Ajker Patrika

ধানে লোকসান, লাভের মুখ দেখলেন আখে

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

রংপুরের পীরগঞ্জে গেন্ডারি আখ চাষ করে সফল হয়েছেন বেশ কয়েকজন কৃষক। ধান-গম চাষাবাদে লোকসান হওয়ায় এই জাতের আখ চাষ করছেন অনেকে। এ ছাড়া গেন্ডারি জাতের আখ চাষে খরচ কম হওয়ায় আবাদে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় জানায়, উপজেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়। এর মধ্যে গেন্ডারি আখের চাষ হয়েছে প্রায় ৮ হেক্টর জমিতে। আগস্ট মাসের শুরু থেকে খেতের আখ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন কৃষকেরা।

পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের কাঙ্গুরপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, ‘১০ শতক জমিতে প্রতিবছর ধানের চাষ করে লাভ পাইনি। বিকল্প ফসল হিসেবে ওই জমিসহ প্রায় ২৬ শতক জমিতে গত পৌষ মাসে গেন্ডারি আখের চারা রোপণ করি। বর্তমানে আখগুলো শক্ত হয়েছে। বাজারে প্রতিটি আখ ২০ টাকা হিসাবে প্রায় ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করা যাবে। আগামী বছর দেড় বিঘা জমিতে গেন্ডারি আখের চাষ করব।’

কাঙ্গুরপাড়া গ্রামের হজরত আলী ধান চাষ করে লোকসানের বোঝা টানতে থাকেন। হঠাৎ তিনি চিন্তা করেন, বাজা গেন্ডারি আখ চড়া দামে বিক্রি হয়। এ জন্য সামান্য জমিতে তিনি এই জাতের আখ চাষ করেন। এতে তিনি প্রথমবারেই সফল হয়েছেন। তাঁকে দেখে অন্য আখচাষিদের আগ্রহ বাড়ছে।

চতরা গ্রামের সফল আখচাষি রেজাউল করিম বলেন, ‘নিজস্ব পরিকল্পনা ও পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে আমি এলাকার কৃষকদের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, ‘গেন্ডারি আখ চাষ লাভজনক, তাই স্থানীয় কৃষকেরা আগ্রহের সঙ্গে এই জাতের আখ চাষে এগিয়ে আসছে। এতে তেমন একটা খরচ নেই। অন্য ফসলের জমির আইলেও গেন্ডারি আখ চাষ করা যায়। সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

এই আখের রোগবালাইও কম। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি আখ চাষের উপযুক্ত সময়। এই মৌসুমে ফলন হয় প্রায় দ্বিগুণ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত