Ajker Patrika

চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ও নিয়োগ নিয়ে দলাদলি

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ০৬
চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ও নিয়োগ নিয়ে দলাদলি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পৌলুঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, হিন্দা উচ্চবিদ্যালয়, বিনাই দাখিল মাদ্রাসায় কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিটি নিয়ে দলাদলি, আইনশৃঙ্খলার অবনতির সম্ভাবনা ও অনিয়মের মাধ্যমে দাতা সদস্য নির্বাচনসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত চলছে। অন্যদিকে আকলাশ শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিবাদের কারণে প্রধান শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৮০ দিন আগে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বন্দ্বের কারণে তফসিল ঘোষণা করেও কমিটির নির্বাচন করতে পারেনি।

পৌলুঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় ২৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা ২২ ডিসেম্বর। কিন্তু ৫ ডিসেম্বর সদস্যদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক আহমেদ এর নির্দেশে নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

হিন্দা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লজাবর আলী নিয়ম অনুযায়ী অভিভাবক সদস্যদের ভোটার তালিকা প্রস্তুতি করতে পারেনি বলে অভিযোগ আছে। ওই বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়েও আছে নানা অভিযোগ। যা তদন্ত করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লা সরকার। সেই সঙ্গে অবৈধভাবে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী নিয়োগের মামলা হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে।

গোপনে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, বর্তমান কমিটিকে না জানিয়ে অবৈধভাবে দাতা সদস্য মনোনয়ন দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আছে উপজেলার বিনাই দাখিল মাদ্রাসার সুপার রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সারফুল ইসলাম সাবু ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে।

রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আবারও কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করব। অবৈধভাবে দাতা সদস্য মনোনয়ন দেওয়া প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কাগজপত্র ঠিক রেখে বৈধভাবে আমি দাতা সদস্য মনোনয়ন দিয়েছি। ’

অপরদিকে অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মামলা থাকায় আকলাশ শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ ঝুলে আছে।

এই উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি মনছুর রহমান বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে কথিত অভিযোগে মামলা হওয়ায় দুই বছর হলো প্রধান শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারছি না।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লা সরকার বলেন, ‘মামলা মোকদ্দমা ও বিভিন্ন অভিযোগে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ অব্যাহত রাখতে। মামলার কারণে ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত