Ajker Patrika

কোপানোর পর গাছে বেঁধে নারীকে মারধর

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৫৫
কোপানোর পর গাছে বেঁধে নারীকে মারধর

শেরপুরের শ্রীবরদীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল সকালে উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই গৃহবধূ শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত ওই গৃহবধূর বাড়ি ফতেহপুর গ্রামে।

আহত নারী বলেন, জমি নিয়ে বোরহান উদ্দিন রায়হান, তার ভাই ও আত্মীয়স্বজন, আমার দেবর মানিক, দেবরের স্ত্রী আমাদের সঙ্গে বিরোধ করে আসছে। শুক্রবার সকালে বোরহান উদ্দিন রায়হান, তার ভাই কবির, রয়েল ও তাদের স্ত্রী, আমার দেবর মানিক ও তার স্ত্রী জেসমিনসহ ১২- ১৩ জন আমাদের জমি জোরপূর্বক দখল করার জন্য আমাদের টিনের বসত ঘরে ভাঙচুর চালায়। এ সময় আমি ও আমার স্বামী বাধা দিলে তারা আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে আমার ঘর থেকে টেনে বের করে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। আমি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার রক্তপাত হচ্ছে। এ ছাড়াও তারা আমার মাথা ও শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

ফতেহপুর গ্রামের শাহনাজ বেগম বলেন, আমরা কিছু বললে আমাদের নামে মামলা দিবে। রায়হান, তার ভাই, মানিকসহ ১৩ জন মেয়েটিকে মারধর করেছে। এভাবে কেউ কাউকে মারধর করে না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।

এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন রায়হান বলেন, এখানে আমাদের জমি রয়েছে। আমি পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে জমির মালিক। মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। অন্যতম অভিযুক্ত মানিক মিয়া বলেন, তারা আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত চিকিৎসক ডা. জুলফিকার সাইফ বলেন, আহত নারীর রক্তপাত হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জেসমিন নামে এক গৃহবধূ ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত