Ajker Patrika

গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

কাউনিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মে ২০২২, ১৬: ৫২
Thumbnail image

কাউনিয়ার হারাগাছে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুর আদালতে পাঠানো হয়।

অভিযুক্তের নাম মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া (২৮)। তিনি হারাগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। তাঁকে গত বুধবার রাতে রংপুর মহানগরীর কেরানিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-পুলিশের যৌথ দল।

মাজেদুলের বিরুদ্ধে গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক নারীকে (৩৬) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ১১ এপ্রিল কাউনিয়া থানায় মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর দুই সন্তানকে প্রাইভেট পড়াতেন মাজেদুল। তিনি বাড়িতে গিয়ে পড়ানোর সুযোগে একদিন টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে কৌশলে ভুক্তভোগীর গোসলের ভিডিও ও ছবি ধারণ করেন। পরে তা প্রচার এবং তাঁর ছেলেদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন এবং অশ্লীল ছবি তোলেন। সর্বশেষ গত বছরের ২৯ অক্টোবর মাজেদুল ওই বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।

একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ নিরুপায় হয়ে ছেলেদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও রেহাই মেলেনি। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁর ছোট ছেলের মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে দেন মাজেদুল। সেই সঙ্গে বড় ছেলের এক বন্ধুর মেসেঞ্জারেও সেই ছবি পাঠানো হয়।এমন অবস্থায় ওই নারী ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে ১১ এপ্রিল মাজেদুলের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় অভিযোগ করেন।

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, ‘ওই নারী থানায় এসে মাজেদুলের বিরুদ্ধে গোপনে গোসলের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাভুক্ত করা হয়।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলার পরই অভিযুক্ত মাজেদুল গা ঢাকা দেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, থানা-পুলিশ এবং রংপুর র‍্যাব-১৩ যৌথ অভিযান চালিয়ে মহানগরীর কেরানিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু বলেন, গত বছরের অক্টোবরে সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। মাজেদুল এই কমিটিতে শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা ব্যক্তিগত চরিত্রের বিষয়। এর দায় ছাত্রলীগ নেবে না।

জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, ‘মামলার পর অভিযুক্ত মাজেদুল গা ঢাকা দেন। অবশেষে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে তাঁকে মহানগরীর কেরানিপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে থানা-পুলিশ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত