Ajker Patrika

পোশাকের বাজারে ভিড় নারী ক্রেতাই বেশি

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ১২
Thumbnail image

শেরপুরের শ্রীবরদীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে চলছে বেচাকেনা। শহরের সব বিপণিবিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোয় এখন মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঈদ সামনের রেখে বাজারে মানুষের পদচারণে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ক্রেতাদের আকর্ষণে শপিং মলগুলো সাজানো হয়েছে বাহারি সাজে।

সরেজমিন শ্রীবরদী মধ্য বাজার, শ্রীবরদী জবেদ মার্কেট, জেলা পরিষদ মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক ক্রেতা ঈদের কেনাকাটা করছেন। শিশু, নারী, তরুণ ও তরুণীরা ঈদ উপলক্ষে আসা পোশাক দেখছেন। তবে বিপণিবিতানগুলোয় নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল বেশি। সামর্থ্যের মধ্যে পছন্দের জামা, কাপড়, শাড়ি, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রী কিনে খুশিমনে বাড়ি ফিরছেন সবাই। এবার ঈদ বাজারে নারী ক্রেতারা সংখ্যা বেশি।

উপজেলার বটতলা থেকে কেনাকাটা করতে আসা লাভলী আক্তার বলেন, ‘আমি আমার জন্য একটি থ্রিপিস কিনেছি এবং আমার ছোট বোনের জন্য একটি থ্রিপিস কিনেছি। অন্যান্য ঈদের চেয়ে এবার কাপড়চোপড়ের দাম একটু বেশি।’

কাকিলাকুড়া পিরিচপুর থেকে আসা মৌসুমী বলেন, ‘আমি আমার বাবার সঙ্গে কেনাকাটা করতে এসেছি। আমি থ্রিপিস, জুতা ও কিছু কসমেটিকস কিনেছি। আমার খুব ভালো লাগছে।’

সেকদী গ্রামের আবেদা বেগম বলেন, ‘কেনাকাটা আর কী করমু। শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে আমার ৫০ শতাংশ জমিই নষ্ট হয়ে গেছে। টাকাপয়সা নাই। আমার দুইটি শিশু সন্তান আছে। গত দুই বছরেও কিছু কিনে দিতে পারি নাই। বাচ্চারা কান্নাকাটি করতেছে, তাই টাকা ধার নিয়ে শিশু বাচ্চাদের কাপড় কিনে দিচ্ছি।’

একই গ্রামের সবুজা বেগম বলেন, ‘আমাদের ধান, সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। তবুও টাকাপয়সা ধার দেনা করে নিয়ে এসেছি, কিছু কেনার জন্য, সবকিছুর দাম বেশি।’

জেলা পরিষদ মার্কেটের সুজন গার্মেন্টের মালিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বেচাকেনা হচ্ছে। তবে কাপড়চোপড়ের দাম একটু বেশি হওয়ায় ক্রেতারা ঘুরাফেরা বেশি করে।’ দাম বেশি হওয়ায় কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেশি দামে আমরা কাপড় কিনে আনছি, তাই বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’

জবেদ মার্কেটের জামাল বস্ত্রালয়ের মালিক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এবার ঈদের বেচাকেনা খুব ভালো। বিশেষ করে নারী পোশাক হিসেবে থ্রি-পিসের সর্বোচ্চ বিক্রি হচ্ছে। ঈদ বাজার থ্রি-পিসের জয়জয়কার চলছে। বর্তমানে ১০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে থ্রি-পিস, ৯০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে ভালো শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্রে করে আমাদের একাধিক টিম বাজারে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত