পর্কিত সাক্ষাৎকার:
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫